কলকাতা, 5 নভেম্বর: আরজি কর-কাণ্ডে ধৃত সিভিক ভলান্টিয়ারের বিরুদ্ধে সোমবার শিয়ালদা আদালতে চার্জ গঠন হয়েছে ৷ এরপর আদালত থেকে বেড়িয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করে সঞ্জয় রায় ৷ তার সেই বক্তব্যের পর সিবিআই-এর দিকে প্রশ্ন ছুঁড়ে দিল ওয়েস্ট বেঙ্গল জুনিয়ার ডক্টরস ফ্রন্ট । ফ্রন্টের তরফে আরজি করের ঘটনায় আন্দোলনকারী জুনিয়র চিকিৎসক কিঞ্জল নন্দের মন্তব্যে শোনা গেল ক্ষুব্ধতার সুর । তাঁর বক্তব্য, সঞ্জয়কে কে বা কেন ফাঁসাচ্ছে, সিবিআই-এর উচিত সেই বিষয়ে তদন্ত করে প্রকাশ্য়ে আনা ৷
সোমবার সঞ্জয়ের বিরুদ্ধে আরজি করের তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় চার্জ গঠন হয় ৷ আগামী 11 নভেম্বর থেকে সেই চার্জ গঠনের ভিত্তিতে মামলা চলবে শিয়ালদা আদালতে ৷ এদিন আদালত থেকে বেড়োনোর সময় রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক মন্তব্য করে সঞ্জয় ৷ দাবি করে, পুরো ঘটনায় তাকে ফাঁসানো হচ্ছে ৷ সে এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত নয় ৷ তার সেই মন্তব্যের পর 9 অগস্টের নৃশংস ঘটনায় নতুন করে তরজা শুরু হয়েছে ৷
সঞ্জয়ের বক্তব্যের প্রেক্ষিতে সোমবার প্রতিক্রিয়া দেন আন্দোলনকারী জুনিয়ার চিকিৎসক কিঞ্জল নন্দ ৷ তিনি বলেন, "3 মাস হতে চলল, কিন্তু এখনও সঞ্জয় ছাড়া কাউকে গ্রেফতার করা হল না ৷ আমরা জানি এই নরকীয় হত্যাকাণ্ড একজনের পক্ষে ঘটানো সম্ভব নয় ৷ সিবিআই এতদিন ধরে কী করছে ? কেন তারা গুরুত্ব সহকারে বিষয়টি দেখছে না ? এই বিষয়গুলি নিয়ে সকলে ক্ষুব্ধ । সঞ্জয় রায়ের দাবি অনুযায়ী, তাকে ফাঁসানো হয়েছে ৷ কে ফাঁসিয়েছে তাকে ? কেনই বা ফাঁসিয়েছে ? এই ঘটনার প্রধান লক্ষ্য কী ? দ্রুত তদন্ত সম্পন্ন করে সিবিআই-এর উচিত এই সমস্ত প্রশ্নের উত্তর সকলের সামনে তুলে ধরা ৷"
গত 9 অগস্টের ঘটনার তদন্তে সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রায়কে প্রথম গ্রেফতার করে কলকাতা পুলিশ ৷ যদিও প্রথম থেকে আন্দোলনকারী জুনিয়ার চিকিৎসকরা দাবি করেন, এই ঘটনা একার পক্ষে করা সম্ভব নয় । একই কথা বলেন সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষেরা । তবে সিবিআই-এর প্রথম চার্জশিটে একমাত্র উল্লেখ রয়েছে সঞ্জয় রায়ের নাম । সোমবার তাকে শিয়ালদা আদালতে তোলা হয় । সেখান থেকে বেড়িয়ে আসার সময় সাংবাদিকদের সঞ্জয় বলে, "সরকার তাকে ফাঁসাচ্ছে । আমায় চুপ করে থাকতে বলা হয়েছিল । আমি ধর্ষণ বা খুন কোনটাই করিনি ।"