ETV Bharat / bharat

খুনের মামলায় জামিন পেয়ে জোড়া হত্যাকাণ্ড ! - KERALA DOUBLE MURDER CASE

এক মহিলাকে খুনের মামলায় অভিযুক্ত জামিনে ছাড়া পেয়ে ফের দু'টি খুন করে ৷ এর নেপথ্যে কী আছে তা জানার চেষ্টা করছে পুলিশ ৷

Double Murder Accused Chenthamara
জামিন পেয়ে জোড়া খুনে অভিযুক্ত চেনথামারা (ছবি: এএনআই ভিডিয়ো)
author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Jan 29, 2025, 10:05 PM IST

পালাক্কাড় (কেরল), 29 জানুয়ারি: খুনের মামলায় জামিনে ছাড়া পেয়ে প্রতিশোধ নিতে ফের দু'টি খুনের অভিযোগ উঠল অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ৷ 2019 সালে কেরলের পালাক্কাড়ে সজিথা নামের মহিলাকে খুনের ঘটনায় অভিযুক্ত হয় চেনথামারা নামে এক ব্যক্তি ৷ দু'মাস আগে সে জামিনে মুক্তি পায় ৷ এরপর ছাড়া পেয়ে নিহত মহিলার স্বামী সুধাকরণ এবং শাশুড়ি লক্ষ্মীকে নৃশংসভাবে হত্যা করে আবারও পালিয়ে যায় সে ৷

কীভাবে এবং কেন গ্রেফতার

মঙ্গলবার রাতে উত্তর কেরল জেলার পোথান্ডি নামক জায়গা থেকে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ ৷ জানা গিয়েছে, জোড়া খুনের নেপথ্যে রয়েছে দীর্ঘদিনের পারিবারিক শত্রুতা ৷ 2019 সালে সজিথাকে খুনের মামলায় দু'মাস আগে জামিন পেয়েছে চেনথামারা ৷ কিন্তু প্রতিশোধের তাড়নায় ফিরে এসে মহিলার স্বামী সুধাকরণ এবং শাশুড়ি লক্ষ্মীকে (72) খুন করে 58 বছর বয়সি চেনথামারা বলে অভিযোগ ৷ পুলিশের এক শীর্ষ কর্তা বলেন, "সে (চেনথামারা) বিশ্বাস করে যে, নিহত পরিবারের সদস্যরা নাক গলানোর কারণেই তার স্ত্রী তাকে ছেড়ে চলে গিয়েছে ৷"

এই খুন পূর্ব পরিকল্পনামাফিক ৷ তাই অস্ত্র সঙ্গে নিয়েই এসেছিল চেনথামারা, জানিয়েছে পুলিশ ৷ গ্রেফতার হওয়ার পরে তার মধ্যে কোনও অনুশোচনা দেখতে পায়নি পুলিশ ৷ এসপি জানিয়েছেন, প্রাথমিক জেরায় চেনথামারা অনেক কিছু বলেছে ৷ সেই তথ্যগুলির সত্যতা যাচাই করে দেখতে হবে ৷ অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ভারতীয় ন্যায় সংহিতার (বিএনএস) 103 (খুন) ধারায় মামলা দায়ের হয়েছে ৷

গ্রেফতারির পর উত্তেজনা

মঙ্গলবার রাতে চেনথামারাকে গ্রেফতারির পর তার গ্রামে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে ৷ অভিযুক্ত চেনথামারার মুক্তি দাবি করে এলাকাবাসীরা বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন ৷ ভিড় সামলাতে পুলিশকে লাঠিচার্জ করতে হয় ৷ থানার গেট তালা দিয়ে বন্ধ রাখতে হয় ৷ এদিকে পুলিশকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা চালিয়েছিল চেনথামারা ৷ সে বিষ খেয়েছে বলে জানিয়েছিল পুলিশকে ৷ এরপর তার শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হলে তেমন কিছুই পাওয়া যায়নি ৷

পুলিশ কী বলছে ?

জোড়া খুন প্রসঙ্গে পালাক্কাড়ের এসপি অজিত কুমার বলেন, "আমরা চেনথামারাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছি । সে অনেককিছু বলেছে ৷ প্রথমত, অপরাধের ঘটনাটি ঘটে সকাল 10টার সময় ৷ এই সময়টি আমাদের নিশ্চিত করতে হবে ৷ খুনের পর সে বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যায় ৷ দেড় দিন ধরে সে পাহাড়ে, জঙ্গলে ঘুরে বেড়াচ্ছিল ৷ পুলিশ সেই এলাকাতেও তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছিল ৷ পাহাড়ি রাস্তা সে খুব ভালো করে জানে ৷ সেখানে লুকিয়ে থেকে সে পুলিশের গতিবিধির উপর নজর রাখছিল ৷ খিদে পাওয়ায় খাবারের সন্ধানে সে বাড়ি ফিরছিল ৷ তখনই তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ ৷" 24 ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে সে পুলিশের চোখে ধুলো দিয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছিল ৷ অভিযুক্ত চেনথামারাকে আদালতে পেশ করে তার হেফাজতের আবেদন করবে পুলিশ ৷ এরপর তাকে ঘটনাস্থলে নিয়ে গিয়ে অপরাধের পুনর্নির্মাণ করবে বলে জানিয়েছে পুলিশ ৷

