শিলিগুড়ি, 21 জুন: "আমার ছেলে দোষী নয় ৷ আগে অভিযোগ প্রমাণ হোক ।" এমনই দু-একটা কথা বলে কান্নায় ভেঙে পড়লেন মনু কুমারের মা । সোমবার সকালে কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের পিছন থেকে যে মালবাহী ট্রেন ধাক্কা মারে, মনু কুমার সেই ট্রেনেরই সহকারি চালক ৷ সেদিনের দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে মালবাহী ট্রেনের লোকো পাইলট অনিল কুমারের ৷ বরাত জোড়ে বেঁচে গিয়েছেন মনু কুমার ৷ বর্তমানে শিলিগুড়ির এখটি নার্সিংহোমে চিকিৎসাধীন তিনি ৷ রয়েছেন আইসিইউতে । সেখানে কড়া নজরদারিতে রাখা হয়েছে তাঁকে ৷ প্রায় আট বছর হয়েছে রেলে কর্মরত মনু কুমার । বিহারের সহরসা গ্রামের বাসিন্দা তিনি । কাজের সূত্রে শিলিগুড়ির 34 নম্বর ওয়ার্ডের ভক্তিনগর এলাকায় স্ত্রীকে নিয়ে ভাড়া থাকছিলেন । সব ভালোই চলছিল । কিন্তু অভিশপ্ত সেই সোমবারের পর কেমন যেন সব বদলে গিয়েছে ওই পরিবারের ।
কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের দুর্ঘটনার ইতিমধ্যে তদন্ত শুরু করেছে রেল কর্তৃপক্ষ । চিফ কমিশনার অফ রেলওয়ে সেফটি জনক কুমার গর্গ নিজে তদন্ত করছেন । আর তদন্ত হবেই না বা কেন? মৃত্যু হয়েছে 10 জনের, আহত প্রায় 40 জনের বেশি । ঘটনার তিন দিন কেটে গিয়েছে । এখনও দুর্ঘটনার কারণ সেভাবে জেনে উঠতে পারেননি তদন্তকারীরা । কর্মীদের বয়ান, প্রমাণ, তথ্য সংগ্রহ করলেও ঠিক কোন জায়গায় গাফিলতি হয়েছিল, তা এখনও নিশ্চিত করে উঠতে পারেননি তাঁরা ৷ এই ঘটনার একমাত্র সাক্ষী মনু কুমার । এখন একমাত্র তিনি ওই ঘটনার নেপথ্যের কারণ খোলসা করে বলতে পারবেন ৷