কলকাতা, 17 জানুয়ারি: বৃহস্পতিবার ছবি-সহ তথ্য দিয়ে 103 নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর অনন্যা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বেআইনি নির্মাণ নিয়ে সরব হন বিজেপি কাউন্সিলর সজল ঘোষ । সেই আঁচ এল শুক্রবার কলকাতা কর্পোরেশনের মাসিক অধিবেশনে। অনন্যার হাতি বাড়ি বেআইনি অভিযোগের পাল্টা সজল ঘোষের বাড়ি বেআইনি বলে অভিযোগ তোলেন 103 নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর অনন্যা ৷
সজল ঘোষ আজ, শুক্রবার অধিবেশনে বলেন, "ওই বাড়ি বেআইনি ৷ ভাঙার নির্দেশ হওয়ার পরেও কীভাবে মেয়র পরিষদ বৈঠকে অনুমোদন হয় আইনি হয়ে গেল ?" এই দাবির পাল্টা তৃণমূল কংগ্রেস কাউন্সিলর অনন্যা অনন্যা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "সজল ঘোষের বাড়িও বেআইনি।" যদিও তিনি তাঁর দাবির পক্ষে কোনও তথ্য প্রমাণ তুলে ধরতে পারেননি।
তবে সজল ঘোষের অভিযোগের উত্তরে মেয়র ফিরহাদ হাকিম জানান, বাড়িটি সামান্য কিছু অংশ বেআইনি হয়েছিল। বহু মানুষই তা করেন। কর্পোরেশন আইনমাফিক শুনানি করে সেগুলো রেগুরালাইজ করে। যেহেতু এই বাড়িটি অনন্যা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তাই রাজনৈতিক ইস্যু করছে। সজল ঘোষ বলেন, "আমার বাড়ি বেআইনি হলে ভেঙে ফেলুন। উনি যে সব কথা বলছেন সঠিক তথ্য জানেন না। আমি দিয়ে দেব।"
মাসিক অধিবেশন শেষে বেরনোর পর ফিরহাদ হাকিম সাংবাদিকদের উত্তরে বলেন, "আইন সকলের জন্য ৷ জনপ্রতিনিধিদেরও রেগুলারাইজ করার অধিকার আছে। 401-এর নোটিশ করা হয়েছিল। লিফট এবং সিঁড়ি রেগুলারাইজড করা হয়। 32 লাখ টাকা জমা দেন। পঞ্চম তলা ভাঙার অর্ডার দেওয়া হয় সেটা ডেমোলিস করা হয়।"
এদিকে বাঘাযতীন-কাণ্ডে বকখালি থেকে অভিযুক্ত প্রোমোটার সুভাষ রায়কে এদিন মিউনিসিপাল কোর্টে তোলা হয়। এখানে নেতাজিনগর থানা পুলিশ হেফাজত চাইলে বিচারক তা মঞ্জুর করে তিনদিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন।
বাঘাযতীন-কাণ্ডে প্রসঙ্গে মেয়র ফিরহাদ বলেন, "আমি তো আইন পরিবর্তন করতে পারি না ৷ সত্যিই ওনারা ভিকটিম। এটা পুলিশ সহানুভূতির সঙ্গে দেখবে। ওনারদের অজান্তেই অন্যায় হয়েছে। প্রোমোটার জেনে শুনে অন্যায় করেছে। তাই তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। খতিয়ে দেখা হচ্ছে আইন মেনে ওই ফ্ল্যাটে বসবাসকারীদের জন্য কর্পোরেশনের তরফে কিছু করা যায় কি না। বাঘাযতীনে হেলে পড়া পুরো বাড়ি ভাঙতে 10 থেকে 15 দিন সময় লাগবে। এই কাজের তদারকি করছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় স্ট্রাকচারার ইঞ্জিনিয়ার।"
ইঞ্জিনিয়ারের পরামর্শ না নিয়েই কাজ, বাঘাযতীন ফ্ল্যাট-কাণ্ডের প্রাথমিক রিপোর্টে আর কী