কলকাতা, 2 জানুয়ারি: জামিন পেলেন না ইসকনের প্রাক্তন নেতা সন্ন্যাসী চিন্ময়কৃষ্ণ দাস ৷ বাংলাদেশের চট্টগ্রামের একটি আদালত তাঁর জামিনের আবেদন খারিজ করে দিয়েছে বৃহস্পতিবার ৷ আর এই নিয়েই এপার বাংলায় রাজনৈতিক চর্চা শুরু হয়েছে । ঘটনায় গর্জে উঠেছেন রাজ্যের নেতারা ৷
সে দেশের বর্তমান সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভও উগরে দিচ্ছেন তাঁরা । তাঁদের কথায়, পাকিস্তানি আইএসআইয়ের মদতে সে দেশের মৌলবাদীরা সংখ্যালঘুদের উপর অত্যাচার করছে । সন্ত্রাস চালিয়ে যাচ্ছে । যে কারণে আইনজীবীরা ভয়ে আছেন । আর আইন ও বিচার ব্যবস্থা প্রভাবিত হচ্ছে ।
এই নিয়ে সিপিএম নেতা রবীন দেব বলেন, "বাংলাদেশের বর্তমান সরকার নিয়ম কানুন মানছে না । স্বভাবিকভাবেই সে দেশে সংবিধান বিরোধী কার্যকলাপ চলছে । এখন যদি আদালত জামিন না দেয় তাহলে তা বিচার্য বিষয় । কিন্তু, বাংলাদেশের ঘটনা নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলে জনমত তৈরি হচ্ছে । তাই, শেষ পর্যন্ত বিষয়টি কোন দিকে গড়ায় তা দেখতে হবে । তবে, অন্যায় অবিচারের সঙ্গে সিপিএম বা বামপন্থীরা আপোস করেনি । করবেও না । সিপিএম দল রাজনৈতিকভাবে বাংলাদেশের বর্তমান সরকারের ভূমিকা নিয়ে যথেষ্ট সচেতন । তারা বিভিন্ন ইস্যুতে রাজনৈতিক কর্মসূচিতে অংশ নিচ্ছে ।"
বিজেপি নেতা রাহুল সিনহার বক্তব্য, "চট্টগ্রাম আদালতের রায় হতাশ করেছে দুই বঙ্গের মানুষকে । নতুন বছরের শুরুতেই আওয়াজ উঠেছিল চিন্ময় দাসের জামিন মঞ্জুর হবে । গণতন্ত্র ফিরবে বাংলাদেশে । কিন্তু, তেমনটা হল না । চট্টগ্রাম আদালত চিন্ময় দাসের জামিন মঞ্জুর করেনি । তবে, ব্যক্তিগতভাবে আমার মনে হয়, বাংলাদেশে মৌলবাদীদের ভয়ে, কার্যকলাপে সে দেশে গণতন্ত্র ও বিচারব্যবস্থা প্রভাবিত হচ্ছে । অবিলম্বেই ইউনুস সরকারের উচিত বিষয়টিতে হস্তক্ষেপ করা । চিন্ময় দাসের জেলমুক্তি করে বাংলাদেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করা ।"
এ দিকে কংগ্রেস নেতা সৌম্য আইচ রায় আবার বলেন, "সারা বিশ্বে মানবাধিকার জামিন । সেটাও আজ পাওয়া যাচ্ছে না । বাংলাদেশের আইনজীবী বিচারকরা এখন ভয়ে আছেন । সে দেশে মৌলবাদীরা পাকিস্তানের আইএসআইয়ের যোগসাজশে সংখ্যালঘুদের উপর অত্যাচার চালাচ্ছে । একজন কাঠপুতুল সরকার চালাচ্ছে । অবিলম্বে পরিস্থিতির বদল হওয়া প্রয়োজন ।"