পালাক্কাড় (কেরল), 29 জানুয়ারি: খুনের মামলায় জামিনে ছাড়া পেয়ে প্রতিশোধ নিতে ফের দু'টি খুনের অভিযোগ উঠল অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ৷ 2019 সালে কেরলের পালাক্কাড়ে সজিথা নামের মহিলাকে খুনের ঘটনায় অভিযুক্ত হয় চেনথামারা নামে এক ব্যক্তি ৷ দু'মাস আগে সে জামিনে মুক্তি পায় ৷ এরপর ছাড়া পেয়ে নিহত মহিলার স্বামী সুধাকরণ এবং শাশুড়ি লক্ষ্মীকে নৃশংসভাবে হত্যা করে আবারও পালিয়ে যায় সে ৷

কীভাবে এবং কেন গ্রেফতার

মঙ্গলবার রাতে উত্তর কেরল জেলার পোথান্ডি নামক জায়গা থেকে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ ৷ জানা গিয়েছে, জোড়া খুনের নেপথ্যে রয়েছে দীর্ঘদিনের পারিবারিক শত্রুতা ৷ 2019 সালে সজিথাকে খুনের মামলায় দু'মাস আগে জামিন পেয়েছে চেনথামারা ৷ কিন্তু প্রতিশোধের তাড়নায় ফিরে এসে মহিলার স্বামী সুধাকরণ এবং শাশুড়ি লক্ষ্মীকে (72) খুন করে 58 বছর বয়সি চেনথামারা বলে অভিযোগ ৷ পুলিশের এক শীর্ষ কর্তা বলেন, "সে (চেনথামারা) বিশ্বাস করে যে, নিহত পরিবারের সদস্যরা নাক গলানোর কারণেই তার স্ত্রী তাকে ছেড়ে চলে গিয়েছে ৷"

এই খুন পূর্ব পরিকল্পনামাফিক ৷ তাই অস্ত্র সঙ্গে নিয়েই এসেছিল চেনথামারা, জানিয়েছে পুলিশ ৷ গ্রেফতার হওয়ার পরে তার মধ্যে কোনও অনুশোচনা দেখতে পায়নি পুলিশ ৷ এসপি জানিয়েছেন, প্রাথমিক জেরায় চেনথামারা অনেক কিছু বলেছে ৷ সেই তথ্যগুলির সত্যতা যাচাই করে দেখতে হবে ৷ অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ভারতীয় ন্যায় সংহিতার (বিএনএস) 103 (খুন) ধারায় মামলা দায়ের হয়েছে ৷

গ্রেফতারির পর উত্তেজনা

মঙ্গলবার রাতে চেনথামারাকে গ্রেফতারির পর তার গ্রামে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে ৷ অভিযুক্ত চেনথামারার মুক্তি দাবি করে এলাকাবাসীরা বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন ৷ ভিড় সামলাতে পুলিশকে লাঠিচার্জ করতে হয় ৷ থানার গেট তালা দিয়ে বন্ধ রাখতে হয় ৷ এদিকে পুলিশকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা চালিয়েছিল চেনথামারা ৷ সে বিষ খেয়েছে বলে জানিয়েছিল পুলিশকে ৷ এরপর তার শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হলে তেমন কিছুই পাওয়া যায়নি ৷

পুলিশ কী বলছে ?

জোড়া খুন প্রসঙ্গে পালাক্কাড়ের এসপি অজিত কুমার বলেন, "আমরা চেনথামারাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছি । সে অনেককিছু বলেছে ৷ প্রথমত, অপরাধের ঘটনাটি ঘটে সকাল 10টার সময় ৷ এই সময়টি আমাদের নিশ্চিত করতে হবে ৷ খুনের পর সে বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যায় ৷ দেড় দিন ধরে সে পাহাড়ে, জঙ্গলে ঘুরে বেড়াচ্ছিল ৷ পুলিশ সেই এলাকাতেও তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছিল ৷ পাহাড়ি রাস্তা সে খুব ভালো করে জানে ৷ সেখানে লুকিয়ে থেকে সে পুলিশের গতিবিধির উপর নজর রাখছিল ৷ খিদে পাওয়ায় খাবারের সন্ধানে সে বাড়ি ফিরছিল ৷ তখনই তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ ৷" 24 ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে সে পুলিশের চোখে ধুলো দিয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছিল ৷ অভিযুক্ত চেনথামারাকে আদালতে পেশ করে তার হেফাজতের আবেদন করবে পুলিশ ৷ এরপর তাকে ঘটনাস্থলে নিয়ে গিয়ে অপরাধের পুনর্নির্মাণ করবে বলে জানিয়েছে পুলিশ ৷

ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.