ETV Bharat / state

স্ত্রীর সঙ্গে অশান্তির জেরে ছেলেকে খুন, সৎবাবার যাবজ্জীবন - COURT SENTENCED LIFE IMPRISONMENT

মায়ের অভিযোগের ভিত্তিতে ব্যান্ডেল ফাঁড়ির পুলিশ তদন্ত শুরু করে ৷ পরে গ্রেফতার হয় অরবিন্দ তাঁতি । দীর্ঘদিন বিচার প্রক্রিয়া চলার পর সৎবাবার সাজা ঘোষণা হল।

COURT SENTENCED LIFE IMPRISONMENT
সৎ বাবাকে যাবজ্জীবন সাজা চুঁচুড়া আদালতের (নিজস্ব চিত্র)
author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Jan 29, 2025, 10:55 PM IST

চুঁচুড়া, 29 জানুয়ারি: নাবালককে খুনের জেরে সৎবাবাকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ডের সাজা চুঁচুড়া আদালতের। সোমবার আদালতের প্রথম অতিরিক্ত জেলা দায়রা বিচারক সঞ্জয় শর্মা অরবিন্দ তাঁতিকে দোষী সাব্যস্ত করেন। বুধবার বিচারক যাবজ্জীবনের সাজা শোনান। একই সঙ্গে ওই কিশোরের মা-কে দু'লক্ষ টাকা আর্থিক সাহায্য দেওয়ার প্রস্তাব দেয় আদালত।

সম্পর্কের ভাঙা-গড়া

মায়ের সঙ্গে হুগলি স্টেশন সংলগ্ন কৃষ্ণপুরে থাকত নাবালক। মায়ের বিবাহ বিচ্ছেদ হয়ে যাওয়ার পর ব্যান্ডেল লিচু বাগান এলাকার বাসিন্দা অরবিন্দ তাঁতির সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক তৈরি হয়। এরপর তাঁরা একসঙ্গে ব্যান্ডেল লালবাবা আশ্রমে ভাড়া থাকতে শুরু করেন। সে সময় তাঁরা বিয়ে করেন বলে জানা গিয়েছে। কিছুদিন পর থেকেই নিয়মিত অশান্তি ঝগড়া লেগেই থাকত স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে। 2016 সালের 31 ডিসেম্বর লালবাবা আশ্রমের ভাড়া বাড়ি ছেড়ে হুগলির কৃষ্ণপুরে ছেলেকে নিয়ে মায়ের বাড়িতে চলে আসেন ওই মহিলা ৷ তখন নাবালকের বয়স ছিল 11 বছর।

ঘটনার দিন কী হয়েছিল ?

পুলিশ জানিয়েছে, 2017 সালের 6ই জানুয়ারি নিখোঁজ হওয়ার সন্ধ্যায় বিস্কুট কিনে দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে সৎবাবা নাবালক ছেলেকে নিয়ে যায়। এরপর তাকে শ্বাসরোধ করে ও মাথায় আঘাত করে খুন করে অরবিন্দ। নিখোঁজ হওয়ার পরদিন হুগলি স্টেশন লাগোয়া রেল লাইনের কাছে একটি মন্দিরের পাশে কিশোরের মৃতদেহ উদ্ধার হয়। ব্যান্ডেল ফাঁড়ির পুলিশ তদন্ত শুরু করে।

তদন্ত এবং বিচার প্রক্রিয়া

মায়ের অভিযোগের ভিত্তিতে অরবিন্দ তাঁতিকে গ্রেফতার করে পুলিশ। প্রায় দু'মাস পর চার্জশিট জমা পড়ে। 17 জন সাক্ষীর ভিত্তিতে এদিন চুঁচুড়া জেলা আদালতের বিচারক যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড ও 10 হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও 6 মাস জেলের নির্দেশ দেন ৷ সরকারি আইনজীবী সুব্রত ভট্টাচার্য বলেন, "সঠিক সময়ে চার্জশিট জমা দেন তদন্তকারী অফিসার। চার্জ ফ্রেম হওয়ার পর 17 জনের সাক্ষী হয়। তাতেই এই মামলা বিলম্ব হয়েছে। আদালত অরবিন্দ তাঁতিকে যাবজ্জীবনের সাজা দিয়েছে। "

