দুর্গাপুর, 30 জানুয়ারি: এটিএম-এর স্ক্রু খুলছে দুই যুবক। বাইরে থেকে সাফাই কর্মীর নজর পড়তে 'চোর চোর' চিৎকারে শোরগোল পড়ে যায় এলাকায়। বিপদ বুঝে পালানোর চেষ্টা করতে পুলিশের হাতে ধরা পড়ল দুই চোর।
প্রকাশ্যে এটিএম লুঠের চেষ্টা ভেস্তে গেলেও বৃহস্পতিবারের এই ঘটনার জেরে চাঞ্চল্য ছড়ায় দুর্গাপুরের নিউ টাউনশিপ থানার বিধাননগর ফাঁড়ির উল্টো প্রান্তে এডিডিএ মার্কেটে। জানা গিয়েছে, নিউ টাউনশিপ থানার বিধাননগর ফাঁড়ির উল্টো দিকে এডিডিএ মার্কেটের একটি বেসরকারি ব্যাঙ্কের এটিএম রয়েছে।
সকাল 11টা নাগাদ সেই এটিএম-র সামনে বাইক রেখে দুই যুবক ভিতর ঢুকে। তখন নিরাপত্তারক্ষী এটিএমের বাইরে দাঁড়িয়ে ছিলেন। কিন্তু এক সাফাই কর্মী দেখতে পান ওই দুই যুবক এটিএম মেশিনের স্ক্রু খুলছে। সাফাইকর্মী 'চোর চোর' বলে চিৎকার করেন । বিপদ বুঝে যুবকরা পালিয়ে যায়। এটিএমের নিরাপত্তারক্ষীও তাড়া করতে শুরু করেন। ততক্ষণে এসে পড়েছে পুলিশও। দুই যুবকের মধ্যে একজনকে ধরে ফেলেন স্থানীয় ফুল বিক্রেতা। পলাতক আর একজনকে পাশের বাজার থেকে পাকড়াও করে পুলিশ।
তবে তারা টাকা বের করতে পারেনি। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, এই দুষ্কৃতীরা ভিন রাজ্যের। এই চক্রের সঙ্গে আরও কেউ জড়িত রয়েছে কি না, সে নিয়েও চোর তল্লাশি শুরু করেছে নিউ টাউনশিপ থানার পুলিশ। স্থানীয় ফুল বিক্রেতা বিশ্বজিৎ দাসের দাবি, "বিধাননগরের বুকে এই ঘটনা দেখে আমরা আতঙ্কিত। যদিও দু'জনই ধরা পড়েছে। আমিও একজনকে ধরেছি। তারপরে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। পুলিশের নজরদারি আরও বাড়ানো দরকার।"
উল্লেখ্য, দুর্গাপুরের কাদারোড, মেইনগেট, ফুলঝোড়, কালীগঞ্জ, শঙ্করপুর-সহ বেশ কিছু এলাকায় এটিএম হ্যাকাররা ঘাঁটি গেড়ে থাকছে বলেও সুত্র মারফত জানা যাচ্ছে। এসিপি দুর্গাপুর সুবীর রায় বলেন, "ধারাবাহিকভাবে এই অপরাধীদের খোজে তল্লাশি চালাচ্ছে দুর্গাপুর মহকুমার সমস্ত থানার পুলিশ।এখনও পর্যন্ত বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।"