কলকাতা, 26 জানুয়ারি: হেলে পড়া বাড়ির বিষয়ে জানতে হরিয়ানার বিশেষজ্ঞ সংস্থাকে তলব করল কলকাতা কর্পোরেশন ৷ বাড়ি সোজা করা হবে কোন পদ্ধতিতে, এখন যে সব বাড়ি হেলে রয়েছে সেগুলো আদৌ সোজা করা করা সম্ভব কি না, এমন একাধিক প্রশ্নের উত্তর জানতে হরিয়ানার বিশেষজ্ঞ সংস্থাকে ডাকল কলকাতা কর্পোরেশন।
বাঘাযতীনের ঘটনায় দেখা গিয়েছিল হেলে পড়া বাড়ি সোজা করতে গিয়ে বিপত্তি ঘটে। ঘটনাস্থলে কর্পোরেশনের ইঞ্জিনিয়াররা গিয়ে দেখেন গাড়িতে ব্যবহৃত জগ দিয়ে বাড়ির পিলার তোলার কাজ চলছিল। ছিলেন না কোনও স্ট্রাকচারাল ইঞ্জিনিয়ারও। তবে হেলে পড়া বাড়ি সোজা করা বা অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়া পদ্ধতি গোটা দেশে প্রথম হরিয়ানার যে সংস্থাটি বাস্তবায়িত করেছে তাকেই ডেকে পাঠল কলকাতা কর্পোরেশন।
কর্পোরেশন সূত্রে খবর, হরিয়ানায় এই ধরনের একাধিক সংস্থা আছে। তবে যে সংস্থাকে ডাকা হয়েছে তারাই দেশের প্রথম এই প্রযুক্তি বাস্তবায়ন করেছে। তাই বিশেষজ্ঞ সংস্থাকে ডেকে পাঠিয়ে কর্পোরেশন কর্তৃপক্ষ জানতে চাইছে এই প্রযুক্তিটি ঠিক কীভাবে বাস্তবায়ন করা যায় ৷ এক্ষেত্রে কী কী যন্ত্রাংশ ব্যবহার হয়, কী পদ্ধতিতে ব্যবহার হয় তাও বিশদে জানতে চাইছেন তারা।
একই সঙ্গে এর জন্য খরচ কত হবে তাও জানতে চায় কর্পোরেশন। কলকাতায় যে সমস্ত হেলে পড়া বাড়ি আছে সেগুলি কী পরিস্থিতিতে আছে, সেগুলি আদৌ কোনওটা সোজা করা যাবে কি না বা আগামিদিনে এমন কোনও ঘটনা ঘটলে এই সংস্থা তাদের প্রযুক্তি ব্যবহার করে ঝুঁকি ছাড়া বাড়ি সোজা করতে আদৌ কতটা সফল হবে এই সমস্ত বিষয়ে জানতেই এই সংস্থাকে ডাক পাঠানো হয়েছে বলে খবর।
এই প্রসঙ্গে মেয়র ফিরহাদ হাকিম বলেন, "হরিয়ানার একটি বিশেষজ্ঞ সংস্থাকে আমরা ডেকে পাঠিয়েছি। তারা দ্রুত কলকাতায় আসছে।" সূত্রের খবর, এই সংস্থা একটি বিশেষ পদ্ধতি ও প্রযুক্তি ব্যবহার করে। যন্ত্রাংশ ব্যবহার ক্ষেত্রেও তারা আলাদা। সবমিলিয়ে একটি চারতলা বহুতল সোজা করতে কম বেশি কোটি টাকার কাছাকাছি খরচ হয়।