কলকাতা, 2 ডিসেম্বর: নতুন করে গঠিত হল রোগী কল্যাণ সমিতি ৷ সরকারি প্রতিনিধি হিসেবে রোগী কল্যাণ সমিতিতে জায়গা পেল একাধিক নতুন নাম। বাদ পড়লেন শান্তনু সেন, সুদীপ্ত রায়ের। আরজি কর হাসপাতালে রোগী কল্যাণ সমিতির সরকারি প্রতিনিধি হলেন অতীন ঘোষ ৷ সোমবার রাজ্যের 24টি মেডিক্যাল কলেজে হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতিতে সরকারি প্রতিনিধির নাম ঘোষণা করল স্বাস্থ্য দফতর।
নীলরতন সরকার মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে দায়িত্বে আসলেন সুপ্তি পান্ডে, কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে সরকারি প্রতিনিধি শশী পাঁজা আর এসএসকেএম হাসপাতালে রোগী কল্যাণ সমিতির সদস্য থাকলেন অরূপ বিশ্বাস। আগের তালিকা থেকে বাদ পড়ল সুদীপ্ত রায় এবং শান্তনু সেনের নাম । যে শান্তনু সেন প্রথম থেকে আরজি কর কাণ্ডে সরব ছিলেন সন্দীপ ঘোষ বিরুদ্ধে।
অন্যদিকে, আগের মত ক্যালকাটা ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজে রোগী কল্যাণ সমিতিতে রইলেন জাভেদ খান ৷ সাগর দত্ত হাসপাতালে মদন মিত্র। চিত্তরঞ্জন সেবা সদনে সুব্রত বক্সি, বারাসত মেডিক্যাল কলেজে কাকলী ঘোষ দস্তিদার, কল্যাণী জেএনএম হাসপাতালে মহুয়া মৈত্র। এছাড়া মালদা মেডিক্যাল কলেজে কৃষ্ণেন্দু নারায়ণ চৌধুরী, বর্ধমান হাসপাতালে খোকন দাস, উত্তরবঙ্গ হাসপাতালে গৌতম দেব। এছাড়াও এই তাকিলায় নাম আছে বহু শাসক শিবিরের নেতা-মন্ত্রীদের।
জুনিয়র চিকিৎসকদের আন্দোলনের মাঝে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যের সমস্ত রোগী কল্যাণ সমিতির ভেঙে দিয়েছিলেন। স্বাস্থ্য ভবনের সামনে জুনিয়র চিকিৎসকদের অবস্থানে এসে তিনি রোগী কল্যাণ সমিতির ভাঙার কথা জানিয়েছিলেন তিনি। কারণ, এই রোগী কল্যাণ সমিতি নিয়ে শোনা গিয়েছে একাধিক অভিযোগ। তবে এর বিরুদ্ধে প্রথম থেকেই সরব হয়েছিলেন জয়েন্ট প্ল্যাটফর্ম অফ ডক্টরস।
চিকিৎসক সুবর্ণ গোস্বামী বলেন, "রাজ্য সরকার যা করছে, তা প্রহসন ছাড়া কিছুই না। মুখ্যমন্ত্রী জুনিয়র চিকিৎসকদের আন্দোলনে এসে বলেছিলেন সব রোগী কল্যাণ সমিতি ভেঙে দিলাম। তারপর স্বস্থ্য দফতর বলল অধ্যক্ষকে মাথায় রেখে রোগী কল্যাণ সমিতি গঠন করা হবে। এবার দেখা গেল শাসক শিবিরের নেতা মন্ত্রীদের সবাইকে দলে রাখা হল। পশ্চিমবঙ্গে এটা সম্ভব ? অরূপ বিশ্বাস যা বলবেন, তার বিরুদ্ধে কোনও কথা বলতে পারবেন এসএসকেএম হাসপাতালের অধ্যক্ষ ? ফলে কিছুই হচ্ছে না। আগে যা ছিল তাই আছে ৷ যে থ্রেট কালচার চলছিল, তাই চলছে এই রাজ্যে।"