বোলপুর, 17 জানুয়ারি: এক মিনিটে বাঁ-পায়ের বুড়ো আঙুল 116 বার ফাটাতে পারেন বোলপুরের চৈতালি গড়াই ৷ আর শুধু ফাটাতে পারা নয়, এই কাজটি করে 'ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডসে' নামও তুলেছেন বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের এই প্রাক্তনী ৷ বর্তমানে গুয়াহাটি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলা ভাষায় গবেষণা করছেন তিনি ৷
বীরভূমের সাঁইথিয়া থানার বাসাসপুরের বনগ্রামের বাসিন্দা চৈতালির এই অভিনব 'গুণ' নজর কেড়েছিল সহপাঠী থেকে শুরু করে পরিজন সকলের ৷ তবে, চৈতালি জানান, তিনি কখনও ভাবেননি এর জন্য কোনও রেকর্ড হতে পারে ৷ গুগল সার্চ করে 'ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডসে'র বিষয়টি জানতে পারেন ৷ তারপর ভিডিয়ো করে সংস্থার সাইটে আপলোড করে দেন ৷ তাঁর আবেদন গৃহীত হয় এবং সেটি মনোনীতও হয়ে যায় ৷ 116 বার বাঁ-পায়ের বুড়ো আঙুল ফাটিয়ে 'ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডসে' নাম তুলেছেন তিনি ৷ ইতিমধ্যে চৈতালিকে একটি স্মারক, শংসাপত্র, কলম, আইকার্ড ও মেডেল পাঠিয়েছে 'ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডস' কর্তৃপক্ষ ৷
বর্তমানে বোলপুরে দিদি বর্ণালী গড়াইয়ের বাড়ি থেকেই পড়াশোনা করেন চৈতালি ৷ সাধারণত মানুষ একবার, খুব বেশি হলে দুই বা তিনবার পায়ের আঙুল ফাটাতে পারেন পরপর ৷ কিন্তু, ছোটবেলা থেকেই চৈতালি নিজের বাঁ-পায়ে বুড়ো আঙুল পরপর অসংখ্যবার ফাটাতে সক্ষম ৷
তাঁর এই বিষয়টি উপভোগ করতেন পরিচিতরা ৷ মজার ছলে চৈতালি 2024 সালের 15 ডিসেম্বর সামনে স্টপওয়াচ রেখে একটি ভিডিয়ো তৈরি করেন ৷ সেই ভিডিয়োতে দেখা যায় মাত্র 1 মিনিট 116 বার নিজের বাঁ-পায়ের বুড়ো আঙুলটি ফাটাতে পারছেন চৈতালি ৷ তারপর ভিডিয়োটি 'ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডস'-এর সাইটে নিজের বিবরণ দিয়ে পাঠিয়ে দেন ৷ কিন্তু, তিনি নিজেও ভাবতে পারেননি যে, এই বিষয়টি রেকর্ড হতে পারে ৷
16 জানুয়ারি 'ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডস'-এর তরফে চৈতালি গড়াইকে স্মারক, শংসাপত্র, কলম, ব্যাচ, মেডেল, আই কার্ড প্রভৃতি পাঠানো হয়েছে ৷ তিনি বলেন, "আমি কল্পনাও করিনি এটা কোনও রেকর্ড হতে পারে ৷ আমি ছোট থেকেই ইচ্ছা মতো পায়ের আঙুল ফাটাতে পারি ৷ সবাই মজা পেত এটি দেখে ৷ তবে, সোশাল সাইট ঘাটতে-ঘাটতে আমি জানতে পারি বিভিন্ন অভিনব বিষয়ে রেকর্ড হয় ৷ আমি মজার ছলেই একটা ভিডিয়ো বানিয়ে ওদের সাইটে আপলোড করে দিই ৷ তারপর দেখলাম বিষয়টি ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ড হল ৷"
চৈতালীর দিদি বর্ণালী গড়াই বলেন, "বোনের এই বিষয় আমরা সবাই ছোট থেকেই জানি ৷ ও পড়তে-পড়তে নিজের পায়ের আঙুল ফাটাতো ৷ তারপর একদিন সেটাকে ভিডিয়ো রেকর্ড করে পাঠায় ৷ আমরাও ভাবিনি এটা একটা রেকর্ড হতে পারে ৷ তবে খুবই ভালো লাগছে ৷ আমরা সবাই খুশি ৷"