মেদিনীপুর, 14 জানুয়ারি: স্যালাইন-কাণ্ডের তদন্তে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে এল সিআইডির দুই সদস্যের প্রতিনিধি দল । এই দলটি সিআইডি-র খড়গপুরের অফিস থেকে এসেছে বলে জানা গিয়েছে । কলকাতা থেকে ডিএসপি পদমর্যাদার এক আধিকারিকের নেতৃত্বে সিআইডির আরেকটি দলও এসে পৌঁছবে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে । তবে এখন প্রথম দলটি মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ মোসুমী নন্দী এবং সুপার জয়ন্ত রাউতের সঙ্গে কথা বলছে ৷ একইসঙ্গে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র খতিয়ে দেখছে বলে সূত্রের খবর ।
সোমবার স্যালাইন-কাণ্ডে গাফিলতি মেনে নিয়েছে রাজ্য প্রশাসন । এই নিয়ে সিআইডি তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় । মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজের ঘটনা নিয়ে প্রাথমিক রিপোর্ট ইতিমধ্যে জমা পড়েছে নবান্নে । সেই রিপোর্ট পর্যালোচনা করেই সিআইডি তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে রাজ্য-প্রশাসন সূত্রে খবর । সোমবার এ বিষয়ে রাজ্যের মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ এবং স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণ স্বরূপ নিগম সাংবাদিক সম্মেলন করে গাফিলতি মেনে সিআইডি তদন্তের কথা জানান ।
অন্যদিকে, তদন্তভার সিআইডির হাতে দেওয়ার সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন নিহত প্রসূতি মামণি রুইদাসের স্বামী ৷ দেবাশিস রুইদাস বলেন, "আমরা তো জানি না । শুনেছি, রাজ্য সরকার সিআইডি তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে । সিআইডি যেন ভালোভাবে তদন্ত করে । কীভাবে মৃত্যু হল মামণির, আমরাও তা জানতে চাই । সুস্থভাবে বাড়ি থেকে এসেছিল । ডাক্তারদের ভুল না স্যালাইনের ভুল ? এই সত্যটা আমরাও জানতে চাই ।"