কলকাতা, 22 অক্টোবর:ঘূর্ণিঝড় দানা মোকাবিলার ক্ষেত্রেও ফের কেন্দ্রীয় বঞ্চনার অভিযোগ আনলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ তাঁর অভিযোগ, বিপর্যয়ের ক্ষেত্রে প্রতিবেশী রাজ্যগুলিকে সাহায্য করা হলেও, কেন্দ্রের থেকে কিছুই পায়নি বাংলা ৷
মঙ্গলবার সাংবাদিকদের তরফ থেকে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে প্রশ্ন করা হয়েছিল, একের পর এক বিপর্যয় আছড়ে পড়ছে বাংলায় । এক্ষেত্রে কোনও কেন্দ্রীয় সাহায্য কি পাওয়া গিয়েছে ? জবাবে মুখ্যমন্ত্রী জানান, "এটা আমাদের দুর্ভাগ্য, প্রতিবেশী রাজ্য ওড়িশা এবং অসম বন্যা নিয়ন্ত্রণ থেকে বিভিন্ন প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে সাহায্য পেল, বাংলা কিছু পায়নি ।" খুব স্বাভাবিকভাবেই মুখ্যমন্ত্রীর এই কথায় আরও একবার বাংলার প্রতি কেন্দ্রীয় বঞ্চনার অভিযোগ উঠে এসেছে ৷
আবহাওয়ার পরিবর্তনের ফলে বারবার দুর্যোগ আছড়ে পড়ছে বাংলায়। আর এই অবস্থায় রাজ্য সরকার কতটা কেন্দ্রীয় সাহায্য পাচ্ছে? সোমবার এই প্রশ্ন সাংবাদিকদের তরফ থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে করা হয়েছিল। ঘূর্ণিঝড় দানা আছড়ে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে বাংলায়। আগাম সতর্কতা হিসাবে সক্রিয় প্রশাসন। এদিন সেই ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় সরকারি প্রস্তুতি নিয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করেন মুখ্যমন্ত্রী। তারই ফাঁকে এই প্রশ্নের জবাব দিলেন তিনি।
যদিও আবহাওয়া পরিবর্তন সরাসরি পরিবেশ দফতরের মধ্যে পড়ে বলে জানিয়েছেন তিনি। তবে বারবার বাংলা যে দুর্যোগের শিকার হচ্ছে এ প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, এমনিতেই নদীমাতৃক দেশ বাংলা । ফলে কখনও অতিবৃষ্টি কখনও ঘূর্ণিঝড়ের মতো প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের শিকার হতে হয় তাকে। তবে সাম্প্রতিক অতীতে প্রতিবেশী রাজ্য ওড়িশা ও অসমকে কেন্দ্রীয় সরকার আর্থিক সাহায্য করলেও এক্ষেত্রে বঞ্চিতই হয়েছে বাংলা । এক্ষেত্রে প্রতিবেশী রাজ্য সাহায্য পেলেও বাংলা একটি টাকাও পায়নি ।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাষায়, "সাম্প্রতিক অতীতে আপনারা সবাই বাংলায় যে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল তা নিয়ে অবগত আছেন। ডিভিসির ছাড়া জলে একাধিক জেলায় বন্যার পরিস্থিতি তৈরি হয়। এই নিয়ে আমাদের কাছে কেউ কোনও তথ্য চায়নি কোনও সাহায্য করেনি । বাংলা কেন্দ্রীয় সরকারের কাছ থেকে একটি টাকাও পায়নি । আপনারা যদি বাজেটের দিকে তাকান দেখতে পারবেন, বাংলাকে ওরা একটি টাকাও দেয়নি। সাইক্লোনের ক্ষেত্রেও অতীতে আপনারা দেখেছেন কীভাবে বাংলাকে বঞ্চনা করা হয়েছে । আমাদের প্রতিবেশী রাজ্যকে সাহায্য দেওয়া হলেও আমাদের ভাগ্য অত্যন্ত খারাপ । যেহেতু আমরা নদীমাতৃক রাজ্য, তাই বিভিন্ন সময় আমাদের বন্যা অথবা ঘূর্ণিঝড়ের সম্মুখীন হতে হয় । এক্ষেত্রে অসম, ওড়িশা সাহায্য পায়, কারণ তাদের দলের সরকার রয়েছে । জনসংখ্যা এবং আয়তনের দিক থেকে বাংলা বড় রাজ্য হলেও পরিণাম কী হয় আপনারা সবাই জানেন । আমি আর নতুন করে বলতে চাই না।"