কলকাতা, 9 ফেব্রুয়ারি: নারকেলডাঙার বস্তিতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড ! শনির রাত 11টা নাগাদ আগুন দেখতে পান স্থানীয়রা ৷ একের পর এক সিলিন্ডার ফাটার শব্দ শোনা যায়। ঘর হারিয়ে সর্বস্বান্ত একাধিক পরিবার। স্থানীয়দের দাবি, প্রায় 40টিরও বেশি ঝুপড়ি আগুনের গ্রাসে চলে গিয়েছে ৷ মৃত্য়ু হয়েছে এক প্রৌঢ়ের ৷ তিনি সেইসময় ঘুমিয়ে ছিলেন ৷
মৃত প্রৌঢ়ের নাম হাবিবুল মোল্লা ৷ তিনি এই এলাকায় কাগজ, পিচবোর্ড কুড়িয়ে বেড়াতেন ৷ তাঁর বাড়ি দক্ষিণ 24 পরগনার ন্যাজাটে ৷ প্রায় বছর দশ এই নারকেলডাঙা এলাকায় থাকতেন ৷ এদিন মধ্যরাতে প্রথমে একটি ঘরে আগুন নজরে আসে স্থানীয়দের। আতঙ্কে চিৎকার করলে আশপাশের মানুষজন বেরিয়ে আসে ৷ স্থানীয়রা জল দিয়ে আগুন নেঙানোর চেষ্টা করলেও মুহূর্তের মধ্যে একের পর এক ঝুপড়ি গ্রাস করে আগুনের লেলিহান শিখা। আগুন বাড়তে থাকে। একের পর এক সিলিন্ডার ফাটার শব্দ শোনা যায়। রাজাবাজারের নারকেলডাঙার ওই রেল আবাসন সংলগ্ন বস্তিতে থাকা মানুষজন এরপর দমকলে খবর দেন। দমকলের একের পর এক ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে যায়। তবে আগুন ক্রমশ বাড়তে থাকায় এক এক করে প্রায় 16টি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে পৌঁছয় ৷
ঝুপড়ির আগুনে আশপাশে থাকা ছোট গাড়ি, ট্রাক পর্যন্ত পুড়ে ছাই যায়। বস্তির একাধিক ঝুপড়ি সম্পূর্ণ পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে। মাথার উপরে ছাদ হারিয়ে সর্বস্বান্ত হয়ে পথে বসেছে একাধিক পরিবার। দমকল সূত্রে খবর, সম্ভবত ঝুপড়িতে রান্নার সময় কোনওভাবে আগুন লেগেছে যা পরবর্তী সময় বড় আকার ধারণ করে। যেহেতু ঝুপড়ির ঘরগুলি প্লাস্টিক ও বাঁশ দিয়ে তৈরি, তাই মুহূর্তের মধ্যে আগুন ছড়িয়ে পড়ে আশপাশে।
নারকেলডাঙার ওই রেল আবাসন সংলগ্ন বস্তিতে থাকা মানুষজন কেউ ভ্যান চালক, কেউ দিন-মজুর, কেউ অটো চালান। নিমেষের মধ্যে চোখের সামনে দাউদাউ করে জ্বলে শেষ হয়ে যায় তাঁদের ঘর, সমস্ত আসবাবপত্র, টাকা-পয়সা ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র। তাঁরা কোনওমতে প্রাণ হাতে করে ঘরের বাইরে আসেন। প্রায় ঘণ্টা চারেকের পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হন দমকল বিভাগের কর্মীরা ৷