কলকাতা, 30 সেপ্টেম্বর:কলকাতা পুলিশ কমিশনারের দেওয়া বিজ্ঞপ্তি নিয়ে ধোঁয়াশা কাটল । রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল কলকাতা হাইকোর্টে জানালেন, ধর্মতলার কেসি দাস থেকে ভিক্টোরিয়া হাউস পর্যন্ত অংশে বিএনএস-এর 163 ধারা (ভারতীয় দণ্ডবিধিতে যা ছিল 144 ধারা) জারি করা হয়েছে । ওই অংশ বাদ দিয়ে বাকি অংশে মিছিল, মিটিং বা জমায়েতে কোনও আপত্তি নেই ।
ফলে পুজোর সময় ধর্মতলা চত্বরে জমায়েত নিয়ে যেমন আর সংশয় থাকল না, একইসঙ্গে জুনিয়র ডাক্তারদের সংগঠন ও সিপিএমের তরফে কলেজ স্কোয়্যার থেকে ধর্মতলা পর্যন্ত মিছিলেও আর বাধা নেই । মিছিল করার অনুমতি দিল কলকাতা হাইকোর্ট । বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজ আজ এই নির্দেশ দিয়েছেন ।
পুজোয় জমায়েতে সমস্যা নেই বলে জানাল হাইকোর্ট (নিজস্ব ভিডিয়ো) গত বুধবার কলকাতা পুলিশ কমিশনারের স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, 25 সেপ্টেম্বর থেকে 23 নভেম্বর পর্যন্ত শহর কলকাতা ও দক্ষিণ 24 পরগনায় কলকাতা পুলিশের থানা এলাকায় পাঁচ জনের বেশি একত্রে চলাফেরা, দাঁড়িয়ে থাকা বা জমায়েত করা যাবে না । তারপরই কলকাতা হাইকোর্টে জোড়া মামলা দায়ের হয় ।
বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজ এই মামলার গত দিনের শুনানিতে পুলিশের উদ্দেশে বলেন, "বিজ্ঞপ্তি প্রত্যাহার করার সুযোগ আছে কি না দেখুন, নইলে ওই এলাকার সব পুজো বন্ধ করতে হবে ৷" তাঁর এই কথার পর রাজ্য সরকার তাদের অবস্থান স্পষ্ট করে জানায়, কেসি দাস থেকে ভিক্টোরিয়া হাউস পর্যন্ত অংশের বাইরে জমায়েত বা মিটিং-মিছিলে অসুবিধা নেই ।
এর আগের শুনানিতেই পুলিশের তরফে অবশ্য বলা হয়েছিল, কেসি দাস থেকে ভিক্টোরিয়া হাউস - শুধুমাত্র 60 মিটার এই এলাকাটিতে 144 ধারা (ভারতীয় ন্যায় সংহিতার আইন অনুযায়ী যা বর্তমানে 163 ধারা) বলবৎ থাকে । প্রতি 6 মাস অন্তর এই বিজ্ঞপ্তি জারি হয় । যেহেতু এই এলাকাটি বউবাজার, হেয়ার স্ট্রিট, ট্রাফিক গার্ড হেডকোয়ার্টারের অধীনে থাকে, তাই ওই তিনটি থানার নাম বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে । এই বিজ্ঞপ্তির অর্থ এই নয় যে, ওই অঞ্চলের বাইরে অন্য কোনও এলাকায় 163 ধারা বজায় থাকবে ।