দুর্গাপুর, 5 মার্চ:সেদিন ওয়েস্ট ইন্ডিজের মুখোমুখি হয়ে কপিল দেবের নেতৃত্বে চূড়ান্ত ফর্মে থাকা ক্যারিবিয়ান বাহিনীকে হারিয়ে প্রথম ক্রিকেটে বিশ্বজয় করে ভারত। 25 জুন, 1983 সারা দেশের মানুষ বিনিদ্র রজনী যাপন করেছিলেন দেশের ক্রিকেটারদের এই অভূতপূর্ব সাফল্যের কারণে। কপিল দেব নিখাঞ্জের নেতৃত্বে বিশ্বজয়ী সেই ক্রিকেট দলের সদস্য ছিলেন বিহারের ভাগলপুরের যুবক কীর্তি আজাদ। ইটিভি ভারতকে একান্ত সাক্ষাতকারে বিশ্বকাপজয়ী দলের সদস্য তথা তৃণমূল নেতা ৷
দুর্গাপুর ক্রিকেট ক্লাবের ক্ষুদে ক্রিকেটারদের সঙ্গে বেশ কিছুক্ষণ আলাপচারিতার পর বাইশগজে নেমে পড়েন কীর্তি আজাদ। একের পর এক বাউন্ডারি, ওভার বাউন্ডারি মনে করিয়ে দিল 1983-র কথা। বাইশ গজকে প্রণাম জানিয়ে দুর্গাপুরের রাজনৈতিক জমিতে তাঁর পা-রাখা নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে।
তাঁর রাজনৈতিক জীবন শুরু হয়েছে বেশ কয়েক দশক আগে। প্রথমে গেরুয়া শিবিরে নাম লিখেছিলেন তিনি। পরে তাদের সঙ্গে মনোমালিন্যের কারণে কংগ্রেসে যোগদান। তিনবারের সাংসদ কীর্তি আজাদকে দেখা যায় গেরুয়া শিবিরের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে। কিন্তু কংগ্রেসের সঙ্গেও তাঁর সুসম্পর্ক দীর্ঘস্থায়ী হয়নি। 2021 সালে তিনি তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করেন। এরপরেই তিনি গোয়ার সাংগঠনিক দায়িত্বভার পান। সোমবার বিকালে হঠাৎই দুর্গাপুরের অণ্ডাল বিমানবন্দরে অবতরণ এই প্রাক্তন ক্রিকেটার তথা রাজনীতিবিদের।
সোমবার দিনভর বিভিন্ন মন্দিরে ঘোরার পর মঙ্গলবার তিনি দুর্গাপুর স্টিল টাউনশিপের শিবাজি রোডে অবস্থিত দুর্গাপুর ক্রিকেট ক্লাবে আসেন। কীর্তি আজাদের সঙ্গে ছিলেন পাণ্ডবেশ্বরের বিধায়ক তথা পশ্চিম বর্ধমানের টিএমসির জেলা সভাপতি নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী। দুর্গাপুর ক্রিকেট ক্লাবে কীর্তি আজাদকে স্বাগত জানাতে পৌঁছন রাজ্যের পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দফতরের মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার। তবে জোর জল্পনা বর্ধমান-দুর্গাপুর লোকসভা কেন্দ্রে এবার কি জোড়া ফুল শিবিরের প্রার্থী কীর্তি আজাদ? যদিও কীর্তি আজাদ এবং তৃণমূল কংগ্রেসের পশ্চিম বর্ধমানের জেলা নেতৃত্ব এই বিষয়টিতে স্পষ্ট করে কিছুই বলেনি ৷