কলকাতা, 22 অক্টোবর: রোগ ধরলেও দলের নতুন কোচ অস্কার ব্রুজোর ওষুধ এখনও সেভাবে কাজ করা শুরু করেনি ফুটবলারদের মধ্যে ৷ কলিঙ্গরাজ্যে গিয়ে তাই লড়াই ছুড়ে দিলেও পয়েন্ট এল না ইস্টবেঙ্গলে ৷ সবমিলিয়ে চলতি আইএসএলে হারের ডাবল হ্যাটট্রিক সেরে ফেলে দিল্লি ডায়নামোসের টানা হারের নজির ছুঁয়ে ফেলল লাল-হলুদ ৷ ওড়িশার কাছে মঙ্গলবার 1-2 গোলে হারল অস্কার ব্রুজোর ছেলেরা ৷
এর আগে 2017-18 মরশুমে দিল্লি ডায়নামোস একই মরশুমে টানা ছ'টি ম্য়াচ হেরেছিল ৷ এদিন সেই রেকর্ড ছুঁয়ে ফেলল ইস্টবেঙ্গল ৷ তবে আট ম্যাচ হেরে এই তালিকার শীর্ষে রয়েছে নর্থ-ইস্ট ইউনাইটেড (2022-23) ৷ যদিও এদিন প্রথমার্ধের প্রথম পনেরো মিনিটের ইস্টবেঙ্গলকে দেখলে মনে হবে বুঝি লিগ শীর্ষে থাকা দলের বিরুদ্ধে খেলছে সার্জিও লোবেরার দল ৷ প্রান্তিক আক্রমণে তখন দিশেহারা ওড়িশা এফসি ৷ ওই সময় গোলের খুব কাছে পৌঁছে গিয়েছিলেন দিমিত্রিয়স দিয়ামানতাকোস ৷ কিন্তু পারেননি ৷ ইটিভি ভারতের রিপোর্টে মান্যতা দিয়েই এদিন ক্লেইটন সিলভার পরিবর্তে একাদশে আসেন গ্রিক স্ট্রাইকার ৷ একাদশে ফেরেন হিজাজি মাহের ও জিকসন সিংও ৷
তবে পিভি বিষ্ণুর একাদশে অন্তর্ভুক্তি সবচেয়ে বেশি চোখে পড়ছিল এদিন ৷ তবে হাইলাইন ডিফেন্সে আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলতে হলে যে উচ্চতার ফিটনেস প্রয়োজন হয়, তা নেই লাল-হলুদে ৷ আর সে কারণেই খেলার গতির বিরুদ্ধে 22 মিনিটে গোল তুলে নেয় ওড়িশা এফসি ৷ আইস্যাক রালতে বাড়ানো বল ধরে হিজাজি ও প্রভাতকে টপকে 1-0 করে যান রয় কৃষ্ণা ৷ সাঁইত্রিশেও একইভাবে গোল শিকার করে চলেছেন ফিজিয়ান ৷ পিছিয়ে পড়েও একের পর এক আক্রমণ তুলে আনতে থাকে ইস্টবেঙ্গল। ফলশ্রুতিতে প্রথমার্ধের সংযোজিত সময়ে সমতায় ফেরে তারা।
মাদিহ তালালের শট বক্সের মধ্যে জেরির হাতে লাগলে পেনাল্টি পায় ইস্টবেঙ্গল। স্পটকিক থেকে চলতি আইএসএলের প্রথম গোল করতে ভুল করেননি গতবারের সর্বাধিক স্কোরার দিয়ামানতোকোস। দ্বিতীয়ার্ধে আবারও আক্রমণ সংখ্যায় এগিয়ে থাকলেও গোল করে কাজের কাজ করে যায় হোম টিম ৷ ওড়িশার দ্বিতীয় গোলে আহমেদ জাহু এবং মোর্তাদা ফলের চেনা যুগলবন্দি। 69 মিনিটে জাহুর ঠিকানা লেখা ফ্রি-কিকে পিছন থেকে উঠে এসে জোরালো হেডে দলের দ্বিতীয় গোলটি করে যান ফল।
এরপর 75 মিনিটে প্রভাত লাকড়া দ্বিতীয় হলুদ কার্ড এবং লাল কার্ড দেখে বেরিয়ে যেতেই সমতায় ফেরার আশা ফিকে হয় লাল-হলুদের। তবুও শেষ পনেরো মিনিটে মুহুর্মুহু আক্রমণ তুলে আনে ইস্টবেঙ্গল। কিন্তু দ্বিতীয়বার কোনও ভুলচুক করেনি ওড়িশা রক্ষণ ৷ ফলে কলিঙ্গ রাজ্যে আধডজন হারের বৃত্ত সম্পূর্ণ হয় গতবারের সুপার কাপ জয়ীদের ৷