কলকাতা, 20 ফেব্রুয়ারি: বড়তলায় শিশুকন্যাকে দেখতে বৃহস্পতিবার আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে গেলেন রাজ্যের শিশু অধিকার সুরক্ষা কমিশনের প্রতিনিধিরা । বৃহস্পতিবার কমিশনের চেয়ারপার্সন তুলিকা দাসের নেতৃত্বে চারজনের প্রতিনিধি দল শিশুটিকে দেখতে হাসপাতালে যান ৷ আরজি কর হাসপাতালের পিকুতে চিকিৎসাধীন রয়েছে নির্যাতিত ওই শিশুটি ।
তার শারীরিক খোঁজখবর নিতেই বৃহস্পতিবার সেখানে যায় শিশু সুরক্ষা কমিশন । পরিবারের লোকের সঙ্গে কথা বলার পাশাপাশি শিশুটির যে কোনও দরকারে সবরকম সুবিধা পাওয়ার আশ্বাসও দিয়ে গিয়েছেন তাঁরা ।
এই বিষয়ে রাজ্যের শিশু সুরক্ষা কমিশনের প্রতিনিধি তুলিকা দাস বলেন, "এই ধরনের ঘটনায় সরকারি প্রকল্পে যে আর্থিক সাহায্য পাওয়ার কথা সমস্ত পাবে শিশু ও তার পরিবার । পরিবারের তরফ থেকে আবেদন জানানো হয়েছে তারা গ্রামে ফিরে যেতে চান । শিশুটির পুষ্টিগত সমস্যা দূর করতে জেলাশাসককে জানাব ৷ তার বাড়িতে যেন চাল থেকে শুরু করে খাবার প্রতিনিয়ত পৌঁছে যায় ।" এমনকি শিশুটির পরিবারের কোনও ব্যাংক অ্যাকাউন্ট নেই, সেটিও খুলে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে ।
গত ডিসেম্বরে উত্তর কলকাতায় বড়তলা থানা এলাকার ফুটপাথ থেকে সাতমাসের এক শিশুকন্যা নিখোঁজ হয়ে যায় ৷ দিনকয়েক পর আবার তার খোঁজ পাওয়া যায় ৷ একেবারে ক্ষতবিক্ষত অবস্থায় পড়েছিল সে ৷ তার যৌনাঙ্গেও মেলে আঘাতের চিহ্ন ৷ একরত্তিকে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে । সেখানেই বর্তমানে চিকিৎসাধীন ওই শিশু ।
ঘটনার তদন্তে নেমে ঝাড়গ্রামের বাসিন্দা রাজীব ঘোষকে গ্রেফতার করে পুলিশ ৷ 26 দিনের মাথায় চার্জশিট পেশ করা হয় তদন্তকারীদের তরফে ৷ তার 40 দিনের মধ্যে দোষী সাব্যস্ত হয় অভিযুক্ত ৷ কলকাতা পুলিশ এই প্রথম নাবালিকার শিশুকন্যার যৌন হেনস্তার মামলায় একাধিক উন্নতমানের ডিজিটাল তথ্যপ্রমাণ ব্যবহার করেছে ৷ পাশাপাশি নির্ভয়া-কাণ্ডের মতো এক্ষেত্রেও অভিযুক্তের দাঁতের ছাপ, বডি ল্যাঙ্গুয়েজ এবং শরীরের গঠনও মামলার তদন্তে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছে ৷