পশ্চিমবঙ্গ

west bengal

ETV Bharat / state

রাজ্যে নেই, গুজরাত-উত্তরপ্রদেশ-বিহারে স্কুলছুট এত বেশি কেন? আক্রমণ শিক্ষামন্ত্রীর - SCHOOL DROPOUT RATE

রাজ্যে স্কুলছুট নেই। এমনই রিপোর্ট দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার ৷ অথচ ডাবল ইঞ্জিন সরকার যেখানে আছে সেখানে এত স্কুলছুট কেন ? বিজেপিকে তোপ ব্রাত্যর ৷

SCHOOL DROPOUT RATE
শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু (নিজস্ব ছবি)

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Jan 10, 2025, 11:01 PM IST

শিলিগুড়ি, 10 জানুয়ারি: রাজ্যে স্কুলছুট পড়ুয়া নেই। কেন্দ্রের এই রিপোর্টকে হাতিয়ার করে এবার মোদি সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। শুক্রবার শিলিগুড়ি কলেজ ময়দানে তথ্য সংস্কৃতি দফতর তরফে আয়োজিত লিটিল ম্যাগাজিন মেলায় সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে একথা জানান শিক্ষামন্ত্রী।

পাশাপাশি খুব দ্রুত রাজ্যের কলেজগুলোয় ছাত্র সংসদ নির্বাচন হওয়ার ইঙ্গিতও দেন তিনি ৷ মন্ত্রী ব্রাত্য বসু ছাড়াও মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন ও সেচ প্রতিমন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন, পঞ্চায়েত প্রতিমন্ত্রী গোলাম রব্বানি, শিলিগুড়ির মেয়র গৌতম দেব-সহ অন্যরা। এদিনের অনুষ্ঠানে রাজ্যের বাকি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় দ্রুত উপাচার্য নিয়োগের কথাও জানান মন্ত্রী।

আক্রমণ শিক্ষামন্ত্রীর (ইটিভি ভারত)

মন্ত্রী ব্রাত্য বসু বলেন, "আজকে কেন্দ্র রিপোর্ট দিয়ে বলেছে এ রাজ্যে স্কুলছুট নেই ৷ অথচ গুজরাত, উত্তরপ্রদেশ, বিহারে স্কুলছুটেকর পরিমাণ বিরাট। ডবল ইঞ্জিন সরকারের রাজ্যে এত স্কুলছুট! কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজ্যে স্কুলছুট নেই ৷ কেন্দ্র মিড-ডে-মিলের সমস্ত টাকা দেয়নি। কিন্তু রাজ্যের সমস্ত স্কুলে মিড-ডে-মিল পৌঁছে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। আর তার জন্যই রাজ্যে স্কুলছুট নেই।"

তিনি আরও বলেন, "ছাত্র পেতে অবশ্য অসুবিধা হচ্ছে। তার কারণ অভিভাবকরা ইংরেজি মাধ্যমকে বেশি প্রাধান্য দিচ্ছেন। ইংরেজি শেখার ভাষা নেই, চাকরির ভাষা হয়ে গিয়েছে। সেটা ব্যাপক প্রভাব ফেলেছে। সে জন্য আমরা স্কুলগুলোর কাছে রিপোর্ট চাইছি। পিটিআর করাচ্ছি । বিভিন্ন স্কুল মার্জ করানো হচ্ছে। শিক্ষকদের আরও যত্নবান হতে হবে।"

এরপর উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়োগ প্রসঙ্গে বলেন, "বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় খুব দ্রুত উপাচার্য নিয়োগ হবে। কিন্তু উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের অচলাবস্থার জন্য প্রাক্তন ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য দায়ী। আচার্য আর উপাচার্য বিকাশ ভবনকে এড়িয়ে কাজ করেছিলেন। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের যেভাবে মুখ থুবড়ে পড়ার কথা ছিল তাই হয়েছে। প্রাক্তন উপাচার্য সময় থাকতে শিক্ষা দফতরে প্রস্তাব পাঠালে এই অসুবিধা হত না।"

ABOUT THE AUTHOR

...view details