ভদ্রেশ্বর, 3 অক্টোবর: হুগলি জেলার আরও এক পুজো কমিটি প্রত্যাখ্যান করল সরকারি অনুদান। এবার সরকারি টাকা ফেরতের তালিকায় নাম লেখাল ভদ্রেশ্বর বাবুরবাজার বারোয়ারি পুজো কমিটি। আরজি কর ঘটনার প্রতিবাদেই এবার অনাড়ম্বর পুজোর আয়োজন করেছে পুজো কমিটি। এমনকী বিজয়া সম্মিলনীও করবে না তারা, এমনটাও জানানো হয়েছে ৷
বিভিন্ন পেশার মানুষ বিভিন্ন উপায়ে এই ঘটনার প্রতিবাদ জানাচ্ছেন এখনও। এর আগে হুগলির 9টি পুজো কমিটি রাজ্য সরকারের অনুদান প্রত্যাখ্যান করেছে ৷ এবার অনুদান প্রত্যাখ্যানের সিদ্ধান্ত নিল ভদ্রেশ্বরের এই পুজো কমিটির সদস্যরাও। তারা উৎসবে থাকছে, পুজোর আয়োজন করছে, তবে আলোর জৌলুস বা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করছে না তারা।
সরকারি অনুদান প্রত্যাখ্যান (ইটিভি ভারত) পুজো যত এগিয়ে আসছে আরজি কর ঘটনার প্রতিবাদে দুর্গাপুজোর সরকারি অনুদান প্রত্যাখ্যানের তালিকা দীর্ঘ হচ্ছে ৷ এর আগে হুগলির উত্তরপাড়ার তিনটি, কোন্নগরের তিনটি, শ্রীরামপুরের দুটি, বৈদ্যবাটির একটি পুজো কমিটি অনুদান প্রত্যাখ্যান করেন। এবার সেই তালিকায় সংযোজন হল ভদ্রেশ্বরের বাবুরবাজার বারোয়ারি পুজো কমিটি। 79 বছর আগে শুরু হয়েছিল এই পুজো। সেই থেকে এই পুজো নিরবচ্ছিন্নভাবে হয়ে আসছে।গতবার সরকারি অনুদানের 70 হাজার টাকা নিয়েছিল পুজো কমিটি। এবার আরজি কর ঘটনার প্রতিবাদে সরকারি অনুদান নেবে না, এই মর্মে চন্দননগর পুলিশ কমিশনারকে চিঠি দিয়ে জানিয়ে দিয়েছে কমিটি।
কমিটির কার্যকারী সভাপতি অশোক ঘোষ বলেন, "আরজি করে চিকিৎসক পড়ুয়ার ধর্ষণ ও খুনের প্রতিবাদে দেশেবিদেশে একটি স্বতঃস্ফূর্ত প্রতিবাদ হচ্ছে ৷ এই ঘটনার প্রতিবাদের পরিপ্রেক্ষিতে আমরাও সিদ্ধান্ত নিয়েছি সরকারি অনুদান না-নেওয়ার। কোনও আনন্দ উৎসব করব না। ধর্মের অনুষ্ঠান ধর্মীয়ভাবে পালন করব ৷ এলাকার মানুষকে সংগঠিত করে সিদ্ধান্ত নিতে দেরি হয়েছে ঠিকই। তবে শেষ মুহূর্তে এসেও অনুদান প্রত্যাখ্যান করাতে এলাকার মানুষ আমাদের সাধুবাদ জানিয়েছেন। অনেকেই আগে যা চাঁদা দিতেন তার দ্বিগুন চাঁদা দিচ্ছেন।"
পুজো কমিটির সদস্যা দেবান্বিতা হালদার বলেন, "পুজো করতে হবেই, তাই করা। তবে কোনও উৎসবে থাকছি না। ধর্মীয় যা রীতিনীতি মেনেই পুজো করব আমরা। আমিও একজন মেয়ে, সেখান থেকে এই প্রতিবাদকে সমর্থন করছি।"