মালদা, 8 অগস্ট: ভাগ্যের চাকা ৷ কখন কার ঘুরবে কেউ জানে না ৷ যেমন জানতেন না সিভিক ভলান্টিয়ার দিলীপও ৷ প্রতিদিনের মতো বুধবারও কোনওরকমে ডাল-ভাত খেয়ে ডিউটিতে গিয়েছিলেন তিনি ৷ যখন জানলেন, তখন ভিড়মি খাওয়ার জোগাড় তাঁর ৷ ডিউটিতে যোগ দেওয়ার পরই তিনি জানতে পারেন কোটিপতি হয়েছেন ৷
লটারিতে প্রথম পুরস্কার জয়ী দিলীপ গোস্বামী (ইটিভি ভারত) রতুয়া 1 নম্বর ব্লকের রতুয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের রুকুন্দিপুর গ্রামের গোস্বামী পাড়ার বাসিন্দা দিলীপ গোস্বামী ৷ পেশায় সিভিক ভলান্টিয়ার ৷ তবে তিনি গৃহশিক্ষকতাও করেন ৷ বর্তমানে রতুয়া থানায় কর্মরত ৷ বাড়িতে রয়েছেন বাবা-মা, স্ত্রী ও এক ছেলে ৷ বাবার বয়স হয়েছে ৷ আগে কৃষিকাজ করতেন ৷ এখন পারেন না ৷ দিলীপের উপার্জনেই মূলত সংসার চলে ৷ মাঝেমধ্যে লটারির টিকিট কাটতেন তিনি ৷ এদিন সকালে ডিউটিতে যাওয়ার সময় রতুয়া হাটখোলায় এক লটারি টিকিট বিক্রেতা তাঁকে ডাকে একগোছা টিকিট তুলে দেন ৷ দিলীপ না বলতে পারেননি ৷ টিকিট নিয়ে থানায় ডিউটিতে চলে যান ৷ কাজে যোগ দেন ৷
বুধবার দুপুরেই ওই লটারির টিকিট বিক্রেতা তাঁকে ফোন করে জানান, তাঁর টিকিটে প্রথম পুরস্কার এক কোটি টাকা উঠেছে ৷ এরপরই ওই টিকিট বিক্রেতার কাছে যান ৷ বারবার টিকিটের নম্বর মিলিয়ে দেখেন ৷ বুঝতে পারেন তাঁর ভাগ্যের চাকা ঘুরেছে ৷ সত্যিই তিনি লটারিতে এক কোটি টাকা পুরস্কার পেয়েছেন ৷ এরপরই নিরাপত্তার স্বার্থে থানায় জনা রাখেন টিকিটটি ৷
দিলীপের কথায়, " আজ সকালে টিউশন পড়িয়ে থানায় যাচ্ছিলান কাজে যোগ দিতে ৷ থানায় আসার রথে হাটখোলার একটি দোকান থেকে 270 টাকা দিয়ে বেশ কিছু লটারির টিকিট কিনি ৷ তার মধ্যে একটি টিকিটে প্রথম পুরস্কার পেয়েছি ৷ বেলা একটা এক মিনিটে ওই টিকিট বিক্রেতা আমাকে ফোন করে জানান, আমার কাছে টিকিটের যে নম্বর রয়েছে সেই নম্বরে প্রথম পুরস্কারের এক কোটি টাকা উঠেছে ৷ তারপর আমি দোকানে গিয়ে টিকিটের নম্বর ও সিরিজ মিলিয়ে দেখি, আমার টিকিটেই এক কোটি টাকা উঠেছে ৷ এই টাকায় ভবিষ্যতে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার জন্য অবশ্যই কিছু করব ৷ তবে এর জন্য সিভিক ভলান্টিয়ারের কাজ ছাড়ব না ৷"