মালদা, 6 সেপ্টেম্বর: বাইকে চেপে ছেলেকে নিয়ে হাট থেকে বাড়ি ফিরছিলেন ব্যবসায়ী ৷ হঠাৎই পাশ থেকে চলে গুলি ৷ গুরুতর আহত হয়ে ঘটনাস্থলে বাইক থেকে পড়ে যান তিনি ৷ বৃহস্পতিবার ভর সন্ধ্যায় ঘটনাটি ঘটে হরিশ্চন্দ্রপুর থানার অন্তর্গত বাংলা-বিহার সীমানা সংলগ্ন ওয়ারি গ্রামে ৷ ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়ায় ৷ তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ ৷
ব্যবসায়ীকে গুলি দুই বাইক আরোহীর (ইটিভি ভারত) গুলিবিদ্ধ ব্যবসায়ীর নাম শচীন পোদ্দার ৷ হরিশ্চন্দ্রপুরের কুস্তরিয়া এলাকার বাসিন্দা তিনি ৷ বয়স 58 বছর ৷ স্থানীয় ও পরিবার সূত্রে খবর, এদিন ওয়ারি এলাকার হাটে গিয়েছিলেন তিনি । সঙ্গে ছিলেন ছেলে ভোলা পোদ্দার। সন্ধ্যার সময় হাট থেকে মোটরবাইকে করে বাড়ি ফিরছিলেন দু'জনে ৷ অভিযোগ, সেই সময় মোটরবাইকে থাকা দুই ব্যক্তি গুলি ছোড়ে । গুলি শচীনের কোমড় ছুঁয়ে বেরিয়ে যায় ।
ঘটনাস্থলেই রক্তাক্ত অবস্থায় লুটিয়ে পড়েন শচীন ৷ তড়িঘড়ি তাঁকে উদ্ধার করে হরিশ্চন্দ্রপুর গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করা হয় । বর্তমানে সেখানেই চিকিৎসাধীন তিনি । স্থানীয় বাসিন্দাদের অনুমান, ব্যক্তিগত শত্রুতা কিংবা ছিনতাইয়ের উদ্দেশ্যে এই ঘটনা ঘটেছে ৷ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশ । সিসি টিভি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে অভিযুক্তদের শনাক্তের চেষ্টা করছেন অফিসাররা ৷ কে বা কারা এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত ? কোন উদ্দেশ্যে শচীনের উপর এই হামলা ? তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ ৷
ঘটনাপ্রসঙ্গে শচীন বলেন, "হাট থেকে বাড়ি ফিরছিলাম । ওরা মোটরবাইকে দু'জন ছিল ৷ আমি ওদের ওভারটেক করতেই ওরা পিছন থেকে গুলি ছোড়ে । আমার কোমড় ছুঁয়ে গুলি বেরিয়ে যায় ।" ছেলে ভোলা পোদ্দার বলেন, "বাবার সঙ্গে মোটরবাইকে আমি ছিলাম ৷ ওরা দু'জন মোটরবাইকে দীর্ঘ সময় ধরে আমাদের ফলো করছিল । আমরা বিষয়টি বুঝতে পারিনি । ফাঁকা রাস্তা পেতেই ওরা গুলি ছোড়ে । বাবার বাম দিকের কোমড়ে ছুঁয়ে গুলি বেরিয়ে যায় ।" তিনি আরও বলেন, "গুলি চালানোর পর ওরা বিহারের দিকে পালিয়ে যায় । বাবাকে হাসপাতালে নিয়ে এসেছি । বাবার সঙ্গে কারও শত্রুতা ছিল না ৷ যারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে তাদের মোটরবাইকে নম্বর প্লেট ছিল না ৷ আমরা দোষীদের শাস্তি চাই।"