কলকাতা, 30 জুলাই: কলকাতা লিগ এবং ডুরান্ড কাপ নিয়ে জয়ের হ্যাটট্রিক মোহনবাগান সুপার জায়ান্টের। চলতি মরশুমে প্রথম হ্যাটট্রিক করার কৃতিত্ব দেখালেন সুহেল ভাট। মঙ্গলবার কলকাতা লিগের ম্যাচে দ্বিতীয় জয় তুলে নিল মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট। এককথায় ডেইজি কার্ডোজের হাতে নয় বাস্তব রায়ের হাতে পড়েই সবুজ-মেরুনের ভোলবদল।
ইতিমধ্যে মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট হেড কোচ হোসে মোলিনা বলেছেন, "প্রতিটি ম্যাচ গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিটি ম্যাচ জিততে চান। কোচের কথার চটজলদি বাস্তব প্রয়োগ কলকাতা লিগের ম্যাচে সুহেল ভাট, টাইসনরা করে দেখালেন। টালিগঞ্জ অগ্রগামীর বিরুদ্ধে 5-1 গোলে জয়। সুহেল ভাটের হ্যাটট্রিক। এই ম্যাচ জয়ের ফলে কলকাতা লিগের পয়েন্ট টেবিলে নবম স্থান থেকে পঞ্চম স্থানে উঠে এল তারা।
টালিগঞ্জ ম্যাচের আগে মোহনবাগানের হাতে ছিল 6 পয়েন্ট। পাঁচ ম্যাচের মধ্যে একটিতে জয়, তিনটি ম্যাচে ড্র ও একটায় হেরে তারা শোচনীয় অবস্থায় ছিল। ফলে এই ম্যাচটা তাদের কাছে জেতা ছাড়া আর কোনও রাস্তা ছিল না। কার্যত অস্তিত্ব রক্ষার লড়াই। ফলে এই ম্যাচ জেতার জন্য প্রথম থেকেই সুহেল ভাটকে খেলায় সবুজ-মেরুন। তিনি প্রথম থেকে নেমে হতাশ করেননি। ম্যাচের প্রথমার্ধে ম্যুর অ্যাভেনিউয়ের দলের বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি গোলের সুযোগ তৈরি করেছিল মোহনবাগান। তবে নিজেরাই সেই সুযোগ হাতছাড়া করে সমস্যা বাড়িয়ে তোলে।
প্রথমার্ধ গোলশূন্য। মনে হচ্ছিল ফের পয়েন্ট হারাবে মোহনবাগান। কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধে জ্বলে উঠল বাস্তব রায়ের ছেলেরা। 45 মিনিটের সবুজ-মেরুন ঝড়। আর তাতেই লন্ডভন্ড টালিগঞ্জ। প্রীতম খাটুয়ার আত্মঘাতী গোলে এগিয়ে যায় মোহনবাগান। এরপর শুরু হয় সুহেল ভাটের গোল। 59, 63, 70 মিনিট। মোট 11 মিনিটে হ্যাটট্রিক সম্পূর্ণ করেন কাশ্মীরি স্ট্রাইকার। ডুরান্ড কাপের প্রথম ম্যাচে দলকে গোল করে জিতিয়েছিলেন। কলকাতা লিগে দ্বিতীয় স্ট্রাইকার হিসেবে চলতি মরশুমে হ্যাটট্রিক করলেন।
এই হ্যাটট্রিকের সঙ্গে সুহেল ভাট সর্বোচ্চ গোলদাতার দৌড়ে এগিয়ে গেলেন। এরপর অতিরিক্ত সময়ে মোহনবাগান তাদের শেষ গোলটা করে। সালাউদ্দিন গোল করেন ম্যাচের 94 মিনিটে। মাঝে টালিগঞ্জের হয়ে একটি গোল করেন শামিম। তবে সেটা সান্ত্বনা ছাড়া আর কিছুই নয়। যদিও ম্যাচ কমিশনার টালিগঞ্জের গোলটিকে আত্মগাতী গোল বলে রায় দিয়েছে। বলটি মোহনবাগানে সৌরভের পায়ে লেগে গোলে ঢোকায় রেফারি আত্মঘাতী গোল দিয়েছেন। এই ম্যাচ জয়ের ফলে মোহনবাগান পঞ্চম স্থানে চলে এল। 6 ম্যাচে তাদের পয়েন্ট 9। পরপর দু'টো ম্যাচ জেতার পর মোহনবাগান অবনমনের আতঙ্ক কাটিয়ে উঠল।