কলকাতা, 17 জানুয়ারি: জুনিয়র চিকিৎসক আসফাকুল্লা নাইয়ার বাড়িতে পুলিশ ৷ বৃহস্পতিবার তার বাড়িতে যান বিধাননগর পুলিশের প্রায় 30 জন প্রতিনিধি। কিন্তু পুলিশের এত সক্রিয়তা কীসের ? কার অভিযোগের ভিত্তিতে এত সক্রিয়তা ? এর পিছনে কোনও প্রতিহিংসামূলক আচরণ আছে কি না ? সেই প্রশ্নগুলোর উত্তর জানতেই শুক্রবার বিধাননগর পুলিশ কমিশনারের সঙ্গে দেখা করতে যান জুনিয়র চিকিৎসকরা । তাঁদের সঙ্গে ছিলেন সিনিয়র চিকিৎসক এবং বহু সাধারণ মানুষ।
শুক্রবার বিকাল 5টা নাগাদ বিধাননগর পুলিশ কমিশনার অফিসের সামনে জমায়েত করেন ওয়েস্ট বেঙ্গল জুনিয়র ডক্টরস ফ্রন্ট। সেখানে গিয়ে তাঁদের 10 জনের প্রতিনিধি যান পুলিশ কমিশনের সঙ্গে দেখা করতে। প্রায় 40 মিনিট মতো তাঁরা বিধাননগর পুলিশ কমিশনার মুকেশের সঙ্গে কথা বলেন। কেন পুলিশের এই ভূমিকা সেই প্রশ্নই তোলেন তাঁরা।
সাক্ষাতের পর জুনিয়র চিকিৎসক দেবাশিস হালদার বলেন, "আমরা জানতে চেয়েছিলাম। কিন্তু উনি যা বলেছেন সেইগুলো আমরা আগে থেকেই জানতাম। তবে যদি অভিযোগ হয় তাহলে স্বচ্ছ তদন্ত হোক। কিন্তু এটা পুলিশের অতি সক্রিয়তা ছাড়া কিছু না। প্রতিবাদের কণ্ঠরোধ করা ছাড়া আর কিছু নয়। তবে আমাদের সহযোদ্ধা সবরকম সহযোগিতা করবেন।"
জুনিয়র চিকিৎসকদের এই কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন জয়েন্ট প্ল্যাটফর্ম অফ ডক্টরসের সদস্য চিকিৎসক তোমোনাশ চৌধুরী এবং চিকিৎসক সুবর্ণ গোস্বামী। তবে জুনিয়র চিকিৎসকদের সঙ্গে পুলিশ কমিশনের সঙ্গে দেখা করেন সিনিয়র চিকিৎসক তোমোনাশ চৌধুরী। তিনি বলেন, "কষ্ট করে বেড়ে ওঠা এক ছাত্রের স্বপ্নকে নষ্ট করতে চাওয়ার ইচ্ছা। পুলিশ তার যুক্তি দিয়ে আমাদের বোঝানোর চেষ্টা করেছেন। কিন্তু যেখানে আমাদের মনে হয় পুলিশি তদন্ত হওয়া প্রয়োজন সেখানে না করে, বরং এই চিকিৎসক আসফাকুল্লা নাইয়ার বিষয়ে যেখানে মেডিক্যাল কাউন্সিলে তদন্ত করার জায়গায় পুলিশি তদন্ত দেখতে পাচ্ছি।"