সন্দেশখালি, 15 মে: সন্ত্রস্ত সন্দেশখালিতে এ বার শুরু হল কেন্দ্রীয় বাহিনীর রুটমার্চ । ভোটের আগে গ্রামবাসীদের মনে ভরসা জোগাতে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা গ্রামে ঢুকে রুটমার্চ শুরু করেছেন । তাঁরা কথা বলছেন গ্রামের লোকজনের সঙ্গে । যদিও তাতে আশ্বস্ত হতে পারছেন না বিজেপি সমর্থিত গ্রামবাসীরা । তাই গ্রামের মহিলারা রাত-পাহারার ব্যবস্থা করেছেন ৷
তাঁদের অভিযোগ,"রাতের অন্ধকারে তৃণমূলের গুন্ডারা পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে হুমকি দিয়ে যাচ্ছে । মারধর করছে । বলছে, 4 জুন ভোটের ফলাফল প্রকাশের পর তাঁরা দেখে নেবে ।" ফলে আতঙ্কিত গ্রামবাসীরা নিজেদের নিরাপত্তার দায়িত্ব নিজেরাই নিয়েছেন । ঝাঁটা, লাঠি হাতে নিয়ে রাত পাহারা দিচ্ছেন গ্রামের মহিলারা । তাঁরা শপথ নিয়েছেন, গ্রামে কোনওভাবেই পুলিশ কিংবা তৃণমূল নেতাদের ঢুকতে দেবেন না । যার ফলে পুলিশের উপর আস্থা হারিয়ে গ্রামের মহিলারা পথে নেমে আন্দোলনে সামিল হয়েছেন ।
ভোটমুখী বসিরহাটের সন্দেশখালিতে গত কয়েকদিনে যেন ঘটনার ঘনঘটা । কিছুদিন আগের অশান্তির সেই চেনা ছবি আবারও ফিরতে শুরু করেছে সন্দেশখালিতে । তবে, যাবতীয় ঘটনা আবর্তিত হয়েছে একটি ভাইরাল ভিডিয়োকে ঘিরে । যা ঘিরে কখনও গেরুয়া শিবিরের নেতা-নেত্রীদের বিরুদ্ধে ধর্ষণ-শ্লীলতাহানির 'মিথ্যা' অভিযোগ তুলে থানার দ্বারস্থ হচ্ছেন প্রতিবাদী মহিলাদের একাংশ । আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানাচ্ছেন তাঁরা । এমনকি বিজেপি নেত্রী পিয়ালি দাসকে গ্রেফতার করা হয়েছে । ঘটনা প্রবাহের জেরে বিজেপির থানা ঘেরাও আন্দোলন থেকে শুরু করে তৃণমূল নেতা-কর্মীদের বাড়িতে ঢুকে মারধর ও হেনস্থার ঘটনাও ঘটেছে সন্দেশখালির মাটিতে ।