রাষ্ট্রসংঘ, 20 জানুয়ারি: ইজরায়েল-হামাস যুদ্ধের মূল শিকার নারী আর শিশুরাই ৷ এ পর্যন্ত নিহতের সংখ্যা প্রায় 16 হাজার। শুধু তাই নয়, ইজরায়েল ও হামাসের আক্রমণ এবং প্রতি আক্রমণ শুরু হওয়ার পর থেকে প্রতি ঘন্টায় দু'জন মহিলার মৃত্যু হচ্ছে ৷ রাষ্ট্রসংঘের লিঙ্গ সমতা প্রচারকারী সংস্থা শুক্রবার এমনই তথ্য সামনে এনেছে ৷ 100 দিনেরও বেশি সময় ধরে চলা সংঘর্ষের ফলে, কমপক্ষে তিন হাজার মহিলা বিধবা হয়েছেন বলেও জানা গিয়েছে ৷ অন্যদিকে কমপক্ষে 10 হাজার শিশু তাদের বাবাকে হারিয়েছে।
শুক্রবার প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে রাষ্ট্রসংঘের এই সংস্থাটি যুদ্ধের কারণে হওয়া লিঙ্গ বৈষম্যের বিষয়টি খতিয়ে দেখছে। পাশাপাশি, মহিলা এবং শিশুরা কীভাবে এই যুদ্ধের কারণে বারবার ঘরছাড়া হয়েছেন সেটাও খতিয়ে দেখা হয়েছে। রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে, এই অঞ্চলের 2.3 মিলিয়ন জনসংখ্যার মধ্যে, 1.9 মিলিয়ন মানুষই বাস্তুচ্যুত ৷ প্রায় এক মিলিয়নের কাছাকাছি মহিলা এবং মেয়ে আশ্রয় এবং নিরাপত্তার সন্ধান করছে।
ইউএন উইমেনের নির্বাহী পরিচালক সিমা বাহাউস বলেন, "7 অক্টোবর হামাসের হামলা তার আগের 15 বছর ধরে চলা লড়াইয়ের একটি নিষ্ঠুর পরিবর্তন ৷" এর আগে, তিনি বলেছিলেন, গাজায় নিহত সমস্ত অসামরিক নাগরিকদের 67% ছিল পুরুষ এবং কমপক্ষে 14% মহিলা ছিল ৷ তিনি রাষ্ট্রসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের মানবিক যুদ্ধবিরতির আহ্বানের কথাই ফের একবার বলেছেন ৷ 7 অক্টোবর ইজরায়েলে বন্দী হওয়া সমস্ত পনবন্দীদের অবিলম্বে মুক্তি দেওয়ার কথাও জানিয়েছেন ৷
বাহাউস রিপোর্টের সঙ্গে এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, বর্তমানে গাজায় থাকা বিভিন্ন বয়সি মহিলাদের পরিস্থিতি নিয়ে আমরা যতই সরব হই না কেন, আগামিদিনে সীমাহীন মানবিক সহায়তা এবং ধ্বংস ও হত্যার সমাপ্তি ছাড়াই আরও বেশি করে শোক পালন করতে হবে। এই নারীরা নিরাপত্তা থেকে শুরু করে ওষুধ, স্বাস্থ্যসেবা এবং আশ্রয় থেকে বঞ্চিত। আসন্ন অনাহার এবং দুর্ভিক্ষেরও মুখোমুখি হতে হবে তাঁদের। তাঁরা ন্যায়বিচার থেকেও বঞ্চিত ৷”