রামপুর, 16 ফেব্রুয়ারি: 'রাষ্ট্রপতি শাসন জারি না হলে মমতার জঙ্গলরাজ শেষ হবে না। এখানে গুন্ডারাজ চলছে।' সন্দেশখালি যাওয়ার পথে রামপুরে পুলিশের বাঁধার মুখে পড়ে এভাবেই মমতা বন্দোপাধ্যায়কে নিশানা করলেন বিজেপির ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিমের সদস্য রাজ্যসভার সাংসদ ব্রিজলাল। শুক্রবার বিজেপির ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিমের ছয় সদস্য সন্দেশখালি যাওয়ার চেষ্টা করলে তাঁদের ধামাখালির কাছে রামপুরে আটকে দেওয়া হয়।বাধা পেয়ে পুলিশের সঙ্গে শুরু হয় তীব্র বচসা, বাদানুবাদ। চলে ধাক্কাধাক্কিও। পরিস্থিতি যথেষ্ট উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। পুলিশের এই আচরণের প্রতিবাদ জানিয়ে বাসন্তী হাইওয়েতে রাস্তাতেই বসে পড়েন বিজেপির কেন্দ্রীয় টিমের সদস্যরা।
বেশ কিছুক্ষণ সেখানেই তাঁরা বসে থাকেন। এরপর, ভিডিয়ো কলের মাধ্যমে কয়েকজন নিপীড়িত গ্রামবাসীর সঙ্গে কথা বলেন কেন্দ্রীয় টিমের এক মহিলা সদস্য। তাঁদের আশ্বস্ত করে ওই মহিলা সদস্য বলেন, "আপনারা এখানে চলে আসুন। আমরা আপনাদের জন্য অপেক্ষা করছি। সমস্ত অভাব অভিযোগ শুনব।" একথা বলার পরেই আবারও বিজেপির ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিমের সদস্যরা রাস্তায় বসে অপেক্ষা করতে থাকেন গ্রামবাসীদের। যদিও, শেষ পর্যন্ত তাঁদের সঙ্গে আর দেখা হয়নি জেপি নাড্ডার পাঠানো কেন্দ্রীয় টিমের সদস্যদের। কারণ, তার আগেই সেখান থেকে বেরিয়ে তাঁরা রওনা দেন রাজভবনের উদ্দেশ্যে।
এদিকে, পুলিশ অ-গণতান্ত্রিকভাবে বিজেপি কেন্দ্রীয় টিমের সদস্যদের সন্দেশখালি যাওয়া আটকেছে বলে দাবি করেন ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিমের সদস্য, উত্তরপ্রদেশের প্রাক্তন ডিজিপি ব্রিজলাল। তাঁর কথায়, "বিজেপির উচ্চপর্যায়ের কমিটি যে সন্দেশখালিতে যাবে। তা আগেই রাজ্যের মুখ্য সচিবকে চিঠি দিয়ে জানানো হয়েছিল। তারপরও কোনও জবাব আসেনি। কেন আমাদের আটকানো হল, সেবিষয়ে সুনির্দিষ্ট কোনও ব্যাখা দিতে পারেনি পুলিশ। নিয়ম মেনে আমরা চারজন যাওয়ার কথাও বলি। কিন্তু তাতেও যেতে দেওয়া হয়নি।"
এরপরই পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করে রাজ্যসভার সাংসদ ব্রিজলাল মমতা বন্দোপাধ্যায়কে সরাসরি নিশানা করেন। তিনি বলেন, "আসলে সন্দেশখালি গেলে শাহজাহান বাহিনীর তালিবানি শাসন সামনে চলে আসবে। সেই কারণে আমাদের আটকাতে পুলিশ জায়গায় জায়গায় ব্যারিকেড দিয়ে রেখেছে। এই তালিবানি শাসন বেশিদিন আর চলবে না। এরাজ্যে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি হওয়া দরকার। নইলে তোলাবাজি, গুণ্ডারাজ, দুর্বৃত্তদের লাগামহীন অপরাধ আরও বাড়বে।"