কলকাতা, 19 ফেব্রুয়ারি: রাজনীতিবিদরা পরিচালন করেন ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড ৷ ক্রিকেটকে বিদায় জানানোর পরমুহূর্তেই বিস্ফোরক মনোজ তিওয়ারি। সোমবার স্পোর্টস জার্নালিস্ট ক্লাবের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে এসে অকপট সদ্য বাইশ গজ থেক বানপ্রস্থে যাওয়া প্রাক্তন বাংলা অধিনায়ক। বিশ বছরের ক্রিকেট জীবনে ঘরোয়া ক্রিকেটে দশ হাজারেরও বেশি রান করেছেন মনোজ তিওয়ারি। তবুও তর্ক-বিতর্ক, দুঃখ-আনন্দ, পাওয়া-না পাওয়া জড়িয়ে মনোজের সঙ্গে। বাংলা ক্রিকেটে তাঁর অবদানের কথা মাথায় রেখেই সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় বলেছেন, "ক্রিকেট যতদিন থাকবে, ইডেন যতদিন থাকবে; মনোজের নাম সবার উপরে থাকবে।"
সোমবার সিএসজেসি তাঁবুতে কোনওরকম রাখঢাক না-করে বিসিসিআইয়ের চালিকাশক্তি নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিলেন মনোজ তিওয়ারি। ঘরের মাঠে কিংবা বিদেশের মাটিতে দ্বিপাক্ষিক সিরিজে ভারতীয় দল সাফল্য পেলেও আইসিসি পরিচালিত টুর্নামেন্টে সাফল্য নেই রোহিতদের। এই ব্যর্থতার কারণ হিসেবে রাজনৈতিক দলের পরোক্ষ প্রভাবের দিকে আঙুল তুলেছেন মনোজ। মন্ত্রী মনোজ বলেছেন, “আপনারা জানেন কিছু বললেই নির্বাসিত করে দেবে। একটা টুইটের জন্য আমার ম্যাচ ফি'র 20 শতাংশ কাটা গিয়েছে। এখন বিসিসিআই খেলাধুলোর সঙ্গে যুক্ত লোকেরা চালায় না, চালাচ্ছে রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত লোকেরা। এটা আমি আগেও বলতে পারতাম। কিন্তু আমি যদি আগে বলতাম তাহলে খেলার বিষয়ে না-হলেও অন্য কারণ দেখিয়ে আমায় নির্বাসিত করা হত।”
ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে শতরানের পরেও দল থেকে বাদ পড়তে হয়েছিল মনোজকে। 14 ম্যাচ কেন বাইরে ছিলেন তা অজানা মনোজের। সেই সময়ের ভারতীয় দলের অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনিকে তিনি সুযোগ পেলে প্রশ্ন করতে চান বিষয়টি নিয়ে, রবিবার জানিয়েছিলেন ম্যাচের পর ৷ সোমবারও একই কথার পুনরাবৃত্তি করলেন মনোজ। কলকাতা নাইট রাইডার্সের আইপিএল জয়ী অধিনায়ক গৌতম গম্ভীরের সঙ্গেও মনোজের গণ্ডগোল বহুল চর্চিত। সেই ঘটনার মাশুল ক্রিকেট জীবনে দিতে হয়েছিল বলে মনে করেন মনোজ। তিনি বলেন, “2013 সালে গৌতম গম্ভীরের সঙ্গে ড্রেসিংরুমে বড় ঝামেলা হয়েছিল। সেটা না-হলে আমি হয়তো আরও দু-তিন বছর ওখানেই খেলতে পারতাম।”