মুম্বই, 13 মার্চ: 538 রানের বিরাট লক্ষ্যমাত্রা তাড়া করতে নেমে শুরু থেকেই ব্যাকফুটে ছিল বিদর্ভ ৷ ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে রঞ্জি ফাইনালের মতো ম্যাচে পাহাড় প্রমাণ রান তাড়া করে জেতা কার্যত অসম্ভব ৷ চতুর্থদিনে ব্যাট করতে নেমে 133 রানেই চার উইকেট হারায় দু'বারের রঞ্জিজয়ীরা ৷ সেখান থেকে খেলাটা ধরেছিলেন করুণ নায়ার ও অক্ষয় ওয়াদেকর জুটি ৷
90 রানের পার্টনারশিপে মুম্বই বোলারদের চাপ বাড়াচ্ছিলেন নায়ার-ওয়াদেকর ৷ টেস্টে ত্রি-শতরান করা ব্যাটার ক্রিজে জমে বসলে বিদর্ভের কাজটা খানিক সহজ হয়ে যেত ৷ 220 বল খেলে ফেলেছিলেন নায়ারও, ক্রমশ ম্যাচের রাশ নিজের হাতে নিচ্ছিলেন ৷ সেখান থেকে কাজের কাজটা করলেন ব্যাট হাতে মুম্বইয়ের দ্বিতীয় ইনিংসের নায়ক ৷ মুশিরের বলে খোঁচা দিতে গিয়েই স্টাম্পার হার্দিক তামোরের হাতে ক্যাচ দিয়ে বসলেন করুণ নায়ার ৷ ফলে মুম্বইয়ের 42তম রঞ্জি ঘরে তোলা এখন কার্যত সময়ের অপেক্ষা ৷
ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে প্রথম ইনিংসে মাত্র 105 রানে মুম্বইয়ের সামনে তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়েছিল বিদর্ভের ব্যাটিং ৷ দ্বিতীয় ইনিংসে দলের ব্যাটিং খানিক উজ্জ্বল হলেও প্রথম ইনিংসে বিরাট রানে পিছিয়ে থাকা এবং দ্বিতীয় ইনিংসে বোলারদের ব্যর্থতাই ট্রফি থেকে দূরে সরিয়ে দিয়েছে বিদর্ভকে ৷
1970-71 সালে ফাইনালে মুখোমুখি হয়েছিল বোম্বে (এখন মুম্বই) ও মহারাষ্ট্র ৷ 53 বছর পর ফের একবার রঞ্জি ট্রফির ফাইনালে খেলছে একই রাজ্যের দুই দল ৷ এখনও পর্যন্ত দু’বার রঞ্জি ফাইনালে উঠেছে বিদর্ভ ৷ দু’বারই ট্রফি গিয়েছে তাদের ড্রেসিংরুমে ৷ শেষবার 2018-19 মরশুমে ট্রফি জিতেছিল বিদর্ভ ৷ 48তম ফাইনাল খেলছে টুর্নামেন্টের সবচেয়ে সফল দল মুম্বই ৷ রঞ্জি ট্রফি তাদের ড্রেসিংরুমে ফিরলে 42তম টুর্নামেন্ট জয়ের শিরোপা অর্জন করবে তারা ৷
আরও পড়ুন:
- ঘরোয়া টুর্নামেন্ট ক্রিকেটারদের ভুলত্রুটি শুধরে নিতে সাহায্য করে: সচিন
- জীবনে চ্যাম্পিয়ন হতে হলে জিততেই হবে: সৌরভ
- রঞ্জি ফাইনালে বোলারদের দাপট উপভোগ করছেন সচিন