ETV Bharat / bharat

পারস্পরিক গ্রহণযোগ্যতা না থাকলে সম্পর্ক স্বাভাবিক হবে না, ভারত-চিন নিয়ে মন্তব্য জয়শঙ্করের

ভারত-চিন সম্পর্কের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে লোকসভায় বিবৃতি দিলেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর ৷ আগের তুলনায় সম্পর্কের উন্নতি হয়েছে বলে জানালেন তিনি ৷

EAM S Jaishankar in Loksabha
লোকসভায় ভারত-চিন সম্পর্ক নিয়ে বলছেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (ছবি সৌজন্য: সংসদ টিভি)
author img

By PTI

Published : 17 hours ago

নয়াদিল্লি, 3 ডিসেম্বর: দু'টি দেশের মধ্যে পরিষ্কার এবং স্বচ্ছ দিকনির্দেশ না থাকলে সম্পর্ক স্বাভাবিক হয় না ৷ মঙ্গলবার লোকসভায় ভারত-চিন নিয়ে বিবৃতি দেওয়ার সময় একথা জানালেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর ৷

চিনের সঙ্গে আন্তর্জাতিক সীমান্তে সমঝোতায় পৌঁছতে ভারত সবসময় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ ৷ দু'টি দেশের মধ্যে স্বচ্ছ ও গ্রহণযোগ্য পরিকাঠামো গড়ার মাধ্যমে তা সম্ভব ৷ এরই সঙ্গে জয়শঙ্কর এও উল্লেখ করেন যে, একে অপরের প্রতি দৃষ্টিভঙ্গি স্বচ্ছ, পরিষ্কার না-হলে ভারত ও চিনের মধ্যে সম্পর্ক স্বাভাবিক হওয়া সম্ভব নয় ৷

2020 সালে কোভিডকালে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা'র (এলএসি) গালওয়ানে ভারতীয় সেনার সঙ্গে চিনের পিএলএ বাহিনীর সংঘর্ষ বাধে ৷ তারপর থেকে দু'দেশের মধ্যে সম্পর্ক ক্রমশ তিক্ত হয়ে উঠেছে ৷ এর জন্য় আন্তর্জাতিক সীমান্তে অশান্তি জন্য চিনের কাজকর্মই দায়ী, সংসদের নিম্নকক্ষে জানান বিদেশমন্ত্রী ৷

তিনি বলেন, "2020 সালের এপ্রিল-মে মাসে পূর্ব লাদাখের কয়েকটি পয়েন্টে বিপুল সংখ্যায় বাহিনী মোতায়েন করেছিল চিন ৷ এর ফলে মুখোমুখি সংঘাত বাধে ৷ গালওয়ান উপত্যকার সংঘর্ষের ঘটনা আমাদের বুঝিয়ে দিয়েছে যে, এই অবস্থায় শুধু যে মৃত্যু হতে পারে তাই নয়, এর মোকাবিলায় সীমান্তে শক্তিশালী অস্ত্রের সম্ভার রাখাটাও জরুরি ৷ তবে দু'দেশের মধ্যে লাগাতার কূটনৈতিক আলোচনার মাধ্যমে সম্প্রতি ভারত-চিন সম্পর্ক কিছুটা উন্নতির দিকে গিয়েছে ৷"

জয়শঙ্কর আরও বলেন, "সীমান্তে সমঝোতার জন্য একটি স্বচ্ছ ও পরস্পরের কাছে গ্রহণযোগ্য পরিকাঠামো গড়তে চাই ৷ এনিয়ে চিনের সঙ্গে আমরা আলোচনা চালিয়ে যেতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ ৷ সরকার বারংবার জানিয়েছে, ভারত-চিন সীমান্তে শান্তি ও স্থিতাবস্থা প্রতিষ্ঠা না হলে সম্পর্ক স্বাভাবিক হওয়া সম্ভব নয় ৷ সীমান্তে দৃঢ় পদক্ষেপ করতে হবে ৷ একে অপরের প্রতি দৃষ্টিভঙ্গ স্বচ্ছ হওয়া দরকার ৷ আমরা খুব পরিষ্কার করে বলেছি, দু'দেশের সম্পর্ক এগিয়ে নিয়ে যেতে গেলে সীমান্তে শান্তি ও স্থিতাবস্থা একেবারে প্রাথমিক বিষয় ৷"

গত 21 অক্টোবর বিদেশ সচিব বিক্রম মিসরি দিল্লিতে জানান, ভারত ও চিন আন্তর্জাতিক সীমান্তে সেনা টহল দেওয়া এবং বিতর্কিত জায়গাগুলি থেকে সেনা প্রত্যাহার করা নিয়ে একমত হয়েছে ৷ এরপর ব্রিকস সম্মেলনে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে বৈঠক করেন ৷ তিনি এই সেনা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্তে সিলমোহর দেন ৷

30 অক্টোবর সেনা সূত্রে জানা যায়, দু'টি দেশই ডেমচক এবং পূর্ব লাদাখের ডেপসাং থেকে সেনা প্রত্যাহার করার প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হয়েছে ৷ দীপাবলির দিন, 31 অক্টোবর মিষ্টি বিনিময়ের মাধ্যমে নতুন সম্পর্কের সূচনা হয় ভারত-চিনের মধ্যে ৷ সেনা সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার, দীপাবলিতে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখার (লাইন অফ অ্যাকচুয়াল কন্ট্রোল, এলএসি) বেশ কয়েকটি জায়গায় চিনের সেনাদের মিষ্টি দিয়ে শুভেচ্ছা জানায় ভারতীয় সেনা ৷

