কলকাতা, 5 নভেম্বর: সঞ্জয়ের বিরুদ্ধে বড় ষড়যন্ত্র হয়েছে ৷ আরজি কর-কাণ্ড ধৃত সঞ্জয় রায়ের বক্তব্যের পর এমনই মন্তব্য করলেন সিপিএম নেতা তথা আইনজীবী বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য ৷ আরজি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনায় ধৃত সঞ্জয় রায়ের বিরুদ্ধে সোমবার চার্জশিট গঠন করা হয় ৷ শিয়ালদা আদালত থেকে বেড়িয়ে প্রিজন ভ্যানে ওঠার সময় বিস্ফোরক মন্তব্য করে সঞ্জয় ৷ তাঁর সেই বক্তব্যের পর প্রতিক্রিয়া দেন সিপিএম নেতা ৷
বিকাশ রঞ্জন বলেন, "সঞ্জয় রায় দাবার বোড়ে । আরজি করের ঘটনায় যে বৃহত্তর ষড়যন্ত্র হয়েছে আজকে সঞ্জয় রায়ের বক্তব্য সেটাই প্রমাণ করছে ।যতই দূরবৃত্ত সে হোক না কেন এই রকমভাবে খুন করতে পারে না । মুখ্যমন্ত্রী আরজি করের ঘটনার পর মন্তব্য করেছিলেন সকাল থেকে তিনি মনিটর করছেন সারারাত ঘুমাতে পারেননি । কী মনিটর করেছেন ? কীভাবে দেহ লোপাট করা যায় ? সিবিআইয়ের তদন্তে এগুলো আসা উচিত ।" সিপিএম নেতার দাবি, "আসল লোকেরা পর্দার আড়ালে রয়েছে । বৃহত্তর ষড়যন্ত্র হয়েছে । সিবিআই-এর তদন্তে এই বিষয়গুলো আসা দরকার ।"
সঞ্জয় রায়ের বিরুদ্ধে সোমবার চার্জ গঠন করা হয় । আগামী 11 নভেম্বর থেকে আরজি করের ঘটনায় সঞ্জয় রায়ের বিরুদ্ধে বিচারপর্ব শুরু হবে শিয়ালদা আদালতে । চার্জশিট গঠনের পর সঞ্জয় দাবি করে, তাকে ফাঁসানো হচ্ছে ৷ তরুণী চিকিৎসককে সে ধর্ষণ ও খুন করেনি ৷ তার সেই বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় আইনজীবী বলেন, "আমি তো প্রথম দিন থেকেই বলছি, এটা একটা বড় ষড়যন্ত্র । সঞ্জয় একজন সিভিক ভলান্টিয়ার হয়ে হাসপাতালের ভিতরে একজন চিকিৎসককে ধর্ষণ করবে, এটা ভাবা যায় না । হাসপাতালের ভিতরে একজন চিকিৎসককে একজন সিভিক ভলেন্টিয়ার এই রকম ভাবে হত্যা করবে, বিষয়টা আমার কাছে বিশ্বাসযোগ্য হয়নি । আজকে সেটা সত্য প্রমাণিত হল ।"
এদিন আদালতে সিবিআই-এর তরফে আইনজীবী স্পষ্ট জানান, চার্জশিট পেশ করা মানেই তদন্ত শেষ হয়ে যাওয়া নয় ৷ এই প্রসঙ্গে বিকাশ রঞ্জন বলেন, "সিবিআই তদন্ত সঠিক পথেই যাচ্ছে । আর সেই কারণে, যারা তদন্ত ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেছিল, তাদের খোঁজার চেষ্টা চলছে । সিবিআই-এর উচিত বিষয়টিকে আরও গভীরে গিয়ে তদন্ত করা ৷"
প্রসঙ্গত, আরজি করে গত 9 অগস্টের ঘটনায় কলকাতা পুলিশ প্রথম গ্রেফতার করে সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রায়কে । পরে 58 দিনের মাথায় সিবিআই চার্জশিট পেশ করে সেখানেও সঞ্জয় রায়কে খুন ও ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত বলে উল্লেখ করা হয় । এরপর বৃহত্তর ষড়যন্ত্রের আঁচ পেয়ে আরজি করের অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ ও টালা থানার প্রাক্তন ওসি অভিজিৎ মণ্ডলকে পরে গ্রেফতার করে সিবিআই । সেই ঘটনায় তদন্ত এখনও চলছে ৷