চেন্নাই, 27 সেপ্টেম্বর: অভিষেকেই মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট এটিকের কীর্তি স্পর্শ করে ফেলল মহমেডান স্পোর্টিং ৷ আইএসএলে প্রথমবার অ্যাওয়ে ম্যাচ খেলতে নেমেই জয় তুলে নিল সাদা-কালো শিবির ৷ সেই সঙ্গে সবুজ-মেরুনের কৃতিত্বে ভাগ বসালে মহমেডান ৷
বৃহস্পতিবার চেন্নাইয়ের জওহরলাল নেহেরু স্টেডিয়ামে চেন্নাইয়িন এফসি-কে 1-0 গোলে হারিয়ে বিরল কৃতিত্ব অর্জন করে আন্দ্রে চেরিনেশভের ছেলেরা। 39 মিনিটে রেমসাঙ্গার পা-থেকে জয়ের গোল তুলে নেয় মহমেডান স্পোর্টিং ৷ অ্যাওয়ে ম্যাচ খেলতে গিয়েই প্রথমবারেই বাজিমাত করার কৃতিত্ব ইস্টবেঙ্গলের নেই ৷ সেদিক থেকে লাল-হলুদকে টেক্কা দিল ময়দানের তৃতীয় প্রধান ৷ প্রথম তিন ম্যাচে হার, ড্র ও জয়ের হাত ধরে আইএসএলে চার পয়েন্ট সংগ্রহ করে ফেলল সাদা-কালো শিবির ৷
সবুজ-মেরুনের কৃতিত্ব স্পর্শ মহমেডানের (নিজস্ব চিত্র) মহমেডান স্পোর্টিং অভিষেকেই নজরকাড়া ফুটবল মেলে ধরে শুধু চমকে দিচ্ছে না, বরং প্রতিপক্ষের দুঃস্বপ্ন হয়ে উঠছে ৷ চেন্নাইয়ের মাটিতে রেমসাঙ্গা, ফ্রাঙ্কা, কাশিমভ, মাখন ছোটে, অ্যালেক্সিসরা যে ফুটবল মেলে ধরলেন, তা যেন কলকাতার দু'টি ম্যাচের প্রতিচ্ছবি ৷ ভয়ডরহীন ফুটবলে ভর দিয়ে গত তিনটি ম্যাচে আক্রমণের ঝড় তুলছে সাদা-কালো ব্রিগেড। আক্রমণ ভাগে আর্জেন্তিনার অ্যালেক্সিস, ব্রাজিলিয়ান ফ্রাঙ্কার যুগলবন্দি প্রতিপক্ষ রক্ষণকে বারবার আঘাত হানে । যা লক্ষীবারে চেন্নাইয়ের মাটিতেও অব্যাহত ছিল।
বল পায়ে অপতিরোধ্য মহমেডান ফুটবলার (নিজস্ব চিত্র) উইংয়ে রেমসাঙ্গার দৌড় চেন্নাইয়িন রক্ষণকে সবসময়ই অস্বস্তিতে রেখেছিল। গতবছর থেকেই রেমসাঙ্গা নজর কাড়া ফুটবল খেলে চলেছেন। আই লিগ থেকে আইএসএলের মঞ্চে পৌঁছেও রেমসাঙ্গা একইরকম ধারাবাহিক ৷ বলা ভালো আগের থেকে পরিশালিত। 39 মিনিটে ম্যাচের একমাত্র অর্থাৎ দলের জয়সূচক গোলটি রেমসাঙ্গা করলেন শুধুমাত্র বল তাড়া করে ৷ চেন্নাইয়িনের ডিফেন্ডাররা ভুল পাস করলেন মহমেডান অক্রমণভাগের তিন মুর্তির নাছোড় ফুটবলের সৌজন্যে। গোল করার আগে অন্তত দু'বার গোল করার মত পরিস্থিতি তৈরি করেছিল মহমেডান ৷ যা কাজে লাগাতে পারলে অনেক আগেই গোলের দরজা খুলে ফেলত ।
গোলের পর উচ্ছ্বাাস রেমসাঙ্গার (নিজস্ব চিত্র) অন্যদিকে, ড্যানিয়েল চিমার গা জোয়ারি ফুটবল, ইরফানওয়াড, ফারুক চৌধুরি, কোনর শিল্ডদের ঝোড়ো আক্রমণ সাদা-কালো ডিফেন্ডাররা অনবদ্য তৎপরতায় রুখে দিলেন ৷ বিশেষ করে জোশেফ আদজাই, জুডিকা, গৌরব বোরো, আদিঙ্গা চেন্নাইয়িন আক্রমণভাগকে মাথা তুলতে দেননি। ফলে 34টি আক্রমণ করেও চেন্নাইয়িনের প্রাপ্তি শুধুই শূন্য। 17টি গোলের সুযোগ তৈরি করেও চেন্নাইয়িনের ভাড়ার শূন্য।
আর চারটি গোলের সুযোগ তৈরি একটিতে বাজিমাত। ম্যাচের সংযুক্তি সময়ে মানজোকি পেনাল্টি থেকে গোল করতে ব্যর্থ না-হলে ব্যবধান বাড়ত সাদা কালো শিবিরের। প্রথম থেকে রক্ষণ জমাট রেখে জয়ের রাস্তা খুঁজে নিল মহমেডান। যার জন্য কৃতিত্ব প্রাপ্য কোচ আন্দ্রে চেরিনেশভের।