এদিন ভারত-চিন সম্পর্কের উন্নতিতে ভারতীয় সেনার ভূমিকার প্রশংসা করেন বিদেশমন্ত্রী জয়শঙ্কর ৷ তিনি জানান, নানারকম চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েও ভারতীয় সেনা চিনের পিএলএ বাহিনীর মোকিবালা করেছে ৷

নয়াদিল্লি, 3 ডিসেম্বর: দু'টি দেশের মধ্যে পরিষ্কার এবং স্বচ্ছ দিকনির্দেশ না থাকলে সম্পর্ক স্বাভাবিক হয় না ৷ মঙ্গলবার লোকসভায় ভারত-চিন নিয়ে বিবৃতি দেওয়ার সময় একথা জানালেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর ৷

চিনের সঙ্গে আন্তর্জাতিক সীমান্তে সমঝোতায় পৌঁছতে ভারত সবসময় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ ৷ দু'টি দেশের মধ্যে স্বচ্ছ ও গ্রহণযোগ্য পরিকাঠামো গড়ার মাধ্যমে তা সম্ভব ৷ এরই সঙ্গে জয়শঙ্কর এও উল্লেখ করেন যে, একে অপরের প্রতি দৃষ্টিভঙ্গি স্বচ্ছ, পরিষ্কার না-হলে ভারত ও চিনের মধ্যে সম্পর্ক স্বাভাবিক হওয়া সম্ভব নয় ৷

2020 সালে কোভিডকালে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা'র (এলএসি) গালওয়ানে ভারতীয় সেনার সঙ্গে চিনের পিএলএ বাহিনীর সংঘর্ষ বাধে ৷ তারপর থেকে দু'দেশের মধ্যে সম্পর্ক ক্রমশ তিক্ত হয়ে উঠেছে ৷ এর জন্য় আন্তর্জাতিক সীমান্তে অশান্তি জন্য চিনের কাজকর্মই দায়ী, সংসদের নিম্নকক্ষে জানান বিদেশমন্ত্রী ৷

তিনি বলেন, "2020 সালের এপ্রিল-মে মাসে পূর্ব লাদাখের কয়েকটি পয়েন্টে বিপুল সংখ্যায় বাহিনী মোতায়েন করেছিল চিন ৷ এর ফলে মুখোমুখি সংঘাত বাধে ৷ গালওয়ান উপত্যকার সংঘর্ষের ঘটনা আমাদের বুঝিয়ে দিয়েছে যে, এই অবস্থায় শুধু যে মৃত্যু হতে পারে তাই নয়, এর মোকাবিলায় সীমান্তে শক্তিশালী অস্ত্রের সম্ভার রাখাটাও জরুরি ৷ তবে দু'দেশের মধ্যে লাগাতার কূটনৈতিক আলোচনার মাধ্যমে সম্প্রতি ভারত-চিন সম্পর্ক কিছুটা উন্নতির দিকে গিয়েছে ৷"

জয়শঙ্কর আরও বলেন, "সীমান্তে সমঝোতার জন্য একটি স্বচ্ছ ও পরস্পরের কাছে গ্রহণযোগ্য পরিকাঠামো গড়তে চাই ৷ এনিয়ে চিনের সঙ্গে আমরা আলোচনা চালিয়ে যেতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ ৷ সরকার বারংবার জানিয়েছে, ভারত-চিন সীমান্তে শান্তি ও স্থিতাবস্থা প্রতিষ্ঠা না হলে সম্পর্ক স্বাভাবিক হওয়া সম্ভব নয় ৷ সীমান্তে দৃঢ় পদক্ষেপ করতে হবে ৷ একে অপরের প্রতি দৃষ্টিভঙ্গ স্বচ্ছ হওয়া দরকার ৷ আমরা খুব পরিষ্কার করে বলেছি, দু'দেশের সম্পর্ক এগিয়ে নিয়ে যেতে গেলে সীমান্তে শান্তি ও স্থিতাবস্থা একেবারে প্রাথমিক বিষয় ৷"

গত 21 অক্টোবর বিদেশ সচিব বিক্রম মিসরি দিল্লিতে জানান, ভারত ও চিন আন্তর্জাতিক সীমান্তে সেনা টহল দেওয়া এবং বিতর্কিত জায়গাগুলি থেকে সেনা প্রত্যাহার করা নিয়ে একমত হয়েছে ৷ এরপর ব্রিকস সম্মেলনে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে বৈঠক করেন ৷ তিনি এই সেনা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্তে সিলমোহর দেন ৷

30 অক্টোবর সেনা সূত্রে জানা যায়, দু'টি দেশই ডেমচক এবং পূর্ব লাদাখের ডেপসাং থেকে সেনা প্রত্যাহার করার প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হয়েছে ৷ দীপাবলির দিন, 31 অক্টোবর মিষ্টি বিনিময়ের মাধ্যমে নতুন সম্পর্কের সূচনা হয় ভারত-চিনের মধ্যে ৷ সেনা সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার, দীপাবলিতে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখার (লাইন অফ অ্যাকচুয়াল কন্ট্রোল, এলএসি) বেশ কয়েকটি জায়গায় চিনের সেনাদের মিষ্টি দিয়ে শুভেচ্ছা জানায় ভারতীয় সেনা ৷

এদিন ভারত-চিন সম্পর্কের উন্নতিতে ভারতীয় সেনার ভূমিকার প্রশংসা করেন বিদেশমন্ত্রী জয়শঙ্কর ৷ তিনি জানান, নানারকম চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েও ভারতীয় সেনা চিনের পিএলএ বাহিনীর মোকিবালা করেছে ৷

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.