দুর্গাপুর, 30 জানুয়ারি: দেশের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ পাঁপড় খেতে ভালোবাসেন । ডালের সঙ্গে পাঁপড় খেতে ভালোবাসেন অনেকেই। চাটনি দিয়েও পাঁপড় জমে যায় । তবে দেশের মধ্যে সবচেয়ে বেশি পাঁপড়প্রেমী মানুষ আছেন রাজস্থানে । বাঙালিরাও অবশ্য পাঁপড় খাওয়াটা উপভোগ করেন । বিভিন্ন রেঁস্তোরাও ভিন্ন ভিন্ন সাধের পাঁপড় সাজিয়ে রাখে । এবার দুর্গাপুরে আয়োজন হল 'পাঁপড় মেলার' ৷
মেলার উদ্বোধন করলেন দুর্গাপুর নগর নিগমের মুখ্য প্রশাসক অনিন্দিতা মুখোপাধ্যায়, প্রশাসক মণ্ডলীর অন্যতম সদস্য রাখি তিওয়ারি-সহ অন্যান্যরা । উদ্যোক্তাদের মধ্যে অন্যতম দুর্গাপুরের প্রাক্তন পুরপিতা পল্লব নাগ জানালেন, ‘‘আমরা অভিনব সব মেলার আয়োজন করে থাকি । ঝালমুড়ি মেলা, আথম উৎসবের পর এবার 17 রকমের পাঁপড় নিয়ে হচ্ছে পাঁপড় উৎসব । আমাদের রাজ্যে এমন বহু মানুষ আছে, যাদের কাছে পাঁপড় তৈরি জীবন-জীবিকার একমাত্র অবলম্বন । আধুনিক প্রজন্ম এসব খাবার থেকে দূরে সরে যাচ্ছে । স্বাভাবিকভাবেই বাঙালির এই অত্যন্ত প্রিয় খাবারগুলির প্রস্তুতকারকরা যাতে তাঁদের শিল্পকে বাঁচিয়ে রাখতে পারেন, সেই উদ্দেশ্যেই আমাদের এই পাঁপড় উৎসবের আয়োজন ।’’
। মেলায় রয়েছে লঙ্কার পাঁপড়, ধনেপাতার পাঁপড়, চিংড়ি মাছের পাঁপড়, এঁচোড়, কলা, মোচার পাঁপড় । 4 দিন ধরে চলবে মেলা । উদ্বোধনের দিন সম্পূর্ণ বিনামূল্যে খাওয়ানো হচ্ছে পাঁপড় । অন্যান্য দিনগুলিতে 10 টাকা করে নিয়ে 17 রকমেরই পাঁপড় খাওয়ানো হবে । সঙ্গে ‘মাছে ভাতে বাঙালি’র মাধ্যমে অন্যান্য বছরের মতো এবারও বাংলার বিভিন্ন রকমের প্রসিদ্ধ মাছ ভাত খাওয়ানো হবে । সঙ্গে থাকবে বহুরূপী নৃত্য ।
ডিএমসির প্রশাসক মন্ডলীর চেয়ারপার্সন অনিন্দিতা মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘পল্লব রঞ্জন নাগের জন্য আমরা নতুন নতুন মেলা দেখতে পাই । আমরা খুব উৎসাহিত এই মেলায় এসে । উদ্যোক্তাদের এই অভিনব উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাই ।’’ আপাতত কয়েকদিন ইস্পাত নগরীর রবীন্দ্রভবন এই পাঁপড় উৎসবে শীতের প্রায় পড়ন্ত বেলায় খাদ্যরসিক বাঙালিদের রসনা তৃপ্তির জন্য সেরা ঠিকানা হয়ে উঠবে ।