ETV Bharat / state

অল্পসংখ্যক পড়ুয়া থাকা স্কুলগুলি মিলিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা, জানালেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু - BRATYA ON MERGER OF SCHOOLS

স্কুলভিত্তিক শিক্ষক-পড়ুয়ার অনুপাতে নেওয়া হবে সিদ্ধান্ত ৷ তার আগে সমীক্ষা করবে শিক্ষা দফতর ৷

BRATYA ON MERGER OF SCHOOLS
অল্পসংখ্যক পড়ুয়া থাকা স্কুলগুলি মিলিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা, জানালেন ব্রাত্য বসু ৷ (ইটিভি ভারত)
author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Jan 7, 2025, 2:55 PM IST

কলকাতা, 7 জানুয়ারি: কেন্দ্রীয় সরকারের রিপোর্ট অনুযায়ী, রাজ্যে ব্যাপক হারে বেড়েছে স্কুলছুট পড়ুয়ার সংখ্যা ৷ সেই রিপোর্টের পরেই এবার গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া পথে রাজ্য শিক্ষা দফতর ৷ অল্পসংখ্যক পড়ুয়া থাকা স্কুলগুলিকে মিলিয়ে দেওয়া অর্থাৎ, মার্জ করে দেওয়ার কথা জানালেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু ৷

তবে তিনি জানিয়েছেন, কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রকের রিপোর্টের ভিত্তিতে রাজ্য সরকার কোনও সিদ্ধান্ত নেবে না ৷ কমসংখ্যক পড়ুয়া থাকা স্কুলগুলিকে মেলানোর আগে শিক্ষা দফতর নিজেরা একটি সমীক্ষা করছে ৷ সেই সমীক্ষার কাজও শেষের পথে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ৷ কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিমকে পাশে নিয়ে তিনি বলেন, "ববির (ফিরহাদ হাকিম) সঙ্গেও আমার কথা হয়েছে ৷ ওঁর এলাকার দু’টি স্কুল মার্জ করে দেওয়া হবে ৷"

অল্পসংখ্যক পড়ুয়া থাকা স্কুলগুলি মিলিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা, জানালেন ব্রাত্য বসু ৷ (ইটিভি ভারত)

উল্লেখ্য, গত কয়েকবছর উল্লেখযোগ্যভাবে স্কুলছুটের সংখ্যা বেড়েছে এ রাজ্যে ৷ বিশেষত, কোভিড ও তার পরবর্তী সময়ে ৷ এমনকি স্থায়ী শিক্ষকের অভাবও রয়েছে ৷ আর এই দু’য়ের জেরে অনেক স্কুল বন্ধও হয়ে গিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে ৷ সম্প্রতি শিক্ষামন্ত্রকের একটি সমীক্ষা রিপোর্ট প্রকাশ্য হয়েছে ৷

কেন্দ্রের সেই রিপোর্ট অনুযায়ী, রাজ্যে প্রাথমিক ও উচ্চ প্রাথমিক স্তরে স্কুলছুটের হার শূন্য ৷ কিন্তু, মাধ্যমিকস্তরে অর্থাৎ, নবম-দশমে স্কুলছুটের হার 17.85 শতাংশ ৷ কিন্তু, কেন্দ্রের এই সমীক্ষাকে পুরোপুরি ভরসা করছে না রাজ্য সরকার ৷ তাই রাজ্যের শিক্ষা দফতর ইতিমধ্যে একটি সমীক্ষা শুরু করেছে ৷ যেখানে দেখা হবে, স্কুল প্রতি পড়ুয়া ও শিক্ষক কত রয়েছে ৷ সেই অনুপাতে অল্পসংখ্যক পড়ুয়া ও শিক্ষক থাকা স্কুলগুলিকে মিলিয়ে দেওয়া হবে ৷

ব্রাত্য বসু বলেন, "অনেক স্কুলেই ছাত্রছাত্রী নেই ৷ ফিরহাদ হাকিমের সঙ্গে আমার এই বিষয় কথা হয়েছে ৷ ওঁর এলাকার দু’টি স্কুলকে মার্জ করানো হবে ৷ এমন আরও বেশ কিছু স্কুলকে মার্জ করানো হবে ৷ তবে, কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রকের কাজ নির্ভুল আমি বলতে পারি না ৷ তাই ওই রিপোর্ট আমাকে দেখতে হবে ৷"

