কলকাতা, 19 জুলাই: রাজ্যের 32 হাজার প্রাথমিক স্কুলে পঞ্চম শ্রেণিকে যুক্ত করতে পদক্ষেপ শুরু করেছে রাজ্য । 2025 থেকে 2029 সালের মধ্যে পাঁচ দফায় প্রাথমিক স্কুলগুলির পরিকাঠামো বাড়িয়ে, প্রয়োজনীয় শিক্ষক নিয়োগ করে এই কাজ করা হবে । শুক্রবার স্কুল শিক্ষা দফতরের তরফে বিচারপতি জয়মাল্য বাগচীর ডিভিশন বেঞ্চে হলফনামা জমা দিয়ে এই ব্যাপারে বিস্তারিত জানালো স্কুল শিক্ষা দফতর ।
দফতরের দেওয়া হলফনামা অনুযায়ী, প্রথম দফায় 2335, দ্বিতীয় দফায় 1775, তৃতীয় দফায় 2966, চতুর্থ দফায় 12 হাজার ও শেষ দফায় 13 হাজার 93টি স্কুলে পঞ্চম শ্রেণিকে প্রাথমিকের আওতায় আনা হবে ।
বিদেশ গাজী-সহ বেশ কয়েকজন প্রাথমিকের শিক্ষক হাইকোর্টে মামলা করেন । তাঁদের অভিযোগ, এনসিটিই গাইড লাইন মেনে অন্য অনেক রাজ্য ইতিমধ্যে পঞ্চম শ্রেণিকে প্রাথমিকের আওতায় এনেছে । কিন্তু ব্যতিক্রম এই রাজ্যে । তারা এতদিনেও এই নির্দেশ কার্যকর করেনি । তারপরেই হাইকোর্ট রাজ্যের কাছে সুনির্দিষ্ট ভাবে কতদিনে এই কাজ হবে সেই ব্যাপারে হলফনামা চায় ।
এনসিটিই-র গাইডলাইন অনুযায়ী, পঞ্চম শ্রেণিকে প্রাথমিকের আয়তায় আনার কথা । সেই আর্জি জানিয়ে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের বেঞ্চে মামলা দায়ের করেছিলেন বিদেশ গাজি নামে এক ব্যক্তি । মামলাটি জনস্বার্থ মামলা বলে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় মামলাটি প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে পাঠান । এরপর প্রধান বিচারপতি মামলাটি বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী ও বিচারপতি গৌরাঙ্গ কান্তের ডিভিশন বেঞ্চে পাঠান । ডিভিশন বেঞ্চ রাজ্যের রিপোর্ট তলব করেছিল । সেখানেই সম্প্রতি রাজ্যের শিক্ষা দফতর রিপোর্ট দিয়ে উপরিউক্ত তথ্য দিয়েছে ।
উল্লেখ্য, জাতীয় শিক্ষানীতিতেই পঞ্চম শ্রেণিকে প্রাথমিকের আওতায় আনার কথা বলা হয়েছে । কিন্তু রাজ্যের প্রাথমিক স্কুলগুলোর পরিকাঠামো অত্যন্ত খারাপ হওয়ার জন্য সেই কাজ এতদিন করা সম্ভব হয়নি । 2018 সালের পর থেকে রাজ্যের বাছাই করা কিছু প্রাথমিক স্কুলে পঞ্চম শ্রেণি চালু করার পদক্ষেপ করা হলেও সেই কাজ একেবারেই এগোয়নি ।কিন্তু শিক্ষা দফতর আদালতে রিপোর্ট দিয়ে জানালো তারা এই কাজ ধীরে ধীরে ধাপে ধাপে করতে চায় ।