নরেন্দ্রপুর, 18 জানুয়ারি: ছেলেকে খুন করে থানায় আত্মসমর্পণ করল মা। শনিবার চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ 24 পরগনার নরেন্দ্রপুর থানার খেয়াদহের মৌ লিহাটিতে। অভিযুক্তকে সঙ্গে করে পুলিশ এলাকায় নিয়ে এলে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। এলাকার মহিলারা অভিযুক্তের উপর চড়াও হন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে লাঠিচার্জ করে পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মৌ লিহাটির বাসিন্দা প্রসেনজিৎ মণ্ডলের স্ত্রী তনুজা মণ্ডল। তাদের দু'টি পুত্র সন্তান ৷ স্থানীয়দের অভিযোগ, ছোট ছেলের বয়য় যখন দেড় বছর, তখনও মায়ের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ উঠেছিল । বড় ছেলের নাম দেবজিৎ মণ্ডল (8)। কাছের প্রাথমিক স্কুলেই তৃতীয় শ্রেণিতে পড়ত সে। আজ সকালে প্রসেনজিৎ ব্যবসার কাজে বেরিয়ে যান। মাছের ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত তিনি। বাড়িতে ছেলেকে নিয়ে একাই ছিল তনুজা। দেবজিতের ঠাকুমা সকাল 10টা নাগাদ আসেন। তিনি নাতির খোঁজ শুরু করেন। সেইসময় বাড়িতে ছিল না দেবজিতের মা।
প্রতিবেশীদের কাছেও জিজ্ঞাসা করেন দেবজিতের ঠাকুমা । খুঁজতে খুঁজতে বিছানার মধ্যে কম্বল চাপা অবস্থায় দেবজিতের দেহ দেখতে পান তিনি ৷ ততক্ষণে মা তনুজা মণ্ডল নরেন্দ্রপুর থানায় উপস্থিত হয় ৷ এরপরই থানার অফিসাররা তাকে জিজ্ঞাসা করে, সে কেন ছেলেক খুন করেছে ? দেহ কোথায় ? তারপর তাকে সঙ্গে করে পুলিশ মৌ লিহাটির বাড়িতে আসে ৷ প্রতিবেশী মহিলারা অভিযুক্তকে আক্রমণ করেন ৷ পরিস্থিতি চরমে পৌঁছয় ৷
লাঠিচার্জ করে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। খুনের কারণ জানতে দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। অভিযুক্তকে গ্রেফতারও করা হয়েছে ৷ ঘটনার তদন্ত চলছে বলে জানিয়েছেন, বারুইপুর পুলিশ জেলার পুলিশ সুপার পলাশ চন্দ্র ঢালি। রবিবার অভিযুক্তকে বারুইপুর মহকুমা আদালতে হাজির করানো হবে ৷