কলকাতা, 13 ফেব্রুয়ারি: রাজ্যের সরকারি আবাসন দখল করে ব্যবসা চলার অভিযোগ পেয়ে ক্ষুব্ধ হলেন প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম । এই বিষয়ে রাজ্যের আবাসন দফতরের সচিবকে কয়েকটি বিষয় জানাতে নির্দেশ দিলেন তিনি ৷ জানতে চাওয়া হয়েছে কলকাতায় সরকারি আবাসনগুলিতে নিযুক্ত অফিসার এবং কর্মচারীর সংখ্যা কত । বৃহস্পতিবার প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম ও বিচারপতি বিভাস পট্টনায়কের ডিভিশন বেঞ্চ এই নির্দেশ দেয় ।
দুর্গাপুরে সরকারি আবাসন প্রাইভেট কোম্পানিকে দেওয়ার অভিযোগে মামলা হয়েছিল । সেখানে বলা হয়, সরকারি আবাসন যেগুলি কর্মীদের পাওয়ার কথা, সেগুলিতে বেসরকারি কোম্পানি ব্যবসা করছে । তাতেই ক্ষুব্ধ হন প্রধান বিচারপতি । এরকমভাবে প্রায় 91টি ফ্ল্যাট বেসরকারি সংস্থাকে ভাড়া দেওয়া হয়েছিল বলে মামলায় উল্লেখ করা হয় ।
যদিও এই বিষয়ে বেসরকারি সংস্থার আইনজীবী জানান, ইতিমধ্যে 89টি ফ্ল্যাট ফেরত দেওয়া হয়েছে তাদের মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার জন্য । প্রধান বিচারপতির পর্যবেক্ষণ, কলকাতা হাইকোর্টের কর্মচারীরা প্রায় 60-70 কিলোমিটার দূর থেকে আসে । ট্রেন এবং বাসের সমস্যা হলে তাদের পৌঁছতে দেরি হয় । এ ক্ষেত্রে তাঁরা সরকারি আবাসন পাওয়ার যোগ্য । দূরে থাকেন বলে সময়মতো তাঁরা হাইকোর্টে পৌঁছতে পারেন না ।
প্রধান বিচারপতির সুপারিশ, কলকাতার বুকে সরকারি আবাসন থেকে অন্তত 150টি ফ্ল্যাট কলকাতা হাইকোর্টের জন্য বরাদ্দ করা হোক ।
কলকাতার বুকে কত সরকারি ফ্ল্যাট রয়েছে, তার মধ্যে কতগুলিতে কর্মরত অফিসার এবং কর্মচারীরা রয়েছেন তা হলফনামা দিয়ে জানাতে হবে সচিবকে । এছাড়াও, রাজ্যের সমস্ত সরকারি আবাসনগুলি কোন অবস্থায় আছে এবং সেগুলিতে কতজন কর্মরত সরকারি কর্মচারী বা দখলদার রয়েছেন তার বিস্তারিত তথ্য কলকাতা হাইকোর্টকে জানাতে হবে ।