কলকাতা, 16 ডিসেম্বর: বইপ্রেমীদের কাছে বইমেলা বড় উৎসব। সারা বছর তাঁরা অপেক্ষায় থাকেন আন্তর্জাতিকমানের এই বই-উৎসবের জন্য। বইমেলায় এসে ম্যাপ সংগ্রহ করে নিজের পছন্দের স্টলে পৌঁছে যান সকলে। কিন্তু এবার আগে থেকেই জানা যাবে পুরো বইমেলার ম্যাপ। নতুন বইমেলা অ্যাপ নিয়ে আসছে পাবলিশার্স অ্যান্ড গিল্ড।
আগামী বছরের 28 জানুয়ারি থেকে শুরু হচ্ছে বইমেলা। শেষ হবে 9 ফেব্রুয়ারি। 12 দিন ধরে চলবে বইয়ের উৎসব। গুগল প্লে-স্টোর থেকে অ্যাপ ডাউনলোড করার সুযোগ থাকছে। অ্যাপ প্রসঙ্গে গিল্ডের সাধারণ সম্পাদক সুধাংশুশেখর দে বলেন, "এই অ্যাপের মাধ্যমে পুরো মেলাটাই দেখা যাবে। আমরা চেষ্টা করছি যাতে স্টলের ভিতরে কী আছে সেইগুলোও অ্যাপের মাধ্যমে তুলে ধরা যায়।"
তবে শুধু অ্যাপ নয়, এছাড়াও এ বছর বইমেলা সম্পূর্ণ খোলা আকাশের তলায় করা হচ্ছে। প্রতিবছর বিভিন্ন হলে ব্যবস্থা থাকে কলকাতা বইমেলায়। বিশিষ্টদের নাম করে এই সমস্ত হল তৈরি করা হয়। সেখানে মূলত বিক্রি হয় ইংরাজি বই। কিন্তু এইবার সেই হল থাকছে না। প্রতিটি ইংরেজি প্রকাশনী নিজেদের মতো স্টল বানিয়ে নিচ্ছে।
নতুন ব্যবস্থা নিয়ে সুধাংশুশেখর দে বলেন, "ময়দানের বইমেলায় হল থাকত না। অন্য জায়গায় হলের ব্যবস্থা হত। এই হলে যারা থাকতেন তাঁদের বিভিন্ন আক্ষেপ শোনা যেত। তাঁদের দিক থেকে খরচ নিয়ে একটা সমস্যাও দেখা যাচ্ছিল। তাই হলটা তুলে দিয়ে ব্যারিকেড করে দেওয়া হয়েছে। আমরা স্টলের ভাড়াটাও কমিয়ে দিয়েছি। সবাই সবার মতো খরচা করে যাতে স্টল বানিয়ে নিতে পারবেন।"
48তম আন্তর্জাতিক কলকাতা বইমেলা উদ্বোধন হবে 28 জানুয়ারি। শেষ হবে 9 ফেব্রুয়ারি। এবছর বইমেলার থিম কান্ট্রি জার্মানি। এছাড়াও বইমেলায় অংশ নেবে 20টি দেশ। কিন্তু সেই তালিকায় এখনও নেই বাংলাদেশের নাম। এই বিষয়ে সুধাংশুশেখর দে বলেন, "ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশ না-আসা পর্যন্ত এই বিষয় কিছুই বলতে পারব না।" তবে যদি বাংলাদেশ বইমেলায় অংশ নিতে চায় তাহলে কোনও বাধা থাকবে না গিল্ডের তরফে।
এছাড়া এই বছর লিটল ম্যাগাজিন-সহ ছোট, মাঝারি এবং বড় প্রকাশক মিলিয়ে স্টলের সংখ্যা থাকছে 1000। গত বছরের সঙ্গে এই বছর স্টলের সংখ্যায় কোনও তফাৎ আসেনি। এছাড়াও মেলায় প্রবেশের জন্য থাকছে 9টি প্রবেশদ্বার। যার মধ্যে একটি সাজানো হবে, জার্মান সাহিত্যিক গ্যোয়েট এবং অন্য আরেকটি জার্মান ভাষাবিদ ম্যাক্সমুলারের নামে।