কলকাতা, 22 ফেব্রুয়ারি: আসন্ন লোকসভা নির্বাচনকে সুষ্ঠুভাবে করাতে বদ্ধপরিকর জাতীয় নির্বাচন কমিশন । তাই এবার প্রতিটি জেলায় কোথায় কতগুলি স্পর্শকাতর বুথ রয়েছে এবং উত্তেজনাপ্রবণ এলাকা থাকতে পারে রাজ্যের কাছে তার পূর্ণাঙ্গ তালিকা চাইল নির্বাচন কমিশন ।
বুধবার আরও একটি কড়া নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছে জেলাগুলোতে । সেই নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, দ্রুত স্পর্শকাতর বুথ এবং এলাকা চিহ্নিত করে তার তালিকা পাঠাতে হবে কমিশনকে । সেই তালিকায় যেন কোনওরকম ত্রুটি না থাকে । অর্থাৎ, পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে স্পর্শকাতর অঞ্চল তথা বুথ চিহ্নিত করতে হবে ৷ একটি বুথ বা এলাকাও যেন তালিকা থেকে বাদ না পড়ে । এছাড়াও শেষ লোকসভা নির্বাচন অর্থাৎ 2019 সালের তুলনায় স্পর্শকাতর বুথ ও অঞ্চলের সংখ্যা কতটা বেড়েছে তাও জানতে চাওয়া হয়েছে । এই তালিকার উপরেই ভিত্তি করেই সংশ্লিষ্ট লোকসভা কেন্দ্রগুলিতে আধা সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হবে ।
একদিকে সন্দেশখালিকাণ্ডে ফুঁসছে ওই এলাকা ও স্থানীয়রা । আর কয়েকদিনের মধ্যেই লোকসভা নির্বাচনের নির্ঘণ্ট প্রকাশিত হয়ে যাবে । তাই বাংলার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিতে যে নির্বাচন কমিশনকে ভাবাচ্ছে তা বলে দেওয়ার অপেক্ষা রাখে না । অনেক আগে থেকেই কোমর বেঁধেছে কমিশন । তবে সন্দেশখালির ঘটনার পর নিরাপত্তার বিষয়ে আর কোনওভাবেই খামতি রাখতে চাইছে না কমিশন । অনেক আগে থেকেই একের পর এক নির্দেশিকা জারি করা হচ্ছে । দফায় দফায় প্রতিটি জেলাশাসক-সহ জেলার নির্বাচনী আধিকারিক এবং এসপিদের সঙ্গে বৈঠক করছেন মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক ।
কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে, চলতি মাসের শেষ সপ্তাহেই রাজ্যে চলে আসতে পারে কেন্দ্রীয় বাহিনী । ওয়াকিবহল মহলের মতে, মূলত রাজ্যের বর্তমান আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন ।
আরও পড়ুন :
- লোকসভা নির্বাচন, রাজ্যের জন্য সর্বোচ্চ 920 কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী চাইল কমিশন
- 4 মার্চ রাজ্যে জাতীয় নির্বাচন কমিশনের ফুল বেঞ্চ, থাকছে ঠাসা কর্মসূচি
- লোকসভা নির্বাচনের সব পোর্টালকে 24 ঘণ্টাই সক্রিয় রাখার নির্দেশ জাতীয় নির্বাচন কমিশনের