ব্যবসায়ী অপহরণ-কাণ্ডে ধৃত 2 অস্ত্র সরবরাহকারী, 4 দিনের পুলিশি হেফাজত

চুঁচুড়া, 29 জানুয়ারি: নাবালককে খুনের জেরে সৎবাবাকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ডের সাজা চুঁচুড়া আদালতের। সোমবার আদালতের প্রথম অতিরিক্ত জেলা দায়রা বিচারক সঞ্জয় শর্মা অরবিন্দ তাঁতিকে দোষী সাব্যস্ত করেন। বুধবার বিচারক যাবজ্জীবনের সাজা শোনান। একই সঙ্গে ওই কিশোরের মা-কে দু'লক্ষ টাকা আর্থিক সাহায্য দেওয়ার প্রস্তাব দেয় আদালত।

সম্পর্কের ভাঙা-গড়া

মায়ের সঙ্গে হুগলি স্টেশন সংলগ্ন কৃষ্ণপুরে থাকত নাবালক। মায়ের বিবাহ বিচ্ছেদ হয়ে যাওয়ার পর ব্যান্ডেল লিচু বাগান এলাকার বাসিন্দা অরবিন্দ তাঁতির সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক তৈরি হয়। এরপর তাঁরা একসঙ্গে ব্যান্ডেল লালবাবা আশ্রমে ভাড়া থাকতে শুরু করেন। সে সময় তাঁরা বিয়ে করেন বলে জানা গিয়েছে। কিছুদিন পর থেকেই নিয়মিত অশান্তি ঝগড়া লেগেই থাকত স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে। 2016 সালের 31 ডিসেম্বর লালবাবা আশ্রমের ভাড়া বাড়ি ছেড়ে হুগলির কৃষ্ণপুরে ছেলেকে নিয়ে মায়ের বাড়িতে চলে আসেন ওই মহিলা ৷ তখন নাবালকের বয়স ছিল 11 বছর।

ঘটনার দিন কী হয়েছিল ?

পুলিশ জানিয়েছে, 2017 সালের 6ই জানুয়ারি নিখোঁজ হওয়ার সন্ধ্যায় বিস্কুট কিনে দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে সৎবাবা নাবালক ছেলেকে নিয়ে যায়। এরপর তাকে শ্বাসরোধ করে ও মাথায় আঘাত করে খুন করে অরবিন্দ। নিখোঁজ হওয়ার পরদিন হুগলি স্টেশন লাগোয়া রেল লাইনের কাছে একটি মন্দিরের পাশে কিশোরের মৃতদেহ উদ্ধার হয়। ব্যান্ডেল ফাঁড়ির পুলিশ তদন্ত শুরু করে।

তদন্ত এবং বিচার প্রক্রিয়া

মায়ের অভিযোগের ভিত্তিতে অরবিন্দ তাঁতিকে গ্রেফতার করে পুলিশ। প্রায় দু'মাস পর চার্জশিট জমা পড়ে। 17 জন সাক্ষীর ভিত্তিতে এদিন চুঁচুড়া জেলা আদালতের বিচারক যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড ও 10 হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও 6 মাস জেলের নির্দেশ দেন ৷ সরকারি আইনজীবী সুব্রত ভট্টাচার্য বলেন, "সঠিক সময়ে চার্জশিট জমা দেন তদন্তকারী অফিসার। চার্জ ফ্রেম হওয়ার পর 17 জনের সাক্ষী হয়। তাতেই এই মামলা বিলম্ব হয়েছে। আদালত অরবিন্দ তাঁতিকে যাবজ্জীবনের সাজা দিয়েছে। "

ব্যবসায়ী অপহরণ-কাণ্ডে ধৃত 2 অস্ত্র সরবরাহকারী, 4 দিনের পুলিশি হেফাজত

ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.