চন্দননগর, 9 নভেম্বর: জগদ্ধাত্রী পুজো মানেই চন্দননগরের আলোর মেলা। আলোর এই মেলায় মোহিত হন দর্শকরা। সপ্তমী থেকে শুরু হওয়া এই এই পুজো যেন পুরো চন্দননগরকে এক আনন্দের সাগরে ডুবিয়ে দেয় ৷ আজ অষ্টমী ৷ চন্দননগর পালপাড়া জগদ্ধাত্রী পুজো কমিটি এবার 81তম বর্ষ উদযাপনে মেতেছে ৷ ষষ্ঠী, সপ্তমী কাটিয়ে আজ মহাষ্টমীর সকালের পুজো সম্পন্ন হয়েছে ৷ এখানের বিশেষত্ব কুমারী পুজো ৷
মা জগদ্ধাত্রীর এদিন তন্ত্র মতে পুজো হয়। আর সেই পুজো করতে কুমারীর সাধনা করতে হয়। জগদ্ধাত্রী যেহেতু দুর্গারই আরেক রূপ সেই পুজোতেও কুমারী পুজো হয়। নিয়ম নিষ্ঠা-মেনে প্রতিবছর কুমারী পুজো করা হয় এখানে ৷ পুরোহিত সুশান্ত ঘোষাল বলেন, "মৃন্ময়ী মাকে চিন্ময়ী রূপে পুজো করার জন্য হয় কুমারী পুজো। এতে মায়ের শক্তির দ্বারা আমরা উদ্ভুত হই। জগদ্ধাত্রী হল তন্ত্রের দেবী। তন মানে দেহ। সেই দেহের সাধনা করতে গেলে শক্তির সাধনা করতে হয়। শক্তি সাধনা করতে গেলে মাতৃমূর্তির পুজো করতে হবে।"
অষ্টমীতে সম্পন্ন কুমারী পুজো (ইটিভি ভারত) তাঁর আরও কথা, "বয়স অনুযায়ী কুমারীর নাম হয় ৷ এখানে যে কুমারী তার বয়স একাদশের মধ্যে পড়ে। তাই এই কুমারীকে রুদ্রাণী রূপে পুজো করা হল। পালপাড়া বারোয়ারী সদস্য প্রণতি চক্রবর্তী বলেন, "কুমারীকে মাতৃরূপে আরাধনা করি, কারণ মেয়েদের সম্মান জানাতে। পালপাড়ার পুজো নিয়ম-নিষ্ঠা মেনে হয়। মেয়েরা যাতে সম্মানের জায়গায় ভূষিত হয় তাই বছর বছর ধরে কুমারী পুজো করে আসছি।" এলাকার এক কন্যা কৃতিকে কুমারী পুজো করা হয় আজ। কৃতি এর আগে দুর্গাপুজো, রাজরাজেশ্বরী পুজো-সহ 7 বার কুমারী পুজো নিয়েছে। কৃতির মা জানান, মেয়ে চুঁচুড়ার একটি ইংরেজি মাধ্যম স্কুলে চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী ৷
জগদ্ধাত্রী পুজোয় অষ্টমীতে কুমারী পুজো (নিজস্ব ছবি) উল্লেখ্য, ফরাসি উপনিবেশের গলি থেকে রাজপথ এখন সেজে উঠেছে নানা আলোয়। চন্দননগরের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে বিভিন্ন বারোয়ারির মণ্ডপ। এ বলে আমায় দেখ, ও বলে আমায়! বিভিন্ন থিম এবং তার সঙ্গে আলোর খেলা দেখতে দূরদূরান্ত থেকে লোক আসছেন চন্দননগরে ৷