শ্রীনগর, 25 জানুয়ারি: এবার ভূস্বর্গে ছুটবে বন্দে ভারত ৷ কাশ্মীরে বন্দে ভারত যে প্রকল্প কেন্দ্রীয় সরকার নিয়েছে, তা সফলভাবে প্রাথমিক পর্যায় পেরিয়েছে ৷ শনিবার কাটরা থেকে শ্রীনগর পর্যন্ত প্রথম পরীক্ষামূলক যাত্রা সফলভাবে শেষ করেছে বন্দে ভারত । বিলাসবহুল এবং গতির জন্য পরিচিত ট্রেনের রেকটি সকাল 8টায় কাটরা রেলওয়ে স্টেশন থেকে ছাড়ে ৷ মাত্র তিন ঘণ্টায় 150 কিলোমিটারেরও বেশি পথ অতিক্রম করে সকাল 11টায় শ্রীনগর রেলওয়ে স্টেশনে পৌঁছয় সেটি ৷
পাহাড়ি পথ এবং জটিল বাঁক ৷ জম্মু থেকে শ্রীনগরের মধ্যে যেকোনও ট্রেন সাধারণত প্রায় 6 থেকে 8 ঘণ্টা সময় নেয় । তবে 272 কিলোমিটার বিস্তৃত এবং প্রথমবারের মতো ট্রেনে কাশ্মীরকে দেশের বাকি অংশের সঙ্গে সংযুক্ত করে উধমপুর-শ্রীনগর-বারামুল্লা রেল লিঙ্কটি যাত্রার সময়কেও উল্লেখযোগ্যভাবে কমিয়েছে ।
দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনের পর আগামী মাসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি কাটরা থেকে শ্রীনগর পর্যন্ত বন্দে ভারতের উদ্বোধন করবেন বলে আশা করা হচ্ছে । 41 হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত এই রেলপথটি বিশ্বের সবচেয়ে চ্যালেঞ্জিং পথে যাবে ৷ ভূখণ্ডের এই যাত্রাপথের মধ্য রয়েছে চেনাব সেতু, যা নদীর উপর 1,178 ফুট উঁচুতে নির্মিত ৷ এছাড়াও ট্রেনটি পাহাড়ের মধ্যে নির্মিত সুড়ঙ্গের মধ্য দিয়ে 100 কিলোমিটারেরও বেশি পথ যাবে।
সাকিব ইউসুফ, ভারতীয় রেলওয়ের প্রধান এরিয়া ম্যানেজার (শ্রীনগর) ইটিভি ভারতকে বলেন, ‘‘বন্দে ভারতের রেকটি বিশেষভাবে কাশ্মীরের আবহাওয়ারের কথা মাথায় রেখে ডিজাইন করা হয়েছে । ট্রেনটিতে বিশেষ বৈশিষ্ট্য রয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে মাইনাস তাপমাত্রায় হিমায়িত হওয়া রোধ করার জন্য হিটিং প্যাড । এছাড়াও ট্রেনের উইন্ডশিল্ডে অ্যান্টি-ফ্রস্ট প্রযুক্তি রয়েছে, যা বিশেষভাবে তুষারপাতের জন্য তৈরি । ট্রেনটি শুক্রবার নয়াদিল্লির শাকুর বস্তি রেলওয়ে স্টেশন থেকে যাত্রা শুরু করে ৷ ওইদিন বিকেল 3.20তে জম্মু তাওয়াই রেলওয়ে স্টেশনে পৌঁছয় । শনিবার পাহাড়ের মধ্য দিয়ে উপত্যকায় ট্রায়াল রান শুরু হয় ।
বন্দে ভারত গতির জন্য পরিচিত হলেও কাশ্মীরে 160 কিমি/ঘণ্টা গতিতে চলতে পারে না ৷ কারণ কমিশনার রেলওয়ে নিরাপত্তা অনুযায়ী কাশ্মীরে ট্রেনের সর্বোচ্চ গতি 85 কিমি/ঘণ্টা । রেলওয়ে সূত্রে খবর, কার্যক্রম পরিচালনার পর ট্র্যাক স্থিতিশীল হওয়ার পরে গতি ধীরে ধীরে বৃদ্ধি পায়।