উল্লেখ্য, প্রাথমিক-উচ্চ প্রাথমিকস্তরে গতবারের থেকে এবছর স্কুল ছুটের সংখ্যা কমেছে ৷ কিন্তু, মাধ্যমিকস্তরে তা প্রায় নয় শতাংশ বেড়েছে ৷ এর কারণ হিসেবে কেন্দ্রকেই দায়ী করলেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ৷ তিনি বলেন, "আমরা কেন্দ্রীয় সরকারকে বলেছিলাম দশম শ্রেণি পর্যন্ত মিড-ডে মিলের ব্যবস্থা করতে ৷ কারণ, অনেক সময় হয় অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত তারা খাবার পায় স্কুলে ৷ নবম-দশম শ্রেণীতে স্কুলে আর খাবার পায় না ৷ সেক্ষেত্রে অনেক গরিব পরিবারেই সমস্যা তৈরি হয় ৷"

শিক্ষামন্ত্রকের রিপোর্ট অনুযায়ী, রাজ্যের 8 হাজার 207টি স্কুলে পড়ুয়ার সংখ্যা তলানিতে এসে ঠেকেছে ৷ এর মধ্যে কয়েক হাজার স্কুলে পড়ুয়ার সংখ্যা সব মিলিয়ে 50-এরও কম ৷ আবার কয়েকশো স্কুলে পড়ুয়াই নেই ৷ এমনকি একজন শিক্ষক দিয়ে চলছে, এমন স্কুলের সংখ্যা 6 হাজার 663 ৷

আলুচাষে মন ! ক্লাসে নেই ছাত্ররা, স্কুলছুট রুখতে উদ্যোগ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতির

কিন্তু, স্কুল মিলিয়ে দেওয়া নিয়ে বেশ কিছু প্রশ্ন থেকে যাচ্ছে ৷ যার মধ্যে অন্যতম, স্কুল মিলিয়ে দেওয়া হলে, তা কীভাবে করা হবে ৷ বাতিল হওয়া স্কুল বিল্ডিংয়ের কী হবে ? বন্ধ হওয়া স্কুলের গ্রুপ ডি কর্মীদের কী হবে ? অবশ্য ব্রাত্য জানাচ্ছেন, দফতরের সমীক্ষার রিপোর্ট হাতে আসার পর, সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে ৷

কলকাতা, 7 জানুয়ারি: কেন্দ্রীয় সরকারের রিপোর্ট অনুযায়ী, রাজ্যে ব্যাপক হারে বেড়েছে স্কুলছুট পড়ুয়ার সংখ্যা ৷ সেই রিপোর্টের পরেই এবার গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া পথে রাজ্য শিক্ষা দফতর ৷ অল্পসংখ্যক পড়ুয়া থাকা স্কুলগুলিকে মিলিয়ে দেওয়া অর্থাৎ, মার্জ করে দেওয়ার কথা জানালেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু ৷

তবে তিনি জানিয়েছেন, কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রকের রিপোর্টের ভিত্তিতে রাজ্য সরকার কোনও সিদ্ধান্ত নেবে না ৷ কমসংখ্যক পড়ুয়া থাকা স্কুলগুলিকে মেলানোর আগে শিক্ষা দফতর নিজেরা একটি সমীক্ষা করছে ৷ সেই সমীক্ষার কাজও শেষের পথে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ৷ কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিমকে পাশে নিয়ে তিনি বলেন, "ববির (ফিরহাদ হাকিম) সঙ্গেও আমার কথা হয়েছে ৷ ওঁর এলাকার দু’টি স্কুল মার্জ করে দেওয়া হবে ৷"

অল্পসংখ্যক পড়ুয়া থাকা স্কুলগুলি মিলিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা, জানালেন ব্রাত্য বসু ৷ (ইটিভি ভারত)

