হায়দরাবাদ, 8 ফেব্রুয়ারি: দলের মত ভাস্কর রায়েরও বদল নেই ৷ সমস্যয় থাকা দলের লাস্ট-লাইন অব ডিফেন্স অনুপ্রেরণার অনুঘটক হয়ে ওঠেন তিনি। কিন্তু সাদা-কালো শিবিরের গোলরক্ষক ভাস্কর রায়ই দলের পতনের কারণ ৷ যে সমস্ত বল পাড়ার খেলায় কোনও গোলরক্ষকের হাত ফস্কালে বাদ পড়া নিশ্চিত, সেই রকম গোল ভাস্কর রায়ের হাত দিয়ে আইএসএল-এর মঞ্চে মহমেডান স্পোর্টিং হজম করে চলেছে । কেরালা ব্লাস্টার্স ম্যাচের পর শনিবার হায়দরাবাদ এফসি ম্যাচেও হাত ফস্কে বল জালে পাঠানোর রাস্তা করে দিলেন এই বাঙালি গোলরক্ষক ৷
এদিন অ্যাওয়ে ম্যাচে হায়দরাবাদ এফসি-র কাছে 1-3 গোলে হারে মহমেডান স্পোর্টিং। নিজামের শহরের দলটির হয়ে গোল অ্যালান ডিসুজা, রামচুলুঙ্গা, জোসেফ সানির। মহমেডানের হয়ে গোল মাখন ছোটের। এই জয়ের ফলে হায়দরাবাদ এফসি-র 19 ম্যাচে 16 পয়েন্ট। সমসংখ্যক ম্যাচে মহমেডানের হয়ে পয়েন্ট 11।
ম্যাচের 24 মিনিটে প্রথম গোল হায়দরাবাদের। এর আগে ঘরের মাঠেও 0-4 গোলে হারতে হয়েছিল মহমেডানকে ৷ শনিবারের ম্যাচে সুযোগ ছিল, সেই ম্যাচের বদলা নেওয়ার। তবে তা হল না। কার্ড সমস্যার জন্য এই ম্যাচে খেলতে পারেননি কাশিমভ। মহমেডান পিছিয়ে পড়ে গোলকিপার ভাস্কর রায়ের ভুলে। অ্যালান ডি'সুজা মিরান্ডার দুরন্ত গোলের সময় মহমেডানের ডিফেন্সও নিজেদের দায় এড়াতে পারে না। মহম্মদ রফির বাড়ানো বলে পা-ছুঁইয়ে গোল করেন হায়দরাবাদ এফসি-র এই স্ট্রাইকার ৷ প্রায় কোনও প্রতিরোধই গড়ে তুলতে পারেননি সাদা-কালো শিবিরের ডিফেন্ডাররা।
বিরতির আগে ব্যবধান বাড়ান তরুণ ফুটবলার রামহলচুঙ্গা। বক্সের একেবারে মাথা থেকে পাওয়া ফ্রি-কিক গোলে রাখতে ভুল করেননি তিনি। একেবারে ওয়ালের মাথার উপর দিয়ে জালে জড়ায় বল। ভাস্কর বাঁ-দিকে ঝাঁপিয়ে পড়ে সেই বল ছুঁলেও, তা গোলের বাইরে বের করতে পারেননি। ফলে ভাস্করের হাতে লেগেই গোলে ঢুকে যায় ৷
ম্যাচের শেষলগ্নে গোল জোসেফের ৷ ম্যাচের অতিরিক্ত সময়ে মিরান্ডার সাজানো পাস থেকে ব্যবধান বাড়ান তিনি। ম্যাচের শেষদিকে ব্যবধান কমায় মহমেডান। গোল মাকেন ছোটের। কর্নার থেকে ডান পায়ের ফ্লিকে গোল করেন তিনি। হায়দরাবাদ তাঁর পুরনো ক্লাব। তাই তাঁকে পরিবর্ত হিসেবে নামান কোচ মেহেরাজুদ্দিন ওয়াডু। ব্যবধান কমলেও সমতায় ফেরা হয়নি। সব মিলিয়ে ফের হারের অন্ধকারে মহমেডান। এদিন সাদা-কালো জার্সিতে অভিষেক হল অস্ট্রিয়ার মার্ক আন্দ্রের। নজর টানলেও দলের ব্যর্থতায় তাঁর যাবতীয় প্রয়াস বিফলে যায়।