কলকাতা, 28 জানুয়ারি: আরজি কর হাসপাতালে আর্থিক দুর্নীতির মামলায় এক সপ্তাহের মধ্যে নিম্ন আদালতকে বিচারপর্ব শুরু করতে নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট । মঙ্গলবার বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের নির্দেশ, এই মামলায় নিম্ন আদালতকে দ্রুত সম্ভব বিচার শেষ করতে হবে । সিবিআই এদিন কলকাতা হাইকোর্টে জানিয়েছে, অভিযুক্ত সরকারি আধিকারিকদের বিরুদ্ধে ট্রায়াল শুরুর জন্য তারা গতকাল অনুমতি (কনসেন্ট) পেয়েছে ।
উল্লেখ্য, আরজি করের প্রাক্তন ডেপুটি সুপার আখতার আলি হাসপাতালে আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগে মামলা দায়ের করেছিলেন ৷ সেই মামলায় সিবিআই তদন্তের শেষ পর্যায়ে এবার ইসিআইআর (এনফোর্সমেন্ট কেস ইনফরমেশন রিপোর্ট) দায়ের করে তদন্ত শুরু করেছে ইডি ৷ হাইকোর্টে এই কথা এদিন জানান ইডির আইনজীবী ।
অ্যাডিশনাল সলিসিটর জেনারেল অশোক চক্রবর্তী এদিন আদালতে জানান, সুপ্রিম কোর্টে আরজি করের ধর্ষণ ও খুনের মামলার সঙ্গেই হাসপাতালে দুর্নীতির মামলার শুনানি চলছে । বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের এজলাসে মুখ বন্ধ খামে এদিন রিপোর্ট জমা দিয়েছে সিবিআই ।
গত বছর 23 অগস্ট হাইকোর্টের নির্দেশে আরজি করের দুর্নীতি মামলার তদন্ত হাতে নেয় সিবিআই । পরে সুপ্রিম কোর্ট তাতে সিলমোহর দেয় । গত বছর 29 নভেম্বর চার্জশিট জমা দিয়েছে সিবিআই । যদিও বিচারপতি ঘোষের বক্তব্য, এই মুহূর্তে এই আদালতের আর্থিক দুর্নীতির মামলায় আর কিছু করার নেই । ইডির আইনজীবী আদালতে জানিয়েছেন, আরজি করে আর্থিক দুর্নীতির মামলায় 22 জায়গায় তল্লাশি চালিয়েছে ইডি । বেশ কয়েকজনকে জেরা করা হয়েছে । অভিযুক্ত সরকারি অফিসারদের বিরুদ্ধে ট্রায়াল শুরুর জন্য সিবিআই সোমবারই কনসেন্ট পেয়েছে ।
বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ ইডির বক্তব্য শোনার পরই নিম্ন আদালতকে আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে ট্রায়াল শুরু ক'রে, যত দ্রুত সম্ভব বিচার শেষ করার নির্দেশ দিয়েছেন । আরজি কর হাসপাতালে আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগে সেখানকার প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ ছাড়াও আরও একাধিক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছিল সিবিআই । যাঁদের সঙ্গে সরাসরি সন্দীপ ঘোষের যোগসাজশ ছিল বলে প্রামাণ পেয়েছে সিবিআই ।
গত বছর 29 নভেম্বর সিবিআই যে চার্জশিট পেশ করেছিল, তাতে নাম রয়েছে আরজি কর মেডিক্যালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের । এছাড়াও চার্জশিটে নাম রয়েছে ছাত্রনেতা আশিস পাণ্ডে ও মেডিক্যাল সরঞ্জাম সরবরাহকারী বিপ্লব সিংহ এবং সুমন হাজরার । চার্জশিটে নাম রয়েছে সন্দীপ ঘোষের প্রাক্তন নিরাপত্তারক্ষী আফসার আলিরও ।