হায়দরাবাদ, 21 মে:কন্যা তুমি অনন্যা ৷ মেয়েরা পারে না এমন কিছু বোধহয় এই জগতে নেই ৷ সে আসুক হাজার বাধা ৷ তাকে অতিক্রম করেই এগিয়ে যাওয়ার আরেক নাম নারী ৷ তেমনই এক নারী হলেন ভারতীয় প্যারা-অ্যাথলিট দীপ্তি ৷ দারিদ্র্য এবং কুসংস্কারের অন্ধকারের বেরাজালকে ভেঙে আলোর পথের দিশারি এই কন্যে ৷ প্রতিকূলতাকে জয় করে বিশ্ব দরবারে ভারতের নাম উজ্জ্বল করেছেন এই বিশেষভাবে সক্ষম খোলোয়াড় ৷ হয়ে উঠেছেন প্যারা-অ্যাথলেটিক্সে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ৷
তেলেঙ্গানার ওয়ারাঙ্গল জেলার কাল্লেদা গ্রামের বাসিন্দা দীপ্তি ৷ গ্রাম থেকে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হওয়ার তাঁর এই যাত্রাটা সহজ ছিল না ৷ অনেক জীবন সংগ্রামের মধ্যে দিয়ে যেতে হয়েছে তাঁকে ৷ তবে শেষ পর্যন্ত তাঁর কঠোর পরিশ্রম ও ইচ্ছাশক্তি তাঁকে সাফল্যের চূড়ায় পৌঁছে দিয়েছে ৷ এমন একটি পরিবারে দীপ্তি জন্মগ্রহণ করেছিলেন যেখানে নুন আনতে পান্তা ফুরোয় ৷ তাঁর উপর শারীরিক প্রতিবন্ধকতা ছিল সমাজের কাছে কলঙ্ক ৷ সেই কলঙ্কের ছায়ার জেরে দীপ্তি এমন বাধার মুখোমুখি হয়েছিল যা তাঁর কাছে ভেদ করা অপ্রতিরোধ্য বলে মনে হয়েছিল ৷ কিন্তু দীপ্তির জন্য ভাগ্যের পরিকল্পনা ছিল অন্য ৷
দীপ্তি ওয়ারাঙ্গলে একটি স্কুল মিট চলাকালীন ভারতীয় জুনিয়র দলের প্রধান কোচ নাগপুরী রমেশের নজরে পড়েন । তাঁর খেলোয়াড় হওয়ার সম্ভাবনাকে দেখে রমেশ দীপ্তির বাবা-মাকে তাঁকে প্রশিক্ষণের জন্য হায়দরাবাদে পাঠানোর জন্য অনুরোধ করেছিলেন ৷ তবে খারাপ আর্থিক পরিস্থিতির কারণে দীপ্তির বাবা-মা এই প্রস্তাবে রাজি ছিলেন না । তবে রমেশের সাহায্য এবং এনাডু সিএসআর প্রোগ্রাম 'লক্ষ্য'-এর গাইড পুল্লেলা গোপীচাঁদের হস্তক্ষেপ, দীপ্তির মহানতার যাত্রার পথ প্রশস্ত করেছিল ৷
খেলার শুরু থেকে আন্তর্জাতিক স্তরে প্রশংসা কুড়নো পর্যন্ত, দীপ্তির যাত্রা অসাধারণ ছাড়া আর কিছু নয় । আর্থিক সহায়তা এবং শীর্ষস্থানীয় প্রশিক্ষণের মাধ্যমে তিনি প্যারা-অ্যাথলেটিক্সের শীর্ষে উঠেছিলেন ৷ ভারতের হয়ে সোনা পেয়েছিলেন এবং বিশ্ব মঞ্চে একের পর এক রেকর্ড গড়েছিলেন ৷