কলকাতা, 8 ফেব্রুয়ারি: স্বপ্নের ক্ষীণ সম্ভাবনাও শেষ ৷ পয়েন্ট টেবিলের অবস্থান পরিবর্তন হয়তো আগামী পাঁচ ম্যাচে হবে। কিন্তু সুপার সিক্সে ইস্টবেঙ্গলের যাওয়ার আশা কার্যত শেষ ৷
শনিবার যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে চেন্নাইয়িন এফসি-র কাছে 0-3 গোলে পরাজিত ইস্টবেঙ্গল। নিশুকুমারের আত্মঘাতী গোলের পরে চেন্নাইয়িনের দ্বিতীয় গোল জর্ডন উইলমারের। ম্যাচের অতিরিক্ত সময়ে তৃতীয় গোল চিমাচুকুর। এই জয়ের ফলে চেন্নাইয়িন 21 পয়েন্টে পৌঁছল ৷ আর ইস্টবেঙ্গল আটকে রইল 18 পয়েন্টে। এই হারের ফলে ইস্টবেঙ্গল ফের 11 নম্বরে। চেন্নাইয়িন পৌঁছল গেল 10 নম্বরে।
ম্যাচের 13 মিনিটে জর্ডন মারের বাড়ানো পাস ধরে কর্নেল শিল্ডের ব্যাক-হিল নিশুকুমারের পায়ে লেগে গোলে চলে যায়। খেলার গতির বিরুদ্ধে পিছিয়ে পড়ার ধাক্কায় ইস্টবেঙ্গলের তাল কেটে যায়। 21 মিনিটে ফের গোল চেন্নাইয়িনের। এবার ইরফানের বাড়ানো পাস ধরে গোল করেন জর্ডন উইলমার মারে। মুম্বই সিটি এফসি-র বিরুদ্ধে ছন্দময় ফুটবলে জয় না-পাওয়ার আক্ষেপ ছিল লাল-হলুদের। ঘরের মাঠে দল সেই ভালো খেলার পুনরাবৃত্তি ঘটিয়ে জয়ে ফিরবে আশায় ছিলেন হাজার ষোলো দর্শক। তাঁরাও হারের হতাশা নিয়ে ঘরে ফিরলেন।
![East Bengal vs Chennaiyin FC](https://etvbharatimages.akamaized.net/etvbharat/prod-images/08-02-2025/23504183_wb_eb.jpeg)
অথচ যেকোনও মূল্যে তিন পয়েন্ট পেতে অস্কার ব্রুজো তাঁর ভাড়ারে যা অস্ত্র ছিল, তা ব্যবহার করেছিলেন। মাঝমাঠে জিকসনের সঙ্গে চোট সারিয়ে মাঠে ফেরা সওল ক্রেসপোকে নামিয়েছিলেন। রক্ষণে হেক্টর ইউস্তের সঙ্গে লালচুনুঙ্গাকে জুড়ে দিয়েছিলেন। চেন্নাইয়িনের গোলের ধাক্কায় সেই কৌশল বিফলে। চুননুঙ্গা পুরো ম্যাচ ভালো খেলে শেষপর্বে দু'বার হলুদ কার্ড (লাল কার্ড) দেখে বাইরে চলে যান। ফলে ম্যাচের শেষ কয়েক মিনিট ইস্টবেঙ্গল 10 জনে খেলে।
2 গোলে পিছিয়ে থাকা অবস্থা থেকে ঘুরে দাঁড়াতে দ্বিতীয়ার্ধে নবাগত রাফায়েল মেসি বাউলি, সদ্য চোট সারিয়ে ওঠা আনোয়ারকে নামান লাল হলুদ কোচ । দলের আক্রমণের তেজ বাড়ে। কিন্তু তাতে চেন্নাইয়িন রক্ষণ ভাঙল না। সেলিসের স্কিল ভালো কিন্তু 'গোললেস ওয়ান্ডার'। দিয়ামানতোকোস চেষ্টা করলেন, কিন্তু তা নিষ্ফলা। নবাগত মেসি বাউলি চেষ্টা করলেন, তবে তাঁকে নিয়ে বলার সময় আসেনি। ব্যর্থতার অন্ধকারে শুধু উজ্বল পিভি বিষ্ণু।