দুর্গাপুর, 4 জানুয়ারি: ভিন রাজ্যে কাজ করতে গিয়ে মৃত্যু বাংলার তরুণীর। ঝাড়খণ্ডের হস্টেলের ঘর থেকে উদ্ধার পচাগলা দেহ। সেখানেই তিনি নার্সের কাজ করতেন। কীভাবে তাঁর মৃত্যু হল তা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে দুর্গাপুরের নিউ টাউনশিপ থানার টেটিখোলা এলাকায়। মৃতার নাম বিউটি রানা (30)।
জানা গিয়েছে, 3 বছর ধরে ঝাড়খণ্ডের দেওঘরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে নার্সের কাজ করতেন বিউটি। গত বছর ডিসেম্বর মাসের 21 তারিখ বিউটির সঙ্গে শেষবার যোগাযোগ হয়েছিল পরিবারের। তারপর থেকে কোনও যোগাযোগ না হওয়ায় চিন্তিত হয়ে পড়েন পরিবারের লোকজন ৷ শুক্রবার বিউটির বাবা পরেশ রানা দেওঘরের মহিলা হস্টেলে গিয়ে বিউটির ঘরে যান। গিয়ে দেখেন বিউটির পচাগলা দেহ পড়ে আছে। এই ঘটনা টিটিখোলা এলাকায় জানাজানি হতেই শোরগোল পড়ে যায়। শোকোস্তব্ধ হয়ে যায় গোটা এলাকা।
প্রতিবেশী মৌসুমী সাহার দাবি, "পাঁচ বছর আগে বিউটির বিয়ে হয়। বিউটির চার বছরের সন্তানও রয়েছে। তিন বছর ধরে দেওঘরের ওই হাসপাতালে বিউটি কাজ করত। দু'বছর আগে পর্যন্ত দেওঘরের ওই হস্টেলেই ছেলেকে সঙ্গে নিয়ে থাকত। ছেলেকে দেখভালের জন্য আমি ছিলাম। কয়েক মাস আগে বিউটির ছেলেকে সঙ্গে নিয়ে আমি দুর্গাপুরে ফিরে আসি। বিউটি তারপর থেকে একাই ছিল সেখানে। ডিসেম্বর মাসের 21 তারিখ থেকে তার সঙ্গে আর ফোনে যোগাযোগ করা যাচ্ছিল না। চিন্তিত হয়ে পড়ি আমরা। বিউটির বাবা সেখানে গিয়ে মেয়েক পচাগলা দেহের সন্ধান পায়। কী কারণে মৃত্যু হল সেটা আমরা বুঝে উঠতে পারছি না।" অন্যদিকে, বিউটির মা মিনতি রানার দাবি, "মেয়ের সঙ্গে কারও কোনও শত্রুতা ছিল না ৷ তবে ওকে নিয়ে সহকর্মীদের মধ্যে হিংসা ছিল। ওরাই আমার মেয়েকে মেরে ফেলে দিল।" কী কারণে মৃত্যু তা নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে ঝাড়খণ্ড পুলিশ।