উল্লেখ্য, গত কয়েকবছর উল্লেখযোগ্যভাবে স্কুলছুটের সংখ্যা বেড়েছে এ রাজ্যে ৷ বিশেষত, কোভিড ও তার পরবর্তী সময়ে ৷ এমনকি স্থায়ী শিক্ষকের অভাবও রয়েছে ৷ আর এই দু’য়ের জেরে অনেক স্কুল বন্ধও হয়ে গিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে ৷ সম্প্রতি শিক্ষামন্ত্রকের একটি সমীক্ষা রিপোর্ট প্রকাশ্য হয়েছে ৷

কেন্দ্রের সেই রিপোর্ট অনুযায়ী, রাজ্যে প্রাথমিক ও উচ্চ প্রাথমিক স্তরে স্কুলছুটের হার শূন্য ৷ কিন্তু, মাধ্যমিকস্তরে অর্থাৎ, নবম-দশমে স্কুলছুটের হার 17.85 শতাংশ ৷ কিন্তু, কেন্দ্রের এই সমীক্ষাকে পুরোপুরি ভরসা করছে না রাজ্য সরকার ৷ তাই রাজ্যের শিক্ষা দফতর ইতিমধ্যে একটি সমীক্ষা শুরু করেছে ৷ যেখানে দেখা হবে, স্কুল প্রতি পড়ুয়া ও শিক্ষক কত রয়েছে ৷ সেই অনুপাতে অল্পসংখ্যক পড়ুয়া ও শিক্ষক থাকা স্কুলগুলিকে মিলিয়ে দেওয়া হবে ৷

ব্রাত্য বসু বলেন, "অনেক স্কুলেই ছাত্রছাত্রী নেই ৷ ফিরহাদ হাকিমের সঙ্গে আমার এই বিষয় কথা হয়েছে ৷ ওঁর এলাকার দু’টি স্কুলকে মার্জ করানো হবে ৷ এমন আরও বেশ কিছু স্কুলকে মার্জ করানো হবে ৷ তবে, কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রকের কাজ নির্ভুল আমি বলতে পারি না ৷ তাই ওই রিপোর্ট আমাকে দেখতে হবে ৷"

উল্লেখ্য, প্রাথমিক-উচ্চ প্রাথমিকস্তরে গতবারের থেকে এবছর স্কুল ছুটের সংখ্যা কমেছে ৷ কিন্তু, মাধ্যমিকস্তরে তা প্রায় নয় শতাংশ বেড়েছে ৷ এর কারণ হিসেবে কেন্দ্রকেই দায়ী করলেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ৷ তিনি বলেন, "আমরা কেন্দ্রীয় সরকারকে বলেছিলাম দশম শ্রেণি পর্যন্ত মিড-ডে মিলের ব্যবস্থা করতে ৷ কারণ, অনেক সময় হয় অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত তারা খাবার পায় স্কুলে ৷ নবম-দশম শ্রেণীতে স্কুলে আর খাবার পায় না ৷ সেক্ষেত্রে অনেক গরিব পরিবারেই সমস্যা তৈরি হয় ৷"

শিক্ষামন্ত্রকের রিপোর্ট অনুযায়ী, রাজ্যের 8 হাজার 207টি স্কুলে পড়ুয়ার সংখ্যা তলানিতে এসে ঠেকেছে ৷ এর মধ্যে কয়েক হাজার স্কুলে পড়ুয়ার সংখ্যা সব মিলিয়ে 50-এরও কম ৷ আবার কয়েকশো স্কুলে পড়ুয়াই নেই ৷ এমনকি একজন শিক্ষক দিয়ে চলছে, এমন স্কুলের সংখ্যা 6 হাজার 663 ৷

আলুচাষে মন ! ক্লাসে নেই ছাত্ররা, স্কুলছুট রুখতে উদ্যোগ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতির

কিন্তু, স্কুল মিলিয়ে দেওয়া নিয়ে বেশ কিছু প্রশ্ন থেকে যাচ্ছে ৷ যার মধ্যে অন্যতম, স্কুল মিলিয়ে দেওয়া হলে, তা কীভাবে করা হবে ৷ বাতিল হওয়া স্কুল বিল্ডিংয়ের কী হবে ? বন্ধ হওয়া স্কুলের গ্রুপ ডি কর্মীদের কী হবে ? অবশ্য ব্রাত্য জানাচ্ছেন, দফতরের সমীক্ষার রিপোর্ট হাতে আসার পর, সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে ৷

ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.