কলকাতা, 27 মে: শওকত মোল্লা ও বিধায়ক বিভাস সরকারকে নির্বাচনের আগে ও নির্বাচনের দিন নজরবন্দি করার দাবি জানিয়ে সোমবার মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের কার্যালয়ের দ্বারস্থ হয় সিপিএমের এক প্রতিনিধি দল। দলের নেতৃত্ব দেন যাদবপুরের বাম প্রার্থী সৃজন ভট্টাচার্য।
সৃজন ভট্টাচার্য অভিযোগ জানান, ইতিমধ্যেই যাদবপুরের মানুষকে হুমকি দেওয়া শুরু হয়েছে। যাদবপুরের 109 এবং 110 নম্বর ওয়ার্ডে অশান্তি হচ্ছে। প্রায় প্রতিদিনই আইএসএফ কর্মী এবং সিআইএম কর্মী শাসক দলের হাতে মার খাচ্ছেন। বারুইপুর ইস্ট বিধানসভা কেন্দ্রে হুমকি দেওয়া হচ্ছে। সোনারপুর বারুইপুর ভাঙ্গর টালিগঞ্জের অশান্তি হচ্ছে। এইসব জায়গায় গত বিধানসভা নির্বাচনের সময় থেকেই ভোট লুট শুরু হয়েছে।
উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে মহিলা গবেষকের মৃত্যুতে ধর্মঘট এবিভিপি'র
এছাড়াও থানাগুলির উপর নজরদারি বাড়ানোর দাবি জানান বাম প্রতিনিধি দল। পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ, থানায় ডেকে নাকি সিপিএম ছেড়ে তৃণমূলের ঝান্ডা ধরার কথা বলা হচ্ছে ৷ না হলে একটার পর একটা মামলায় লকআপে ঢোকানের ভয় দেখানো হচ্ছে ৷ পাশাপশি শমীক লাহিড়ী দাবি করেন যে, এর আগেও মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের কার্যালয় এসে তাঁরা যে এলাকাগুলিতে সমস্যা হতে পারে বলে চিহ্নিত করেছিলেন, সেই সব জায়গাতেই সমস্যা হয়েছে। এমনকী, বাম প্রতিনিধিদল সেই সব জায়গার আধিকারিকদের সরিয়ে দেওয়ার দাবি জানালেও তাতে কর্ণপাত করেনি কমিশন।
উত্তর 24 পরগনার বসিরহাট ও দমদম-সহ আরও দুটি জায়গার থানার ওসি সরাসরি শাসকদলের হয়ে কাজ করছে বলে অভিযোগ। একইভাবে কলকাতায় পাঁচটি থানার ওসি তৃণমূলের হয়ে কাজ করছে। বামেদের কোনও প্রার্থীদের সভা করার অনুমতি দেওয়া হচ্ছে না। ক্যানসার আক্রান্ত রোগীকে মামলা দিয়ে পাটুলি থানায় ডেকে পাঠানো হচ্ছে। অথচ, আসল দুষ্কৃতিকে ধরা হচ্ছে না। এই সকল অভিযোগ নিয়েই মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দ্বারস্থ হয় সিপিএম ৷
কলকাতায় রমরমিয়ে চলছে চোরাই মোবাইল ফোনের চক্র, পুলিশের জালে 2 বাংলাদেশি