কলকাতা, 2 জানুয়ারি: কাচের গাড়িতে শরীর তখন একেবারে ঠাণ্ডা ৷ অন্তিম যাত্রার পথে পরিচালক অরুণ রায় ৷ কাছের মানুষকে দেখে চোখের জল বাঁধ মানল না রুক্মিণী ৷ বছর শুরুতেই আপনজনকে হারিয়ে বারবার ডুকরে কেঁদে উঠছিলেন অভিনেত্রী ৷ পাশে সান্ত্বনার হাত দেবের ৷
আসলে বছর শুরুতেই কাছের মানুষকে হারানোর বেদনায় কাতর দেব-রুক্মিণী ৷ নতুন বছরের দ্বিতীয় দিনেই মারণ রোগ ক্যানসারের কাছে হার মানলেন বাঘাযতীন পরিচালক অরুণ রায় ৷ বৃহস্পতিবার আরজি কর হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি ৷ বন্ধু তথা দাদাসম অরুণ রায়ের শেষযাত্রায় সামিল দুই তারকা ৷ শববাহী গাড়ির সামনে তখন সারথী দেব ৷ পিছনে সহযাত্রী রুক্মিণী ৷
এদিন, পরিচালককে শেষবার শ্রদ্ধা জানাতে উপস্থিত হন অভিনেতা পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়, কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায় থেকে পরিচালক প্রেমেন্দু বিকাশ চাকী ৷ উপস্থিত ছিলেন অভিনেতা-চিকিৎসক কিঞ্জল নন্দও ৷ এত কম বসয়ে একজন সহকর্মীকে হারিয়ে বাকরুদ্ধ সকলেই ৷ কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, "অনেকদিন ধরে কষ্ট পাচ্ছিল ৷ শরীরের অবস্থা একদম ভালো ছিল না ৷ সহকর্মীদের মরদেহ দেখতে ভালো লাগে না ৷ অরুণের কাছ থেকে সিনেমার ক্যানভাসের শিক্ষা যেমন পান তেমনই আমাদের এটাও শেখা দরকার, নিজের যত্ন কীভাবে নিতে হয় ৷ অরুণ সেটা করতে পলে ওঁকে আমরা হারাতাম না ৷"
পরমব্রত বলেন, "একজন সতীর্থ বা সহকর্মীর চলে যাওয়া সবসময় দুঃখের ৷ কলাকুশলী বা শিল্পীদের জীবন এতটাই অনিশ্চিত হয় যে অর্থনৈতিক নিশ্চয়তা থাকে না ৷ সেটার সঙ্গেও লড়াই করতে হয় ৷ সেই অনিশ্চিয়তা অরুণদার চলে যাওয়া আরও একবার প্রমাণ করল ৷" পরিচালক প্রেমেন্দু চাকী বলেন, "অরুণ এমন একজন পরিচালক যে এমন সব বিষয় নিয়ে ছবি করেছে যা ভীষণ জরুরী ছিল ৷ সিনেমা করতে গিয়ে আর্থিক বিষয় তোয়াক্কা করত না ৷ আজকে ওঁর অকালে চলে যাওয়ায় সবথেকে ক্ষতি হল আমাদের ৷ বাংলার এই সময়ে দাঁড়িয়ে এমন পরিচালকের চলে যাওয়া অপূরণীয় ক্ষতি ৷"