বসিরহাট, 14 ফেব্রুয়ারি: বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের অসুস্থ হয়ে পড়ার খবরে তীব্র প্রতিক্রিয়া বিজেপির অন্দরে ৷ বিজেপি নেতৃত্ব আক্রমণ শানাল সরাসরি মমতা সরকারের বিরুদ্ধেও ৷ বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী থেকে শুরু করে বিজেপির আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্য সকলেই কড়া প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন। শুভেন্দুর মতে একজন সাংসদ হওয়ার পরও সুকান্তর সঙ্গে রাজ্য প্রশাসন যে আচরণ করেছে তা লজ্জাজনক। অন্যদিকে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশাসন সহ্যের সমস্ত সীমা পেরিয়ে গিয়েছে বলে দাবি বিজেপির আইটি সেলের প্রধানের।
ঘটনাচক্রে প্রথমে ট্রেনে করে বসিরহাট আর বুধবার সেখান থেকে সন্দেশখালির উদ্যেশে যাওয়ার সময় পথে বারবার পুলিশি বাধার মুখে পড়েন বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তিনি বিভিন্ন উপায় পুলিশের চোখে ধুলো দিয়ে সন্দেশখালি পৌঁছনোর চেষ্টাও করেন এদিন। তবে টাকির কাছে পুলিশি বাধার মুখে পড়তে হয় সুকান্তকে। পুলিশ এবং বিজেপি কর্মি-সমর্থকদের সঙ্গে বচসা চলতে থাকে।
সুকান্ত একটি পুলিশের জিপের বনেটের উপর দাড়িয়ে পড়লে তাঁকে টেনে নামাতে যায় পুলিশ। এরপরেই পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তিতে জ্ঞান হারান সুকান্ত মজুমদার। প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য তাঁকে প্রথমে বসিরহাট মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে দল সিদ্ধান্ত নেয় তাঁর চিকিৎসা হবে সল্টলেকের একটি বেসরকারি হাসপাতালে।
এই ঘটনার পরেই কড়া প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন দলের সাধারণ সম্পাদক জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায় ৷ তিনি গতকাল থেকেই রাজ্য সভাপতির সঙ্গে ছিলেন ৷ এদিন সুকান্ত মজুমদার অসুস্থ হয়ে পড়ার সময়ও তাঁর সঙ্গেই ছিলেন ৷ তিনি জানান, এমন অবস্থা যে রাস্তায় গাড়ি চলাচল নিয়ন্ত্রণ করতে হচ্ছে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে। এরপর 'সুপার স্পেশালিটি' হাসপাতালে এসে দেখা গেল এখানে সুপার স্পেশালিটির মতো কোনও পরিষেবাই নেই। তাঁর আরও দাবি, ধ্বস্তাধ্বস্তিতে পুলিশের সঙ্গে তৃণমূলের হার্মাদ বাহিনীও ছিল।