মেদিনীপুর, 2 জানুয়ারি: সরস্বতী পুজো রবিবার না সোমবার, তা নিয়েই বিভ্রান্ত মেদিনীপুর। যার ফলে মেদিনীপুর কলেজের কাছে থাকা কলেজ স্কোয়ার সরস্বতী পুজোর সংখ্যা আগের থেকে অনেকটা কমেছে । পুজো করতে সমস্যায় পড়ছেন ক্লাব কর্তারা। এরই সঙ্গে যোগ হয়েছে বর্তমান প্রজন্মের মোবাইল-আসক্তি ৷ এখন পুজো করা বা হই-হুল্লোড় করা থেকে বিরত থাকছে বর্তমান প্রজন্ম।
ঐতিহ্যবাহী শহর এই পশ্চিম মেদিনীপুর। একসময় অবিভক্ত মেদিনীপুর থাকলেও পরবর্তীকালে তা ভাগ হয়ে নতুন জেলায় আত্মপ্রকাশ করে। এই জেলা শহরে যেমন আনাচে কানাচে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে বিপ্লবীদের বাড়ি ঠিক তেমনি রয়েছে বেশ কিছু পুজো এবং তার সঙ্গে জড়িয়ে থাকা কাহিনী। এরকমই একটি জায়গা হল মেদিনীপুর কলেজের কাছে থাকা কলেজ স্কোয়ার। কলেজ স্কোয়ারের 100 মিটারের মধ্যেই প্রায় 25 থেকে 30টি পুজো হতো অতীতে ৷ গোটা জেলার মানুষ এই পুজোর দিনে ভিড় জমাত এই কলেজ স্কোয়ারে।
স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ বলছেন, পুজোর সংখ্যা কমার অন্যতম বড় কারণ হল জেলা প্রশাসনের ঘন ঘন নিয়ম পরিবর্তন করা। পুজোর আয়োজন নিয়ে সাম্প্রতিক অতীতে একাধিকবার নিয়ম বদল করেছে প্রশাসন। তার জেরে আয়োজকদের সমস্যায় পড়তে হয়েছে। এর পাশাপাশি এবার যোগ হয়েছে দিনক্ষণের বিষয়টিও।
পঞ্জিকা মতে এবার দু'দিন পড়েছে সরস্বতী পুজো। ফলে প্রথম দিন পুজো অনেকেই করতে চাইছে না। আবার অনেকেই প্রথম দিনেই পুজো সেরেছে ৷ অনেকে আবার এখনও মণ্ডপই তৈরি করে উঠতে পারেনি। ফলে ক্লাব কর্তাদের মধ্যে দিনক্ষণ নিয়ে থাকা এই ধোঁয়াশার জন্য কমেছে পুজোর সংখ্যা। এরই সঙ্গে যোগ হয়েছে নতুন প্রজন্ম এগিয়ে না আসার বিষয়টিও ৷ মূল্যবৃদ্ধিও একটা বড় বিষয় ৷ গোটা বিষয়টি নিয়ে হতাশ ক্লাবকর্তারা।
অগ্নিকন্যা ক্লাবের কর্তা সিদ্ধার্থ মণ্ডল বলেন, "পঞ্জিকার যা দিনক্ষণের হেরফের তাতে বিভ্রান্ত হয়েছেন ক্লাব কর্তারা। তাই তারা পুজো থেকে পিছু হটেছেন। এরই সঙ্গে যোগ হয়েছে মোবাইলে আসক্ত প্রজন্ম। তাই আস্তে আস্তে এই কলেজ স্কোয়ারের পুজো উঠে যাচ্ছে।" পাশাপাশি আরও এক ক্লাব কর্তা সুব্রত চক্রবর্তী বলেন, "প্রশাসনের দাপাদাপি তো আছেই, সেই সঙ্গে রয়েছে জিনিসপত্রের দাম বৃদ্ধির বিষয়টিও ৷ বর্তমান প্রজন্ম মোবাইলে ডুবে রয়েছে যার জন্যও হারিয়ে যাচ্ছে পুজো।"