সোনারপুর, 2 ডিসেম্বর: একদিকে তৃণমূল সুপ্রিমো তাঁর দলের নেতা, মন্ত্রী, বিধায়ক এবং সাংসদদের শৃঙ্খলা বজায় রাখতে বলছেন ৷ আর উলটোদিকে সেই নির্দেশকে উপেক্ষা করে বেঁফাস মন্তব্য করেই চলেছেন তৃণমূলের নেতানেত্রীরা ৷ এবার সেই তালিকায় সোনারপুর দক্ষিণের বিধায়ক লাভলি মৈত্র ৷ তাঁর দাবি, আরজি করের নির্যাতিতার বিচারের দাবি নয়, রাত জেগে গান-বাজনা, ফূর্তি, নেশাভাঙ ও রাজনৈতিক ফায়দা লোটাই উদ্দেশ্য ছিল রাত দখল কর্মসূচিতে ৷
জুনিয়র ডক্টরস ফ্রন্টের আন্দোলন ও রাত দখল কর্মসূচি নিয়ে সোনারপুর দক্ষিণের বিধায়ক রীতিমতো তুই-তোকারি করে বলেন, "কত বড় মুর্খ ৷ বলছে নাগরিক সমাজের মিছিল ৷ কিন্তু, সেই লাল-কালো, সেই সিপিএমের আদল ৷ ব্যানারটা তো একটু আলাদা কর ৷ রাত দখলের নাম করে কী হচ্ছে, গানবাজনা হচ্ছে, পথে ছবি আঁকছে, গিটার বাজিয়ে গান করছে ৷ নাটক করছে রাস্তায় ৷ মানে নাচন, কোদন, গিটার, গান চলছে ৷"
এর পরেই আরজি করের নির্যাতিতার সুবিচারের দাবিতে আন্দোলনকে নিশানা করেন বিধায়ক ৷ তিনি বলেন, "তাঁদের লক্ষ্য কী ? নাকি তিলোত্তমার বিচার চাই ৷ আদতে তিলোত্তমার বিচার নয় ৷ ওদের লক্ষ্য তিলোত্তমার মায়ের কষ্ট, চোখের জলকে বিক্রি করে রাজনৈতিক লাভ তোলা ৷ আর তার সঙ্গে নিজেদের আনন্দ-ফূর্তি ৷"
এই ইস্যুতে আন্দোলনকারী জুনিয়র ডাক্তারদের ব্যক্তিগত আক্রমণ করেন লাভলি মৈত্র ৷ তিনি বলেন, "এই যে বয়ফ্রেন্ড-গার্লফ্রেন্ড বলছে, তা তো ঠিকই ৷ একসঙ্গে রাতে থাকা যাবে, গানবাজনা হবে, কিছু নেশাভাঙ হবে, বিরিয়ানি খাওয়া হবে ৷ এরা আসলে সুবিচার চায় না ৷ এরা রাজনৈতিক ফায়দা নিতে চায় ৷"
সোনারপুর দক্ষিণের তৃণমূলের বিধায়কের এই মন্তব্য নিয়ে ইতিমধ্যে বিতর্ক শুরু হয়েছে ৷ বিধায়কের মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় জুনিয়র ডাক্তার সৌম্যদীপ রায় বলেন, "একদিকে শাসকদল বলছে তারা ন্যায়বিচার চায় ৷ আবার অন্যদিকে তারা এই ধরনের মন্তব্য করছে ৷ তাহলে এই দ্বিচারিতা কেন ৷ তাহলে কি তারা দোষীদের আড়াল করতেই এ ধরনের মন্তব্য করছেন ৷ জুনিয়র চিকিৎসকরা কী আন্দোলন করেছেন, তা জনগণের সাড়া দেখলেই বোঝা যাবে ৷ আজকেও যদি আমরা ডাকি, জনগণ আমাদের পাশে থাকবেন ৷ আমাদের সঙ্গে পা মিলিয়ে ন্যায়বিচার চাইবেন ৷